রোলাঁ গারোর মাটিতে টেনিস বিশ্ব সাক্ষী হলো এক ঐতিহাসিক সন্ধ্যার, যেখানে মুখোমুখি হয়েছিলেন বিশ্বের এক ও দুই নম্বর নারী টেনিস খেলোয়াড়। প্রথমবারের মতো ফ্রেঞ্চ ওপেনের শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে নামেন যুক্তরাষ্ট্রের কোকো গফ এবং বেলারুশের আরিনা সাবালেঙ্কা। দুই ঘণ্টা ৩৮ মিনিটের শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই শেষে ট্রফি উঠল গফের হাতে।
বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে দুই নম্বরে থাকা ২১ বছর বয়সী গফ সাবালেঙ্কাকে হারিয়েছেন তিন সেটে— ৬-৭ (৫/৭), ৬-২, ৬-৪ গেমে। এর মধ্য দিয়ে গফ অর্জন করলেন তাঁর ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা। এর আগে ২০২৩ সালে ইউএস ওপেনে প্রথমবার বড় মঞ্চের স্বাদ পেয়েছিলেন তিনি। মজার ব্যাপার হচ্ছে, সেই ইউএস ওপেনের ফাইনালেও প্রতিপক্ষ ছিলেন সাবালেঙ্কাই। সেদিনও প্রথম সেট হারার পর দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিলেন গফ।
আরও পড়ুন: ফাইনালের লড়াইটা শুধুই রোনালদো-ইয়ামালের নয়
এদিকে, সাবালেঙ্কার জন্য এটি ছিল ক্যারিয়ারের চতুর্থ গ্র্যান্ড স্লাম ফাইনাল, তবে প্রথম ফ্রেঞ্চ ওপেন ফাইনাল। শুরুটা করেছিলেন দারুণভাবে। প্রথম সেটে ৪-১ গেমে এগিয়ে যান। কিন্তু সেই ছন্দ ধরে রাখতে পারেননি। গফ পাল্টা লড়াইয়ে সেট নিয়ে যান টাইব্রেকারে, যদিও টাইব্রেকারে জিতেছিলেন সাবালেঙ্কাই।
দ্বিতীয় সেটে শুরু থেকেই ছন্দে ছিলেন গফ। দুর্দান্ত শটে কোণাকুনি খেলায় সাবালেঙ্কাকে যেন দিশেহারা করে দেন। এই সেটে মাত্র দুই গেমে প্রতিপক্ষকে থামিয়ে দেন তিনি।
তৃতীয় সেটে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন সাবালেঙ্কা। কয়েকটি গেমে লড়াই করে ফিরেও এসেছিলেন ম্যাচে। কিন্তু গফের ধারাবাহিক পারফরম্যান্স আর মানসিক দৃঢ়তায় আর পেরে ওঠেননি সাবালেঙ্কা। ম্যাচ শেষে রানারআপ ট্রফি নিতে গিয়ে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি বেলারুশ তারকা।
আরও পড়ুন: আমাকে ছাড়াই পিএসজি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছে, এটাই নিয়তি: এমবাপে
এই জয়ে কোকো গফ যুক্তরাষ্ট্রকে ফিরিয়ে এনেছেন রোলাঁ গারোর নারী এককে দীর্ঘদিন পর শিরোপার স্বাদ। ২০১৫ সালে সর্বশেষ এই ট্রফি জিতেছিলেন সেরেনা উইলিয়ামস।
সেরেনার পর আবারও একজন মার্কিন তরুণী রেড ক্লে কোর্টে এমন বিজয় এনে দিলেন দেশকে— গর্বের সঙ্গেই বলা যায়, আমেরিকার এক যুগের শিরোপা খরা ঘুচিয়ে ফেললেন কোকো গফ।