প্রিমিয়ার লিগের পর এবার ফেডারেশন কাপেও বসুন্ধরা কিংসকে হারিয়েছে মারুফুল হকের আবাহনী৷ টাইব্রেকারে কিংসকে ৪-২ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে ফেডারেশন কাপের ফাইনাল নিশ্চিত করলো ঢাকা আবাহনী৷
আরও পড়ুন: শেষ ওভারের নাটকীয়তায় ইডেনে কলকাতার হার
কুমিল্লার ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে ম্যাচের প্রথমার্ধ শেষ হয়েছে গোলশূন্য ব্যবধানে। তবে বিরতির আগেই বড় এক ধাক্কা খায় আবাহনী। ৪২ মিনিটে ফয়সাল আহমেদ ফাহিমকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন আসাদুজ্জামান বাবলু। ফলে ম্যাচের বাকি সময় ১০ জনের দল নিয়েই কিংসের বিপক্ষে লড়তে হয়েছে আবাহনীকে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটাও অবশ্য শুভ হয়নি আবাহনীর জন্য৷ ৫৭ মিনিটে মজিবর রহমান জনি এগিয়ে দেন বসুন্ধরাকে। জনাথনের ক্রসে টোকা মেরে দারুণ এক গোল করেন তিনি। তবে একজন কম খেলোয়াড় নিয়েও আশা হারায়নি আবাহনী। বরং হন্য হয়ে গোলের সুযোগ খুঁজছিল তারা৷ অবশেষে ধরা দেয় গোল নামক আরাধ্য৷ ম্যাচের ৮৪ মিনিটে বক্সের কিছুটা বাইরে এমেকা ওগবুহ ফাউলের শিকার হলে ফ্রি কিক পায় তারা। সেখানেই আবাহনীকে সমতায় ফেরান আরমান ফয়সাল আকাশ। ফ্রি কিক থেকে ব্রাজিলিয়ান রাফায়েল অগুস্তোর শট বারে লেগে ফিরে এলেও ফিরতি শটে বল জালে জড়ান আকাশ৷
আরও পড়ুন: তাসকিন-এবাদত কেন নেই, ব্যাখ্যা করলেন প্রধান নির্বাচক
এরপর খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। যেখানে দুই দলই সুযোগ তৈরি করলেও, তা কাজে লাগাতে পারেনি কেউই। তবে হাল না ছেড়ে দেওয়া আবাহনী জয়ের ঢেঁকুর তোলে টাইব্রেকারে। অতিরিক্ত সময়ের শেষদিকে টাইব্রেকারে সাফল্য পেতে গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণকে তুলে আনিসুর রহমান জিকোকে নামায় কিংস। জিকো শুরুতে কাজের কাজটা ঠিকই করলেন, ঠেকিয়ে দেন জাফর ইকবালের শট। কিন্তু তবুও অপ্রতিরোধ্য ছিল আবাহনী৷ পরের চারটি শটে ঠিকই গোল করেন রাফায়েল অগুস্তো, এমেকা ওগবুহ, সবুজ হোসেন ও মোহাম্মদ ইব্রাহীম। বসুন্ধরার হয়ে জনাথন ফার্নান্দেজ, মোরসালিন শেখ গোল করলেও হতাশায় ডোবান রাব্বি হোসেন রাহুল ও দাসিয়েল এলিস। এতে দুই বছর পর ফেডারেশন কাপের ফাইনালে উঠল আবাহনী।
তবে বসুন্ধরা কিংস হেরে গেলেও টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যায়নি। ১৫ এপ্রিল কিংস অ্যারেনাতে রহমতগঞ্জের বিপক্ষে খেলবে তারা। ওই ম্যাচে জিতলে ২২ এপ্রিল ফাইনালে আবাহনীর মুখোমুখি হবে তারা৷