হামজা চৌধুরীর অন্তর্ভুক্তি আনন্দের জোয়ারে ভাসালেও ফাহমিদুলকে স্কোয়াডে না রাখাটা অবশ্য মেনে নিতে পারেনি বাংলাদেশের লাখো-কোটি ফুটবল সমর্থক। কোচের এমন সিদ্ধান্তে রীতিমতো বাফুফের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেয় তারা। ভক্ত-সমর্থকদের কাছ থেকে এমন ভালোবাসা পেয়ে এবার আবেগাপ্লুত হয়েছেন ইতালি প্রবাসী তরুণ এই ফুটবলার। নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে বাংলাদেশের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ফাহমিদুল।
কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরার পছন্দে বাংলাদেশ স্কোয়াডে জায়গা হয়েছিলো ইতালি চতুর্থ স্তরে খেলা তরুণ ফুটবলার ফাহমিদুল ইসলামের। সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত হওয়া কন্ডিশনিং ক্যাম্পে যোগও দিয়েছিলেন প্রতিভাবান এই ফুটবলার। তবে প্রস্তুতি ম্যাচে দুর্দান্ত পারফর্ম করা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের জন্য তাকে মূল স্কোয়াডে রাখা হয়নি, যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ফুটবলপ্রেমীরা।

ফাহমিদুলকে দলে না রাখায় অনেকেই সন্দেহের তীর ছুঁড়েছে দেশের ফুটবলে থাকা সিন্ডিকেটের দিকে। যার প্রতিবাদ স্বরূপ বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচিও পালন করেছে সমর্থকেরা। পরিস্থিতি এতোদূর গড়িয়েছে যে সমর্থকদের সাথে সরাসরি কথা বলেছেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল। এখনো দেশের জার্সিতে অভিষেক হয়নি ফাহমিদুলের। তবে তা সত্ত্বেও সমর্থকদের এমন ভালোবাসায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এই তরুণ ফুটবলার।
নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে ফাহমিদুল লেখেন, “বাংলাদেশের সকল মানুষের ভালোবাসা, সমর্থন এবং উৎসাহের জন্য আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ। আমার প্রতি আপনাদের অটল বিশ্বাস এই পুরো যাত্রায় আমার জন্য বিশাল পাওয়া এবং যারা আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন তাদের সকলের প্রতি আমি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ।”

বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন নিয়ে সৌদি এসেছিলেন ফাহমিদুল। তবে এ যাত্রায় অবশ্য ভাগ্য সহায় হয়নি তরুণ এই ফুটবলারের। যদিও ফাহমিদুল অবশ্য নিয়তিকে মেনে নিয়ে ভবিষ্যত নিয়েই চিন্তা করছেন। তিনি বলেন, “আমি বাংলাদেশ ফুটবল দলের হয়ে খেলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। কিন্তু দূর্ভাগ্যজনকভাবে এবার কিছুই পরিকল্পনামাফিক হয়নি। তবে আমি বিশ্বাস করি, সবকিছুর পেছনেই একটা কারণ থাকে এবং আমার যাত্রা এখনো অনেকটাই বাকি।”
এবার সুযোগ না মিললেও জাতীয় দলের হয়ে খেলার স্বপ্ন এখনো অটুট রয়েছে ফাহমিদুলের। তিনি আরও বলেন, ‘ইনশাআল্লাহ। যদি সর্বশক্তিমান চান, একদিন আমি লাল-সবুজ জার্সি গায়ে জড়িয়ে মাঠে নামব এবং দেশ ও দেশের আপামর সমর্থকদের জন্য নিজের সবকিছু উজাড় করে দেব। ততক্ষণ পর্যন্ত, আমি সেই স্বপ্ন পূরণ করার লক্ষ্যে কঠোর পরিশ্রম এবং প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব।”