অবশেষে বাংলাদেশের লাল-সবুজ জার্সি গায়ে জড়াতে সম্মতি দিয়েছেন কিউবা মিচেল। সান্ডারল্যান্ড অনূর্ধ্ব-২১ দলের এই প্রতিভাবান ফুটবলারকে ইতোমধ্যেই অফিশিয়ালি আমন্ত্রণ জানিয়েছে বাফুফে। আর দেরি না করে সেই চিঠির জবাবে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন নিজের আগ্রহ— বাংলাদেশের হয়ে মাঠে নামতে প্রস্তুত তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করে নিজের অনূভুতি প্রকাশ করেছেন দেশের একমাত্র স্পোর্টস চ্যানেল ‘টি-স্পোর্টসের ক্রীড়া সাংবাদিক রিফাত মাসুদ।
আরও পড়ুন: বাছাই পর্বে দ্যুতি ছড়িয়ে সেরা একাদশে জ্যোতি-শারমিনরা
মাত্র ১৯ বছর বয়সেই ব্রিটিশ ফুটবলে নিজের জাত চিনিয়ে দিয়েছেন কিউবা। নিয়মিত খেলছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ২-এ, সান্ডারল্যান্ডের হয়ে প্রি-সিজনে দেখা গেছে সিনিয়র দলে খেলতেও। কিউবার মা বাংলাদেশের, আর বাবা জ্যামাইকান। ইংল্যান্ড বা জ্যামাইকার হয়ে খেলার সুযোগ থাকলেও তিনি বেছে নিচ্ছেন মায়ের দেশের ডাককেই।
অন্যদিকে হামজা চৌধুরীর আগমনের পর থেকেই বদলাতে শুরু করেছে বাংলাদেশের ফুটবলভাগ্য। তার পথ ধরেই এবার জাতীয় দলে দেখা যাবে কিউবা মিচেলকে। হামজার দেখানো রাস্তা ধরে এর আগে এসেছিলেন কানাডার লিগে খেলা সমিত সোমও। এবার সেই পথের যাত্রী হলেন তরুণ কিউবা। ফুটবলে এই নতুন জেনারেশন বাংলাদেশের জন্য খুলে দিচ্ছে আন্তর্জাতিক মঞ্চে নতুন দিগন্তের দুয়ার।
এদিকে বিষয়টি দেখভাল করছেন বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইমরুল হাসান ও সহ-সভাপতি ফাহাদ করিম। তারা জানান, ‘ওর বয়স কম, কিন্তু স্কিল আর ইনটেলিজেন্স দেখে আমরা আগ্রহী হয়েছি। জুম মিটিংয়ে সে মৌখিক সম্মতি দিয়েছে, তাই এবার অফিশিয়াল প্রক্রিয়া শুরু করেছি। খুব শিগগিরই পাসপোর্ট ও প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র পেলে আমরা ওকে জুনেই জাতীয় দলে দেখতে চাই।’
আরও পড়ুন: কানাডার টি-টেন ড্রাফটে দুই বাংলাদেশির নাম
যদি সবকিছু পরিকল্পনামাফিক এগোয়, তাহলে জুনে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় দলে অভিষেক হতে পারে কিউবার। লাল-সবুজের জার্সি গায়ে বাংলাদেশের হয়ে ছুটবেন ব্রিটেনের ঘাসে বেড়ে ওঠা এই তরুণ। এখন সময়ের অপেক্ষা— তবে বাংলাদেশ কি পারবে এই প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে ফুটবলের নতুন গল্প লিখতে?
সময়ই দেবে সেই উত্তর। তবে যেভাবে একে একে বিশ্ব দরজায় পা রাখছে বাংলাদেশের ফুটবল, তাতে করে বলা যায়— দিন বদলেছে, এবার বদলাবে বাংলাদেশের ফুটবলও।