লাল-সবুজের জার্সিতে অভিষেক হলেও দেশের মাটিতে এখনো নামা হয়নি বাংলার ফুটবলের নতুন সেনসেশন হামজা চৌধুরীর। তবে আগামী জুনেই সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে দেশের মাটিতেও অভিষেক হতে যাচ্ছে হামজার। এবার নিজ শহর সিলেটে খেলারও সুযোগ পেতে পারেন হামজা।

আসন্ন জুনে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ঘরের মাঠে খেলার কথা রয়েছে। সেই ম্যাচের ভেন্যু হিসেবে ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামই পছন্দ বাফুফের। তবে একই প্রতিযোগিতার পরবর্তী দুই ম্যাচ খেলার জন্য চট্টগ্রাম ও সিলেটের দিকে নজর রয়েছে ফেডারেশনের। আগামী ৯ অক্টোবর চট্টগ্রাম জেলা স্টেডিয়ামে হংকংকে ও ১৮ নভেম্বর সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে ভারতকে আতিথেয়তা দিতে চায় লাল-সবুজেরা।
আরও পড়ুন: জাতীয় দলের ৯ ক্রিকেটার নিয়ে বাংলাদেশে আসছে নিউজিল্যান্ড ‘এ’
গত রবিবার (২৭ এপ্রিল) বাফুফেতে সাংবাদিকদের বাফুফের কম্পিটিশন কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন বলেছেন, ‘আমরা দুইটা আন্তর্জাতিক ম্যাচের একটা সিলেটে, আরেকটা চট্টগ্রামে আয়োজন করতে চাই। আমি গত শুক্রবার সিলেটের মাঠ দেখতে গিয়েছিলাম। মাঠের কন্ডিশন ভালো। যেহেতু এখন সেখানে কোনো লিগের খেলা হচ্ছে না, ঘাস একটু বড়। তবে যা অবস্থা, কিছু সংস্কার করে ম্যাচ চালানো সম্ভব।’

সিলেটের এই মাঠে এর আগে তিনটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করেছিলো বাফুফে। ২০২২ সালে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে একটি ও ২০২৩ সালে সেশেলসের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ দল। তিনবারই মাঠে দর্শক সমাগম ছিল চোখে পড়ার মতো। দেশের ফুটবলের নবজাগরণে সিলেটে আবারো ভক্ত-সমর্থকদের ঢল নামবে বলে মনে করেন বিসিবির এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে চাপে রেখে লাঞ্চে জিম্বাবুয়ে
এদিকে হামজা চৌধুরী বাংলাদেশ জাতীয় দলের আসার পর থেকেই দেশের ফুটবলে নবজাগরণের জোয়ার এসেছে। হামজার দেখাদেখি দেশের ফুটবলের সাথে যুক্ত হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন শমিত শোম-কিউবা মিচেলরা। তাদের দেখতে আবারো সিলেটে দর্শক সমাগম হবে বলে মনে করছেন ইকবাল। তিনি বলেন, “সিলেটে অতীতে যে ম্যাচগুলো হয়েছে, সেখানে দর্শকের ভালো সমাগম আমরা দেখেছি। আগামী দিনে হামজা-শমিত থাকলে সিলেটবাসীর জন্য সেটা আরও দারুণ কিছুই হবে।”