অবশেষে স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে কিউবা মিচেলের। সান্ডারল্যান্ডের যুব দলে খেলা এই ফুটবলার অফিসিয়ালি এখন বাংলাদেশের পাসপোর্টধারী। অর্থাৎ, এখন ফিফার অনুমোদন পেয়ে গেলেই বাংলাদেশের হয়ে মাঠে নামতে আর কোনো অসুবিধা থাকবে না এই তরুণ ফুটবলারের।
এর আগে মঙ্গলবার (২৭ মে) বার্মিংহামের বাংলাদেশ কনসুলেটে গিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পাসপোর্টের জন্য আবেদনপত্র জমা দিয়েছিলেন কিউবা ও তার মা। যার মাধ্যমে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব অর্জনের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ইন্টারকে উড়িয়ে মিউনিখে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতলো পিএসজি
আর শনিবার (১ জুন) কিউবার পাসপোর্ট প্রক্রিয়ার যাবতীয় কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ২ জুন তিনি বার্মিংহামের বাংলাদেশ কনসুলেটে এই পাসপোর্ট আনতে যাবেন।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে সদ্য পদার্পণ করা সান্ডারল্যান্ডের অনূর্ধ্ব-২১ দলে নিয়মিত খেলছেন কিউবা। দলে তার ভূমিকাও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। যদিও এখনো সিনিয়র দলে অভিষেক হয়নি, তবে ধারাবাহিক উন্নতির পথ ধরে আগামী মৌসুমেই ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের মাঠেও দেখা যেতে পারে তাকে।
বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের কাছে হামজা চৌধুরী ও শমিত সোমের পর কিউবা মিচেল হয়ে উঠেছেন এক নতুন আশার নাম। দেশের ফুটবলে দীর্ঘদিন পর এমন বিদেশে গড়ে ওঠা তরুণ প্রতিভার আগমন ঘিরে তৈরি হয়েছে অন্যরকম উন্মাদনা। অনেকেই আশা করছেন, ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের ম্যাচেই লাল-সবুজ জার্সিতে অভিষেক হতে পারে কিউবার।
আরও পড়ুন: জানাকে সাথে নিয়ে এনড্রিকের ট্রেবল জয়
যেহেতু তিনি পাসপোর্ট পেয়ে গেছেন, এখন ফিফার ক্লিয়ারেন্স পেলেই জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্তির রাস্তা একেবারে খুলে যাবে। পুরো প্রক্রিয়া দ্রুততার সঙ্গেই শেষ করতে চায় বাফুফে।
এরই মধ্যে সিঙ্গাপুরের ম্যাচের জন্য ২৬ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বাংলাদেশের কোচ কাবরেরা। পাসপোর্ট না থাকায় সেই স্কোয়াডে জায়গা হয়নি কিউবার। তবে এবার ফিফার অনুমোদন পেলেই আগামী ৩ জুন ঘোষিত হতে যাওয়া চূড়ান্ত স্কোয়াডে থাকার সম্ভাবনা থাকবে এই ফুটবলারের।
আর যদি তা হয়, তবে প্রথমবারের মতো দেশের মাটিতে কিউবা মিচেলকে দেখা যাবে জামাল, হামজা, শমিতদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে খেলতে। অর্থাৎ, দেশের ফুটবলে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনার দুয়ারে দাঁড়িয়ে কিউবা। এবার শুধু সময়ের অপেক্ষা।