পয়েন্ট টেবিলের এক নম্বরে যাওয়ার সুযোগ হারালো হামজা চৌধুরীর শেফিল্ড ইউনাইটেড। টেবিলের নিচের সারির দল অক্সফোর্ড ইউনাইটেডের বিপক্ষে ১-০ গোলের ব্যবধানে ম্যাচ হেরেছে শেফিল্ড। এই পরাজয়ে টানা ছয় ম্যাচ ধরে প্রতিপক্ষের মাঠে জয়ের ধারাও ভেঙে গেলো শেফিল্ডের।
আরও পড়ুন: ফাস্ট বোলার ক্যাপ্টেন হতে পারে না, মানেন না সুজন
ম্যাচের শুরু থেকেই শেফিল্ডের উপর চাপ দিতে থাকে অক্সফোর্ড। প্লাচেতার দারুণ এক ক্রসে ব্যাক পোস্টে বল পান মার্ক হ্যারিস। তবে বলে ঠিকমতো সংযোগ না লাগায় সে যাত্রায় বল চলে যায় বাইরে। সফরকারীরা নিজেদের ছন্দ ফেরত পেতে বেশ কিছুটা সময় নিলেও ম্যাচের ১১ মিনিটে হ্যারিসনের দূরপাল্লার শটে গোলের সুযোগ ঠিকই তৈরি করে। তবে অক্সফোর্ডের গোলরক্ষক জেমি কামিংয়ে দক্ষতায় সে যাত্রায় রক্ষা পায় স্বাগতিকরা।

অল্প কিছু সময় পর আরও এক দুর্দান্ত সেভে ব্যবধান সমতায় রাখেন অক্সফোর্ডের গোলরক্ষক জেমি কামিং। পেনাল্টি বক্সের মাঝখান থেকে নেয়ে ক্যাম্পবেলের শট দারুণভাবে প্রতিহত করেন এই গোলরক্ষক। উল্টো ম্যাচের ৩৮ মিনিটে গোলের দেখা পায় অক্সফোর্ড।
আরও পড়ুন: ঘরের মাঠে মাদ্রিদের হার, ইপিএলে আর্সেনালের হোঁচট
শেফিল্ড ওয়েনেসডের সাবেক মিডফিল্ডার উইল ভকসের লম্বা থ্রো বেন নেলসনের হেডে চলে যায় নিয়ার পোস্টে। তবে সেই বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হয় হামজার দল। বলটি শেষ পর্যন্ত ডেম্বেলের পায়ে পড়লে গোললাইন ছেড়ে বেড়িয়ে আসা মাইকেল কুপারকে পাশ কাটিয়ে স্বাগতিকদের হাফটাইমের আগে লিড এনে দেন এই উইঙ্গার।
দ্বিতীয়ার্ধে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে শেফিল্ড ইউনাইটেড। বিরতি থেকে ফিরে তিন মিনিটের মাথায় সেইডি পেকের দারুণ এক হেড গোললাইন থেকে ক্লিয়ার করে স্বাগতিকরা। ম্যাচ জিততে মরিয়া হয়ে ওঠা শেফিল্ড একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে অক্সফোর্ডের গোলে তবে কাঙ্খিত সেই গোলের দেখা পায়নি।

ম্যাচের ২০ মিনিট বাকি থাকত গাস হ্যামার পেককে বক্সের ঠিক বাইরে দারুণ এক পাস দেন। কিন্তু পেকের ডান পায়ের প্রচেষ্টা কামিংয়ের গোলপোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে চলে যায়। পুরো ম্যাচে দাপুটে ফুটবল খেলা শেফিল্ড বলের পজিশন ধরে রাখে ম্যাচের ৭৩ শতাংশ সময়। শুধু দ্বিতীয়ার্ধেই ৭৮ শতাংশ সময় বল ছিলো হামজার দলের দখলে। তবে মাঠের খেলায় গোলের দেখা না পাওয়ায় ম্যাচ হারতে হয় হামজার দলের।
আরও পড়ুন: ধোনিদের হারের হ্যাটট্রিকে দিল্লির টানা তিন জয়
এই পরাজয়ে টেবিলের শীর্ষে ওঠার সুযোগ হারায় শেফিল্ড ইউনাইটেড। ৪০ ম্যাচ শেষে ২৬ জয় ও ৭ ড্রতে শেফিল্ডের পয়েন্ট এখন ৮৩। টেবিলের এক নম্বরে অবস্থান রয়েছে বার্নলির। ৪০ ম্যাচে তাদের ঝুলিতে আছে ৮৪ পয়েন্ট। সমান সংখ্যক ম্যাচে লিডসের পয়েন্ট সংখ্যা ৮২।