বাংলাদেশের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির অনন্য সেঞ্চুরিতে নারী ক্রিকেটে নিজেদের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ ছুঁয়েছে টাইগ্রেসরা। আর এমন দিনে ফাহিমা-জান্নাতুলের অসাধারণ বোলিংয়ে থাইল্যান্ডকে গুড়িয়ে দিয়ে ১৭৮ রানের বড় ব্যবধানের জয় নিয়েই নারী বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের শুরুটা দুর্দান্ত করল বাংলাদেশ।
লাহোরের সিটি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন গ্রাউন্ডে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামে টাইগ্রেসরা। শুরুটা যদিও আশানুরূপ ছিল না। দলীয় ১৫ রানেই ফিরে যান ওপেনার তানজিম। তবে এরপর দৃঢ় কাঁধে দলের হাল ধরেন ফারজানা হক পিংকি ও শারমিন আক্তার। দুইজনের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে গড়ে ওঠে ১১৪ রানের জুটি।
৫৩ রান করে বিদায় নেন ফারজানা, তবে অন্য প্রান্তে দাঁড়িয়ে নিজের সেরা ইনিংস খেলার মঞ্চ প্রস্তুত করছিলেন জ্যোতি। শারমিন আক্তারও খেলেন চমৎকার এক ইনিংস। যদিও সেঞ্চুরির খুব কাছাকাছি গিয়েও ৯৪ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজে আম্পায়ারিংয়ে থাকছেন যারা
অন্যদিকে টাইগ্রেস অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি যেন ব্যাট হাতে ইতিহাস লিখলেন। ৮০ বলে দুর্দান্ত ১০১ রানের ইনিংস সাজান ১৫টি বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায়। তার ব্যাটে ভর করেই নির্ধারিত ৫০ ওভারে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ২৭১ রান — যা দেশের নারী ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ।
থাইল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে মায়া, পুত্তাংয়ু ও কামছম্পু একটি করে উইকেট শিকার করেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ধীরগতির শুরু করে থাইল্যান্ডের নারীরা। তবে দলীয় ৩৮ রানে ওপেনার নাটায়া আউট হওয়ার পর একের পর পর উইকেট হারাতে থাকে থাইল্যান্ড নারী ক্রিকেট দল। টপ অর্ডার তিন ব্যাটারকেই আউট করেন বাংলাদেশের ফাহিমা খাতুন।
আরও পড়ুন: ডিপিএলে সেই সন্দেহজনক আউট নিয়ে তদন্তে বিসিবি
তবে এরপরেও বাংলাদেশের বোলারদের তোপ থেকে বাঁচতে পারেনি থাইল্যান্ডের নারীরা। ফাহিমার রেখে যাওয়া দায়িত্বই যেনো সামলান জান্নাতুল মাওয়া। মিডল অর্ডার থেকে লেজের দিকের ব্যাটারদের আউট করেন তিনি। ফাহিমা ও জান্নাতুল মাওয়া দুজনেই ৫টি করে উইকেট শিকার করেন। থাইল্যান্ডের শেষ ব্যাটার অনিচাকে আউট করে মাত্র ৯৩ রানেই প্রতিপক্ষকে অলআউট করে দেন ফাহিমা খাতুন।
বাংলাদেশও ১৭৮ রানের বড় জয়ে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি পর্ব শুরু করলো। বলা যায়, নিগার সুলতানা জ্যোতির ব্যাটে শুরু, ফাহিমা-জান্নাতুলের বোলিংয়ে সমাপ্তি টেনেই মাঠ ছাড়লো বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল।