হামজার চৌধুরীকে দলে পেয়ে উচ্ছ্বসিত দেশের ফুটবলের আপামর সমর্থক থেকে শুরু করে খোদ তারই সতীর্থরা। শুধু তাই না, হামজাকে পেয়েই যেন বদলে গেছে পুরো দলের মেন্টালিটি। ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের ম্যাচকে সামনে রেখে দেশত্যাগের পূর্বে তাই ফুটবলারদের কন্ঠে ছিলো শুধুই হামজার বন্দনা।
দেশের ফুটবলে লেগেছে উৎসবের আমেজ। ধুঁকতে থাকা ফুটবল যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। হামজার অন্তর্ভুক্তি দেশের লাখো-কোটি ফুটবল সমর্থকদের মনে আশার খোড়াকের জন্ম দিয়েছে। দেশের ফুটবলে যেন সৃষ্টি হয়েছে নতুন জাগরণের। দেশের ফুটবলে হামজার হাত ধরেই অতীত গৌরব ফিরে আসবে এমনটাই মনে করছেন ফুটবল প্রেমী সহ সাবেক তারকারা।
তবে মাত্র এক সপ্তাহের অনুশীলন কতটুকু ফলপ্রসূ হবে সেটা নিয়ে ছিলো যথেষ্ট সন্দেহ। যদিও সেই সন্দেহ এক নিমিষেই উড়িয়ে দিলেন সোহেল রানা-তপু বর্মণরা। গেলো কয়েকদিন দেশের স্পোর্টস জগতের কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন হামজা চৌধুরী। ভারতের উদ্দেশ্যে বিমানে ওঠার আগেও তাই হামজার দিকেই নজর ছিলো সকলের। এমনকি দেশের ফুটবলারদেরও হামজাকে নিয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে।
বৃহস্পতিবার(২০ মার্চ) বিমানবন্দরে গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে হামজার সাথে মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে জানিয়েছেন জাতীয় দলের তারকা ফুটবলার সোহেল রানা। তার মতে খুব অল্পতেই দলের সাথে মানিয়ে নিয়েছেন হামজা। তিনি বলেন, “হামজা খুবই তাড়াতাড়ি আমাদের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছে। মনে হচ্ছে ও অনেকদিন ধরেই আমাদের সঙ্গে খেলছে।”

অন্যদিকে হামজার দলে আসাকে বেশ ইতিবাচক ভাবে দেখছেন জাতীয় দলের আরেক তারকা ফুটবলার তপু বর্মণ। তিনি বলেন, “গতকাল সে (হামজা চৌধুরী) অফিসিয়ালি আমাদের সঙ্গে ট্রেনিংয়ে অংশগ্রহণ করেছে। অবশ্যই এটা আমাদের জন্য বেশ একটা ভালো ব্যাপার। সে ফিট আছে। আমরাও ফিট আছি। আমার কাছে মনে হয় এটা একটা পজেটিভ ব্যাপার।”
দেশের মাটিতে দলের সাথে মাত্র একদিন অনুশীলন করার সুযোগ পেয়েছেন হামজা। যদিও এই ম্যাচকে সামনে রেখে সৌদি আরবে আলাদা করে ক্যাম্প করেছেন হ্যাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা। তপু বর্মণ মনে করেন এবার কিছুটা ভিন্ন কৌশলে অনুশীলন সেড়েছেন ফুটবলাররা। তবে সব কিছু ছাপিয়ে দলের মধ্যে ম্যাচ জয়ের মেন্টালিটিটাই সবচেয়ে বড় শক্তি মনে করছেন তপু। তিনি বলেন, “আমাদের প্রিপারেশন, মানসিক সক্ষমতা, চিন্তাধারা এবারে পুরোপুরি আলাদা। এটাই আমার কাছে মনে হয় বড় ব্যাপার। আমাদের চিন্তাধারা উইনিং মেন্টালিটি।”