প্রবাসী ফুটবলারদের আগমনে দেশের ফুটবলে এসেছেন নতুন জোয়ার। ধুঁকতে থাকা দেশের ফুটবলে যেন প্রাণ ফিরে এসেছে। তবে শুধু প্রবাসী ফুটবলারদের দিয়ে দেশের ফুটবলের সংকট কাটানো সম্ভব না বলে মনে করেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক। বরং দেশের তৃণমূল ফুটবলের দিকে নজর দিতে হবে বলে মত দিয়েছেন দেশের ফুটবল ইতিহাসের সেরা এই গোলরক্ষক।
আরও পড়ুন: পিএসএল নয়, আমিরের প্রথম পছন্দ আইপিএল
লাল-সবুজ জার্সিতে অভিষেক হয়েছে প্রিমিয়ার লিগ মাতানো ফুটবলার হামজা চৌধুরীর। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে ইংল্যান্ড দলের হয়ে খেলা হামজা এখন বাংলাদেশের ফুটবলার। ভারতের বিপক্ষে এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বে মাঠেও নেমেছেন এই ফুটবলার। আর তার অন্তর্ভুক্তিতেই বদলে গেছে দেশের ফুটবলের চিত্র। শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে তাদের মাটিতেই দাপট দেখিয়ে ম্যাচ ড্র করেছে বাংলাদেশ।
আরেক প্রবাসী ফুটবলার সামিত সোম লাল-সবুজ জার্সি গায়ে জড়াতে সম্মতি দিয়েছেন। এছাড় জাতীয় দলের ক্যাম্পে ছিলেন ফাহমিদুল ইসলামের তরুণ প্রবাসী ফুটবলারও। দেশের ফুটবলের হাল ধরতে প্রবাসীদের দিকেই ঝুকে যাচ্ছে বাফুফে। এমনকি শুধু প্রবাসী ফুটবলারদের নিয়ে আলাদা করে ক্যাম্প আয়োজনের কথাও ভাবছে ফুটবল ফেডারেশন।
আরও পড়ুন: আঙুলের চোটে পিএসএল শেষ লিটনের, ফিরছেন দেশে
তবে দেশের ফুটবলের উন্নতি করতে হলে তৃণমূল পর্যায়ে উন্নতি করতে হবে বলে মনে করেন আমিনুল হক। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) গণমাধ্যমের সাথে আলাপচারিতায় আমিনুল বলেন, “আমাদের ফুটবলার তৈরি করার দিকে গুরুত্ব দেওয়া দরকার। বাফুটবলে হয়তো আমাদের বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অনেক ফুটবলাররা দেশের হয়ে খেলা আগ্রহ দেখাচ্ছে। তবে আমার কাছে মনে হয় এটা আপদকালীন একটা সময় পার করা। বাংলাদেশের ফুটবলকে যদি দৃঢ় ও সুসংগঠিত অবস্থায় নিয়ে যেতে চাই তাহলে আমাদের পাইপলাইনে ফুটবলার তৈরি করতে হবে। আমাদের তৃণমূলে হামজা চৌধুরীর মতো ফুটবলার লাগবে।”
তিনি আরো বলেন, “আপনি বিদেশ থেকে ফুটবলার এনে রাতারাতি দেশের ফুটবলে পরিবর্তন আনতে পারবেন না। বাংলাদেশে যদি ফুটবলে উন্নতি করতে হয় তাহলে একেবারে গ্রাসরুট লেভেল থেকে ভালো মানের ফুটবলার তৈরি করতে হবে। প্রবাসী ফুটবলার দিয়ে হয়তো আমরা সাময়িক সময়ের জন্য চালাতে পারবো কিন্তু লম্বা সময়ের জন্য এটা মোটেই ফলপ্রসূ হবে না।”
আরও পড়ুন: পিএসএলের মোটা অঙ্কের প্রাইজমানি প্রকাশ
দেশের ফুটবলের উন্নতির লক্ষ্যে কি করণীয় সেটাও উঠে এসেছে আমিনুলে কন্ঠে। তিনি বলেন, “আমাদের স্কুল পর্যায় ফুটবল করতে হবে, জেলা পর্যায়ে খেলা নিশ্চিত করতে হবে। লিগ করতে হবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে আমাদের মাঠ সংরক্ষণ করতে হবে। তবে সব কিছু রাতারাতি আসবে না। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা পরই কাঙ্খিত ফলাফল পাওয়া সম্ভব।”