প্রথম লেগের বিশাল পরাজয়ই শেষ পর্যন্ত কাল হয়ে দাঁড়ালো জার্মান জায়ান্ট বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের জন্য। নিজেদের ঘরের মাঠে বার্সেলোনাকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়েও রক্ষা হলো না বরুশিয়ার। এগ্রিগেটে ৫-৩ ব্যবধানে হেরে বিদায় নিতে হলো জার্মান জায়ন্টদের। অন্যদিকে প্রায় ছয় বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে উঠলো কাতালান জায়ান্টরা।
আরও পড়ুন: জ্যোতির ব্যাটে রেকর্ডের ঝড়, সাফল্যে ভাসছে বাংলাদেশও
নিজেদের ঘরের মাঠে প্রথম লেগে লেওয়ানডস্কি-রাফিনিয়া জাদুতে বরুশিয়াকে পাত্তাই দেয়নি বার্সেলোনা। তবে এবার ফিরতি লেগে ডর্টমুন্ডের আঙিনায় ছেলেখেলার শিকার হয়েছে হান্সি ফ্লিক শিষ্যরা। সিগনাল এদুনা পার্কে বার্সার বিপক্ষে একচ্ছত্র দাপট দেখিয়েই ম্যাচ জিতেছে স্বাগতিকরা। যদিও বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে ছিলো স্প্যানিশ জায়ান্টরাই তবে বরুশিয়ার মুহুর্মুহু আক্রমণ সামলাতেই সময় কেটে গেছে ফ্লিক শিষ্যদের।
চার গোলে পিছিয়ে থেকে মাঠে বরুশিয়া গোলের দেখা পায় ম্যাচের ১১ তম মিনিটেই। বার্সা গোলরক্ষক সেজনির ফাউলে পেনাল্টি পায় স্বাগতিকরা। সেখান থেকে ঠান্ডা মাথায় গোল করে দলকে লিড এনে দেন সেরহু গুইরাসি। এরপর একের পর এক আক্রমণে কোনঠাসা হতে থাকে বার্সার রক্ষণভাগ। পুরো প্রথমার্ধ জুড়ে মাত্র এক শট নেয়া বার্সার মূল পরীক্ষা ছিলো রক্ষণভাগেই। এই একই সময়ে স্বাগতিকরা শুধু বার্সার লক্ষ্যেই শট নিয়েছে সাতটি। মাঠের খেলায় ফ্লিক শিষ্যদের এই মৌসুমে এভাবে কেউই ভোগায়নি।
আরও পড়ুন: জিতেও হতাশ অ্যাস্টন ভিলা, সেমিতে পিএসজি
বিরতির পর মাঠে ফিরে আবারো ডর্টমুন্ডের গোল। আবারো স্কোরবোর্ডে নাম ওঠে গুইরাসির। ৪৯তম রামি বেনসেবাইনির হেড পাস থেকে হেডে বল জালে জড়ান ব্যবধান কমান এই ফুটবলার। যদিও ম্যাচের ৫৩ মিনিটে কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসে বার্সা শিবিরে। ফারমিন লোপেজের বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে উল্টো নিজেদের জালেই বল জড়িয় ফেলেন বুরুশিয়ার ডিফেন্ডার রামি।
ম্যাচে ৭৫তম মিনিটে নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন গুইরাসি। রোনাল্ড আরাউহোর ভুলে বল পেয়ে যান গিনির এই স্ট্রাইকার। সেখান থেকে সহজেই বল জালে জড়ান গুইরাসি। শেষ দিকে ব্যবধান কমানোর জন্য মরিয়া ডর্টমুন্ডের হয়ে গোলে দেখা পান ব্রান্ডট। তবে অফসাইডে বাতিল হলে ৩-১ ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় ডর্টমুন্ডকে। যদিও দুইলেগ মিলয়ে বিজয়ের হাসিটা হেসেছে বার্সেলোনাই।
আরও পড়ুন: টানা তিন জয়ে বিশ্বকাপের আরো কাছে জ্যোতি-নাহিদারা
এদিকে এই পরাজয়ের মাধ্যমে টানা ২৪ ম্যাচ পর হারের মুখ দেখলো ফ্লিক শিষ্যরা। ২০১৯ সালের পর এবারই প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ চারে খেলবে স্প্যানিশ জায়ান্টরা। সেমিফাইনালের প্রতিপক্ষ হবে বায়ার্ন মিউনিখ-ইন্টার মিলানের মধ্যকার জয়ী দল।