আসন্ন ১০ জুন এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে হোম ম্যাচ ঢাকায় আয়োজন করতে চায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। সেই ম্যাচকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) স্টেডিয়ামের প্রস্তুতি, দর্শকদের সুযোগ-সুবিধা এবং টিকিট ব্যবস্থাপনা নিয়ে বিস্তারিত বিষয় নিয়ে এক আলোচনা সভা করেছে বাফুফের কম্পিটিশন কমিটি। সভাশেষ সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তগুলোর ব্যাপারে গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন কমিটির সদস্য ও আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের সভাপতি তাজওয়ার আউয়াল।
আরও পড়ুন: মুস্তাফিজকে টপকে রেকর্ডবুকে বুমরাহ
বেশ কয়েক বছর ধরেই দেশের ফুটবলে সমর্থকদের মাঠে আনতে ব্যর্থ হচ্ছে বাফুফে। তবে হামজার চৌধুরীর অন্তর্ভুক্তির পর দেশের ফুটবলে গণজোয়ারের সৃষ্টি হয়েছে। তাই এবার ভক্ত-সমর্থকদের মাঠে ফিরিয়ে আনাটাই মূল লক্ষ্য ফুটবল ফেডারেশনের। এ ব্যাপারে তাজওয়ার আউয়াল বলেন, “আমাদের মূল লক্ষ্য সমর্থকদের মাঠে ফিরিয়ে আনা। স্টেডিয়ামে যেন দর্শকরা স্বাচ্ছন্দ্যে খেলা উপভোগ করতে পারেন, সেজন্য প্রয়োজনীয় সব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ এ ক্ষেত্রে আমাদের সহযোগিতা করছে।”
সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচের টিকিট বিক্রির ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত এসেছে এদিনের সভায়। বাফুফে এবার ম্যাচের টিকিট অনলাইনে বিক্রির পথে হাঁটতে চায়। ক্রিকেটের মতো ডিজিটাল পদ্ধতিতে টিকিট বিক্রির ব্যবস্থা করে দর্শকদের কাছে খেলা পৌঁছে দিতে চায় সংস্থাটি। এ ব্যাপারে তাজওয়ার জানান, “আমরা অনলাইনে টিকিট বিক্রির পরিকল্পনা করছি। তবে টিকিটের মূল্য এখনো নির্ধারিত হয়নি। এ বিষয়ে মার্কেটিং কমিটি এবং ফেডারেশনের সঙ্গে আলোচনা করে মূল্য চূড়ান্ত করা হবে। পরে ফেডারেশন আনুষ্ঠানিকভাবে তা জানিয়ে দিবে।”
আরও পড়ুন: ভারতে পিএসএলের সম্প্রচার বন্ধ
তিনি আরও বলেন, “গ্যালারির (সাধারণ) জন্য প্রাথমিকভাবে ১৮,৩০০ টিকিট বিক্রির পরিকল্পনা রয়েছে। তবে এর বাইরেও বিভিন্ন ক্যাটাগরির টিকিট থাকবে। মূল্য নির্ধারণে একদিকে যেন দর্শক মাঠে আসতে পারেন, অন্যদিকে ফেডারেশনের আয় কিভাবে নিশ্চিত হয়, দুইটি দিকই বিবেচনায় নেওয়া হবে।”
ব্রিফিংয়ের পর বাফুফে ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তারা সরেজমিনে জাতীয় স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেন। আন্তর্জাতিক মানের ফুটবল স্টেডিয়ামে দর্শকদের জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা যেমন ফুড জোন, হাইজেনিক টয়লেট ও নিরাপদ বসার ব্যবস্থা থাকা জরুরি। তবে বিগত সময়ে দর্শকরা এসব থেকে অনেকটাই বঞ্চিত ছিলেন। এবার ম্যাচের আগে এসব সুবিধা উন্নত করতে চায় বাফুফে। কম্পিটিশন কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রতি সপ্তাহেই স্টেডিয়ামের প্রস্তুতি নিয়ে পর্যবেক্ষণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। তাজওয়ার আউয়াল বলেন, “যতটুকু সময় আছে, তার মধ্যে আমাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা থাকবে দর্শকদের জন্য একটি আধুনিক ও উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিত করতে। আমাদের পরিকল্পনায় কোনো ঘাটতি থাকবে না।”
আরও পড়ুন: ডিপিএলে টিকে রইলো ব্রাদার্স, ছিটকে গেল পারটেক্স
এদিকে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ঢাকায় ম্যাচ আয়োজনের চিন্তা করলেও কিছু নিয়ম অবশ্য মানতে হবে বাফুফেকে আন্তর্জাতিক ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) নিয়ম অনুযায়ী হোম ম্যাচের ভেন্যু অন্তত এক মাস আগে জানাতে হয়। বাফুফে ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের নাম এএফসিতে পাঠিয়েছে। তবে স্টেডিয়াম সংস্কারের কারণে এএফসির পুনরায় অনুমোদন প্রয়োজন।
সম্প্রতি এএফসি’র একজন ম্যাচ কমিশনার স্টেডিয়াম পরিদর্শনে এসেছিলেন এবং ২২ মে’র মধ্যে নির্ধারিত মানসম্পন্ন সংস্কার কাজ সম্পন্ন করার নির্দেশনা দিয়েছেন। বাফুফে আশাবাদী নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যেই সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে এবং ভেন্যু অনুমোদন পাবে।