বুধবার, জুন ২৫, ২০২৫
সামি'স কর্নার

ফাহামিদুল বাদ পড়ায় অবাক রিফাত মাসুদ, ভারত ম্যাচ নিয়ে আশাবাদী

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের ফুটবলে যে পূর্ণজাগরণের সৃষ্টি হয়েছে তার মূলে একজন হামজা চৌধুরী। তবে বাংলাদেশ দলে হামজার অন্তর্ভুক্তিতে যে ইতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি হয়েছে সবার, তারই আবার ভাটা পড়েছে সূদুর ইতালি থেকে বাংলাদেশ দলে খেলতে এসেও ট্রেনিং সেশনের পর স্কোয়াড থেকে বাদ পড়া ফাহামিদুলের কারণে। যেখানে বাংলাদেশের ফুটবল ভক্তরা বলছেন, ফাহামিদুলকে বাদ দেওয়া সিন্ডিকেটের কারণে। অথচ দলের কোচের দাবি ফাহামিদুলকে ভবিষ্যতের জন্য বিবেচনায় রাখছেন তারা, আপাতত তার আরও সময়ের প্রয়োজন।

আর ফাহামিদুলের এই প্রসঙ্গে অনফিল্ডের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে নিজের মতামত তুলে ধরেছেন টি স্পোর্টসের সিনিয়র ক্রীড়া সাংবাদিক রিফাত মাসুদ। তার মতে, ফাহামিদুলের বাদ পড়াটা অবাক হওয়ার মতো বিষয় হলেও, দিনশেষে কোচের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দল নির্বাচনে কোচ স্বাধীনতা পান। এটা ইতিবাচক ব্যাপার। এখন একটা সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর কোচ কিন্তু চাইলেই সেখান থেকে ফিরে আসতে পারেন না। তিনি যে নিজের জায়গাটা ধরে রাখছেন সেটাও ইতিবাচক।’

তবে রিফাত মাসুদ জানান, ফাহামিদুলের বাদ পড়ায় তিনি প্রচন্ড অবাক হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এটা অত্যন্ত বিষ্ময়কর সংবাদ ছিল সবার জন্য। তিনি বলেন, ‘আমি আশা করেছিলাম সে এই দলে থাকবে। তার গতি, স্কিল যা দেখেছি মনে হয়েছে সে খুব ভালো একজন খেলোয়াড়। সে না থাকায় আমিও অবাক হয়েছি।’

এছাড়া তিনি ভক্তদের ফাহামিদুলের বাদ পড়ার খবরে যে ফেটে পড়েছে সেটাও ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। তিনি জানান, ‘ভক্তদের এই ব্যাপারে যে মনোভাব দেখা গেছে সেটাও বোঝা যায়। ভক্তরা এই যে বিক্ষোভ করছে এটাও বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য ভালো। কোচও কিন্তু সেটাই বলেছে। দর্শক ও কোচের মধ্যে এই সম্পর্কটাও ফুটবলের জন্য ভাল।’

তবে ফাহামিদুল দলে না থাকলেও ভারত ম্যাচ নিয়ে ইতিবাচক ভাবছেন রিফাত মাসুদ। তিনি বলেন, ‘ভারত ম্যাচ নিয়ে ভালো আশাবাদী। তাদের বিপক্ষে আসলে আশাবাদী না হওয়ার কোনো কারণ নেই। বরং আশা না নিয়ে গেলেই বলতে হতো আশা টা কেন করা যাবে না। টিম ম্যানেজমেন্ট, খেলোয়াড়রা প্রত্যেকেই এই ম্যাচে জয়ের জন্য আত্মবিশ্বাসী।’

যদিও তিনি মানছেন ভারতকে হারানো সহজ কোনো বিষয় হবে না। রিফাত মাসুদ বলেন, ‘দেখেন, মাঠের খেলার ভারত সবসময়ই শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। তাদের হারাতে গেলে মেন্টালিই শক্তিশালি হতে হবে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের। আর দিনশেষে কিন্তু হামজা একা খেলবেন না, আরও খেলোয়াড়রা থাকবে। সবাইকেই ভালো খেলতে হবে। সবাই মিলেই বাংলাদেশ। এই মনোভাব নিয়ে যদি আপনি ঐ ৯০ মিনিট খেলেন, ভালো কিছু হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যাবে।’

আরও খবর

একটি মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য লিখুন
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

সর্বশেষ খবর

জনপ্রিয় খবর