বৃহস্পতিবার, জুন ২৬, ২০২৫
সামি'স কর্নার

জুন উইন্ডোতে শামিত শোমকে খেলাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা বাফুফের

বাংলাদেশ ফুটবলে হামজা চৌধুরীর অন্তর্ভুক্তির পর থেকেই দেশের ফুটবলের চেহারা রীতিমতো পালটে গিয়েছে। এরপর বিভিন্ন প্রবাসী ফুটবলার যোগাযোগ করছেন লাল সবুজের জার্সিতে মাঠে নামার। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনও আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে শক্তিমত্তা বৃদ্ধির। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী জুন উইন্ডোতে শামিত শোমকে জাতীয় দলে খেলাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বাফুফে।

আরও পড়ুন: আইপিএল ছেড়ে হঠাৎ দেশে ফিরলেন রাবাদা

শামিত শোম, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার জাতীয় ফুটবল দলের মিডফিল্ডার। মূলত হামজাকে দেখেই সাহসী হয়েছেন তিনি। গায়ে জড়াতে চান লাল সবুজের জার্সি। তবে এর আগে দেশ ফুটবলের সমস্ত খোঁজ খবর নিয়ে নিচ্ছেন তিনি। বাফুফেকে দিয়েছেন নিজের কিছু প্রশ্ন। বাফুফেও ইতিমধ্যে প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। এইবার শামিতের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া এলেই পাসপোর্ট তৈরির কাজ শুরু হবে।

বাফুফের কাছে জানতে চেয়েছেন- জুন উইন্ডোতে কোথায় হবে ম্যাচ? এ জন্য বাংলাদেশ দলের অনুশীলন করবে কোথায়? এই সময়ে বাংলাদেশের আবহাওয়া কেমন থাকে? ক্যাম্প শুরু হলে কবে যোগ দিতে হবে? বাংলাদেশি পাসপোর্ট পেতে কত সময় লাগবে?

আরও পড়ুন: এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের নতুন চেয়ারম্যান নাকভি

এ ব্যাপারে বাফুফের সহ-সভাপতি ফাহাদ করিম বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে উনি কিছু তথ্য জানতে চেয়েছেন আমাদের কাছে। যেগুলো আমরা তাকে পাঠিয়ে দিয়েছি। এর বাইরে বল উনার কোর্টে। বন্ধুর মাধ্যমে উনি আমাদের জানিয়েছেন, এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় তিনি তার সিদ্ধান্ত জানাবেন। কোচ, ক্লাব এবং পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তিনি জানাবেন।’

শামিত শোমের মতো তারকা প্লেয়ারকে দলে পেতে বিরাট আগ্রহ দেশের ফুটবল ফেডারেশনের। তবে তিনি যেহেতু কানাডার জার্সি গায়ে খেলেছেন সেহেতু তাকে আসতে হবে ফিফা প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির অনুমোদনের মধ্য দিয়ে। আবার কানাডা সকার অ্যাসোসিয়েশনের ছাড়পত্রও থাকতে হবে।

এই প্রসঙ্গে ফাহাদ করিম বলেন, ‘ফিফার যে অ্যাপ্রুভাল, সেটা আসলে আমাদের হাতেও না, উনার হাতেও না। এ ব্যাপারে আমি সম্মানিত সভাপতির সঙ্গে কথা বলেছি। উনি বলেছেন সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন। এতটুকু বলতে পারি, বাফুফের পক্ষ থেকে প্রশাসনিকভাবে কোনো গাফিলতি হবে না।’

আরও পড়ুন: ভারতকে রুখে দিয়ে র‍্যাংকিংয়ে উন্নতি বাংলাদেশের

এছাড়া পাসপোর্টের ব্যাপারে ফাহাদ করিম বলেন, ‘উনি যদি আমাদের সম্মতি দেন, তাহলে ঈদের পর প্রথম কার্যদিবস থেকে পাসপোর্টের কাজ শুরু করে দিব। উনি যদি কোনো কারণে নাও বলেন, সমস্যা নেই। আমাদের চেষ্টা হলো পাসপোর্টটা হয়ে যাক। ভবিষ্যতে যদি বিবেচনা করেন, সে সুযোগটাও রাখতে চাচ্ছি। আশা রাখছি, এপ্রিলের ১০-১২ তারিখের মধ্যে উনার ফিডব্যাক পেতে পারি।’

আরও খবর

একটি মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য লিখুন
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

সর্বশেষ খবর

জনপ্রিয় খবর