আট মাস আগেই ভুটানের মাঠে নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ রেখে এসেছিলেন বাংলাদেশের নারী ফুটবলাররা। আবারও সেই পরিচিত মাটিতে নতুন স্বপ্ন নিয়ে পা রাখলেন জাতীয় দলের চার তারকা — অধিনায়ক সাবিনা খাতুন, সাফের সেরা ঋতুপর্ণা চাকমা, মনিকা চাকমা ও সুমাইয়া।
সকালে বাংলাদেশ থেকে রওনা দিয়ে পৌঁছে গেছেন ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে। সেখানেই পারো এফসির কর্মকর্তারা ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে বরণ করে নিয়েছেন এই চার ফুটবলারকে।
আরও পড়ুন: পিএসএলের ধারাভাষ্যে থাকছেন আতহার আলী

২০২২ সালের চ্যাম্পিয়ন পারো এফসি উইমেন দুই বছর বিরতির পর আবার মাঠে ফিরছে। নতুন মৌসুমে দলটি আরও শক্তিশালী ও প্রস্তুত — যেখানে বাংলাদেশের এই ফুটবলাররা বাড়তি আত্মবিশ্বাস যোগাবে বলে আশাবাদী ক্লাবটি।
পারো এফসির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমরা আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি — ভুটানের নারী জাতীয় ফুটবল লিগে অংশ নিতে বাংলাদেশের চার প্রতিভাবান ফুটবলার এখন পারোতে! সাবিনা খাতুন, ঋতুপর্ণা চাকমা, মনিকা চাকমা এবং সুমাইয়া মাতসুশিমা তাঁদের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা নিয়ে পারো এফসি উইমেন দলের শক্তি বাড়িয়েছেন।
দুই বছর বিরতির পর আরও প্রস্তুত, আরও দৃঢ় প্রত্যয়ে মাঠে ফিরেছে ২০২২ সালের চ্যাম্পিয়ন পারো এফসি উইমেন। আসুন, সবাই তাদের আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই — এবং নতুন মৌসুমে গর্জে উঠি আমাদের সমর্থনে!”
আরও পড়ুন: থাই ওপেনে রুপার পর ব্রোঞ্জও জিতলেন সামিউল

এদিকে ট্রান্সপোর্ট ইউনাইটেডের হয়েও খেলতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের আরও দুই ফুটবলার — গোলরক্ষক রুপ্না চাকমা ও ডিফেন্ডার মাসুরা পারভীন। তবে তাদের ভুটান যাত্রা একটু বিলম্বিত হতে পারে। কারণ ক্লাবটি এখনও কৃষ্ণা রানী সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
এছাড়া সানজিদা খাতুন ও শামসুন্নাহার সিনিয়রের ভুটান লিগে খেলার সম্ভাবনাও উঁকি দিচ্ছে।
একইসঙ্গে দেশের ফুটবলেও সামনে বড় চ্যালেঞ্জ — এশিয়ান কাপ বাছাই পর্ব। মিয়ানমারে জুনের শেষ দিকে হতে যাওয়া এই টুর্নামেন্ট সামনে রেখে আগামীকাল থেকেই শুরু হচ্ছে জাতীয় দলের ক্যাম্প। প্রস্তুতি পর্বে থাকছে কঠোর জিম সেশন ও অনুশীলন।
সব মিলিয়ে — ভুটানে বাংলাদেশের নারী ফুটবলারদের সামনে নতুন লড়াই, আর ঘরের মাঠে অপেক্ষায় আরেকটি বড় পরীক্ষার। এখন দেখার বিষয় — মাঠের পারফরম্যান্সে কে সবচেয়ে উজ্জ্বল হয়ে ওঠেন।