বৃহস্পতিবার, জুন ২৬, ২০২৫
সামি'স কর্নার

আল্লাহ কপালে না রাখলে হতো না, বিশ্বাস জ্যোতির

টানা তিন ম্যাচ জিতে বাছাইপর্ব শুরু করা বাংলাদেশ নিজেদের শেষ দুই ম্যাচে এসে খেই হারিয় ফেলে। প্রথমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পরে বাংলাদেশের বিপক্ষে হেরে বাদ পড়ার শঙ্কায় পড়ে জ্যোতি-নাহিদারা। তবে শেষ পর্যন্ত চরম নাটকীয়তায় নেট রানরেটের মারপ্যাঁচে বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করেছেন টাইগ্রেসরা। আল্লাহ কপালে রেখেছে বলেই এমন পরিস্থিতিতে এসেও বিশ্বকাপের টিকিট কেটেছে বাংলাদেশ, এমনটাই মনে করছেন টাইগ্রেস অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।

আরও পড়ুন: ‘অনার্স বোর্ড’ না থাকায় আক্ষেপ, উন্নতির নেই বিকল্প: মিরাজ

বিশ্বকাপে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশকে তাকিয়ে থাকতে হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচের দিকে। রানরেটে ক্যারিবিয়ানদের পিছিয়ে যাওয়াতেই বিশ্বকাপ নিশ্চিত হয়েছে টাইগ্রেসদের। এমন ম্যাচে কেমন অনুভব করেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে জ্যোতি বলেন, “ওই ম্যাচটা আসলে আমি দেখিনি। কারণ আমার কাছে মনে হচ্ছিল অন্যের উপর নির্ভর করা হয়ে যাচ্ছে। আমাদের নিয়ন্ত্রণে যা ছিল তা যদি আমরা সঠিকভাবে করতে পারতাম তাহলে হয়তো শেষ ম্যাচ আমাদের দেখতে হতো না। তবে মনে এতটুকু বিশ্বাস ছিল যে, তাদের টার্গেট অনেক বড়। তবে তারা যেভাবে খেলেছে, আল্লাহ আসলে কপালে না রাখলে হতো না।”

বাছাই পর্বে শেষ মুহূর্তে সেরা দুইয়ে জায়গা করতে পারলেও বিশেকাপের আগে নিজেদের প্রস্তুত করতে চায় জ্যোতিরা। তিনি বলেন, “প্রথমত বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করাটা ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু আমাদের হাতে এখনো সময় আছে তাই বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে কিভাবে প্রস্তুতি নেওয়া যায়, সেটা দেখাই আমাদের দায়িত্ব। ক্রিকেট বোর্ডও এ ব্যাপারে ইতিমধ্যে ব্যবস্থা নিয়েছে এবং খেলোয়াড়রাও এই টুর্নামেন্টের মাধ্যমে নিজেদের পরখ করে নিয়েছে।”

আরও পড়ুন: অধরা শিরোপা কী তবে ধরা দিচ্ছে কেইনের হাতে?

এদিকে ব্যাট হাতে দারুণ ছন্দে ছিলেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। প্রথম তিন ম্যাচেই হেসেছে জ্যোতির ব্যাট। একটি শতকের পাশাপাশি রয়েছে দুইটি অর্ধশতকও। তবে ধারাবাহিকভাবে রান করতে না পারায় কিছুটা হতাশও হয়েছেন বাংলার অধিনায়ক। বিশ্বকাপকে সামনে রেখে এই নিয়ে আলাদা করে কাজও করতে চান জ্যোতি। তিনি বলেন, “দেখুন, আমি বলব শেষ দুই ম্যাচে যদি আমি আর কিছু রান করতে পারতাম, তাহলে দলের জন্য সেটা ভালো হতো। দলের উপর প্রেসার কম পড়তো, এমন সিচুয়েশন দেখতে হতো না। এখন এটাই পরিকল্পনা থাকবে, সামনেও কিভাবে ধারাবাহিক থাকা যায়।”

শেষ দুই ম্যাচে খারাপ করলেও বাংলাদেশের উন্নতি এবার দৃশ্যমান ছিলো অনেকটাই। বিশেষ করে ব্যাটিং ইউনিটে মিডল অর্ডার বেশ দারুণ ভূমিকা পালন করেছে বলে মনে করেন জ্যোতি। তিনি বলেন, “আমাদের উন্নতি এবার বেশ দৃশ্যমান ছিল। আগে প্রতি ম্যাচে ২০০ রান করা আমাদের জন্য কঠিন মনে হতো। তবে এখন ভালো ব্যাটিং উইকেটে ভালো স্ট্রাইকে ব্যাট করতে পারছি আমরা। এই টুর্নামেন্টে মিডল অর্ডার বেশ ভালো রোল প্লে করেছে।”

আরও খবর

একটি মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য লিখুন
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

সর্বশেষ খবর

জনপ্রিয় খবর