২০২৬ বিশ্বকাপে লিওনেল মেসিকে দেখা যাবে কি না—এই প্রশ্নের উত্তর এখনো মেলেনি। তবে আর্জেন্টাইন তারকা জানালেন, এখনও তিনি নিজেকে নিয়ে ভাবছেন, প্রতিদিন নিজের শরীর ও অনুভূতির ওপর নজর রাখছেন।
এক সাক্ষাৎকারে সাবেক ফুটবলার কিকে উলফ এবং তাঁর ছেলে পেদ্রোর সঙ্গে কথা বলার সময় মেসি বলেন, “২০২৬ বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবি ঠিকই, কিন্তু এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেই। সবকিছু নির্ভর করছে আমার শারীরিক অবস্থা আর মানসিক অবস্থার ওপর। যদি দেখি আমি সেই জায়গায় নেই, তাহলে নিজেই সরে যাবো।”
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজ দেখাবে বিটিভি
২০২২ বিশ্বকাপ জয়ের পর অনেকে ধরে নিয়েছিলেন, এটিই হয়তো মেসির শেষ টুর্নামেন্ট। যদিও এরপর বেশ কয়েকবার নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন তিনি— এই মুহূর্তে তার মূল লক্ষ্য হলো ধাপে ধাপে এগোনো, একসঙ্গে অনেক দূরের ভাবনা নয়।

বিশ্বকাপ জয়ের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে মেসি বলেন,”আমি সবকিছু জিতেছি— ক্লাব, দেশ, ব্যক্তিগত পুরস্কার। বিশ্বকাপ পাওয়ার পর মনে হয়েছে, জীবনের সবচেয়ে বড় স্বপ্নটা পূরণ হয়েছে।” তবে ২০১৪ সালের ফাইনালে হারের স্মৃতি এখনো কিছুটা নাড়া দেয় তাঁকে, “সেই সময়টা ছিল অনেক কষ্টের। তবে ২০২২-এর জয় অনেকটা ব্যথা কমিয়ে দিয়েছে।”
আরও পড়ুন: বিজ্ঞাপন নিয়ে বিতর্কে হেড, আদালতে বেঙ্গালুরু
পেনাল্টি শুটআউটে বরাবরই দলের পক্ষে প্রথম শট নিয়েছেন মেসি। এ প্রসঙ্গে এই কিংবদন্তি বলেন, “আমি সবসময় চাই শুরুটা আমি করি, যাতে বাকিরা সাহস পায়। দলে আত্মবিশ্বাস ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য এটা দরকার।” পিএসজিতে কাটানো সময় নিয়ে মেসির উপলব্ধি স্পষ্ট:
“পরিবার ভালো থাকলেও আমি সেখানে খুশি ছিলাম না। বার্সেলোনায় ফিরে যেতে চেয়েছিলাম, কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। এরপর এমএলএসে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই, কারণ ইউরোপে আর খেলতে আগ্রহ ছিল না।”

চলতি মৌসুমে ইন্টার মায়ামির হয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। সামনে ক্লাব বিশ্বকাপসহ এমএলএস, লিগস কাপ এবং কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপ মিলিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ রয়েছে। এসব ম্যাচে নিজের ফর্ম ও ফিটনেস ধরে রাখতে পারলেই হয়তো দেখা যাবে তাঁকে আরেকবার বিশ্বকাপে।
যদি খেলেন, তাহলে মেসিই হবেন ইতিহাসের প্রথম ফুটবলার, যিনি ছয়টি আলাদা বিশ্বকাপে অংশ নেবেন। বয়স তখন হবে প্রায় ৩৯। তবে বয়স যতই হোক, বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্নটা এখনো তাঁর মনে বেঁচে আছে। “এই মুহূর্তে নিশ্চিত করে কিছু বলা কঠিন, তবে আমি স্বপ্নটা ছেড়ে দিইনি”— এই কথাতেই বুঝিয়ে দিলেন, মেসির অধ্যায় এখনও শেষ হয়নি।