বুধবার, জুন ২৫, ২০২৫
সামি'স কর্নার

টানা তৃতীয়বারের মতো বার্ষিক আয়ে শীর্ষে রোনালদো

মাঠের খেলায় রোনালদোর ধার যে কমে এসেছে তা গত কয়েক বছরে তার জেতা ট্রফির সংখ্যা দেখলেই স্পষ্ট। বয়সটাও যে এখন খুব একটা সঙ্গ দেয় না খেলার মাঠে সেটাও পুরোপুরি পরিষ্কার। তবে এই বয়সেও উপার্জনের দিক দিয়ে সবার উপরে আছেন পর্তুগিজ এই তারকা। বিখ্যাত মার্কিন ম্যাগাজিন ফোর্বস বিশ্বের শীর্ষ উপার্জনকারী ক্রীড়াবিদদের নিয়ে তাদের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যেখানে টানা তৃতীয় বছরের মতো শীর্ষে রয়েছেন রোনালদো।

আরও পড়ুন: নিক কেলির সেঞ্চুরিতে চালকের আসনে নিউজিল্যান্ড ‘এ’

সৌদি আরবের ক্লাব আল-নাসরের হয়ে খেলে এবং বিভিন্ন বাণিজ্যিক চুক্তি থেকে গত ১২ মাসে তার আয় দাঁড়িয়েছে ২৭৫ মিলিয়ন ডলারে (প্রায় ৩৩৪০ কোটি টাকা)। এর মধ্যে মাঠের পারিশ্রমিক ছিল ২২৫ মিলিয়ন ডলার। আর বাকি ৫০ মিলিয়ন ডলার এসেছে বিজ্ঞাপন, স্পনসরশিপ ও অন্যান্য বানিজ্যিক উৎস থেকে।

ফোর্বসের তথ্য অনুযায়ী, ক্রীড়াক্ষেত্রে রোনালদোর এই আয়ের পরিমাণ ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে শুধু ফ্লয়েড মে’ওয়েদার এই অঙ্ক ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন। তিনি অবশ্য রোনালদোর এবছরের থেকে বেশি আয় করেছেন দুইবার, ২০১৫ সালে ৩০০ মিলিয়ন ডলার এবং ২০১৮ সালে ২৮৫ মিলিয়ন ডলার। 

আরও পড়ুন: সাকিবের সঙ্গে পিএসএলে যোগ দিলেন আরো যারা

রোনালদোর ঠিক পেছনে যারা রয়েছেন তাদের সঙ্গে রোনালদোর পার্থক্য বিশাল। ফোর্বসের হিসেবে, গত ১২ মাসে দ্বিতীয় স্থানে থাকা অ্যাথলেটের চেয়ে রোনালদো ১১৯ মিলিয়ন ডলার বেশি আয় করেছেন। দ্বিতীয় স্থানে থাকা এনবিএ তারকা স্টিফেন কারির আয় ১৫৬ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ১৮৯৪ কোটি টাকা)। আর তৃতীয় স্থানে থাকা হেভিওয়েট বক্সার টাইসন ফিউরির আয় ১৪৬ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ১৭৭৩ কোটি টাকা)। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসি আছেন এই তালিকার পঞ্চম স্থানে, যার বার্ষিক আয় ১৩৫ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা দাঁড়ায় প্রায় ১৬৩৯ কোটি টাকারও বেশি।

আশ্চর্যনকভাবে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের মতো জনপ্রিয় প্রতিযোগিতা থেকে ফোর্বসের এই তালিকায় জায়গা পেয়েছেন মাত্র একজন খেলোয়াড়। ম্যানচেস্টার সিটির তারকা স্ট্রাইকার আর্লিং হালান্ড বছরে ৬২ মিলিয়ন ডলার আয়ের মাধ্যমে এই তালিকার ৩৪ নম্বরে রয়েছেন। ২৫ বছরের নিচে থাকা ক্রীড়াবিদদের মধ্যে অবশ্য তার অবস্থান চতুর্থ স্থানে।

আরও পড়ুন: আইপিএলে নতুন করে সুযোগ পেল আরও ৩ বিদেশি

গত বছর এই তালিকায় ছিলেন লিভারপুলের মোহাম্মদ সালাহ এবং ম্যানসিটির কেভিন ডি ব্রুইনে। তবে এ বছর আর এই তালিকায় জায়গা হয়নি তাদের। ইউরোপ থেকে আর মাত্র দুইজন ফুটবলার রয়েছেন সেরা পঞ্চাশের এই তালিকায়। ৯০ মিলিয়ন ডলার বার্ষিক আয়ে রিয়াল মাদ্রিদের কিলিয়ান এমবাপের অবস্থান ১৬তম। এছাড়া ৫৫ মিলিয়ন ডলার আর করা ভিনিসিয়াস জুনিয়র আছেন তালিকার ৪৬ তম স্থানে।

অন্যদিকে গত মৌসুমে সৌদি প্রো লিগ থেকে চারজন খেলোয়াড় আছেন এই তালিকায়। রোনালদো ছাড়াও আছেন আল-ইত্তিহাদের করিম বেনজেমা (১০৪ মিলিয়ন ডলার), আল-নাসরের সাদিও মানে (৫৪ মিলিয়ন ডলার), এবং নেইমার (৭৬ মিলিয়ন ডলার)। যদিও ইনজুরি এবং ব্যর্থ মৌসুম কাটিয়ে আবার ব্রাজিলের সান্তোস ক্লাবে ফিরেছেন নেইমার।

এদিকে বয়সের সাথে পারিশ্রমিক কমার যে কোনো সম্পর্ক নেই সেটাই যেন ফুটে উঠেছে এই তালিকায়। তালিকাভুক্ত আটজন ফুটবলারের মধ্যে পাঁচজনের বয়স ৩৩ বছরের ওপরে। দীর্ঘ ক্যারিয়ার, পার্সোনালিটি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জনপ্রিয়তা এবং ব্র্যান্ড ভ্যালুর কারণে এই বয়সের খেলোয়াড়রাই সবচেয়ে বেশি উপার্জন করছেন। তবে এমবাপে-হালান্ড-ভিনিসিয়াস কিংবা লামিনে ইয়ামালদের মতো তারকারা যেভাবে এগোচ্ছেন তাতে অদূর ভবিষ্যতে এই চিত্র বদলাতেই পারে। 

আরও খবর

একটি মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য লিখুন
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

সর্বশেষ খবর

জনপ্রিয় খবর