পুরো ম্যাচে গোল করার উদ্দেশ্যে শট নেওয়া হয়েছে ৪৪টি। তবে যার মধ্যে কেবল ৪টিই নিতে পেরেছে মায়ার্কো। বাকি ৪০টি শটই নিয়েছে হ্যান্সি ফ্লিকের দল। যদিও দিনশেষে বার্সার জয়টা কেবল ১ গোলে। তবে পূর্ণ ৩ পয়েন্ট পেয়ে শিরোপার আরও কাছে কাতালানরা।
প্রথমার্ধেই একের পর এক আক্রমণে প্রতিপক্ষকে কোণঠাসা করে ফেলে বার্সেলোনা। কিন্তু গোলমুখে সিদ্ধান্তহীনতা আর প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে গোলের দেখা মিলছিল না। তবে বিরতির পর এসে ম্যাচের একমাত্র গোলটি এনে দেন দানি ওলমো। তার গোলে ঘরের মাঠে ১-০ ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে কাতালানরা।
আরও পড়ুন: থাইল্যান্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত বাংলাদেশের

এই জয়ে লিগ টেবিলে ফের সাত পয়েন্টের ব্যবধানে এগিয়ে গেল হ্যান্সি ফ্লিকের দল। যদিও দ্বিতীয়স্থানে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের হাতে একটি ম্যাচ বেশি রয়েছে।
এই ম্যাচে রোটেশন নীতিকে গুরুত্ব দেন বার্সা কোচ। মূল একাদশে সাতটি পরিবর্তন এনে মাঠে নামান ফ্লিক। দীর্ঘদিন পর শুরুর একাদশে সুযোগ পান আনসু ফাতি, বিশ্রাম দেওয়া হয় রাফিনহার মতো তারকাকে। তবু খেলায় ছিল না কোনো কমতি। ম্যাচের শুরু থেকেই বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মায়োর্কাকে চেপে ধরে বার্সা।
প্রথমার্ধেই প্রতিপক্ষের রক্ষণের ভেতরে ঢুকে একের পর এক শট নেয় বার্সেলোনা। তরেস, ইয়ামাল, ওলমো, গাভি— প্রত্যেকেই চেষ্টা করেন গোলের জন্য। কিন্তু প্রতিবারই বাধা হয়ে দাঁড়ান গোলরক্ষক লিও রোমান। কখনও তার দারুণ রিফ্লেক্স, কখনও ডিফেন্ডারদের ব্লকে হতাশ হতে হয় ফ্লিকের শিষ্যদের।

প্রথমার্ধের শেষদিকে একবারে তীব্র চাপ তৈরি করে বার্সা। মাত্র ১৫ সেকেন্ডে টানা চারটি শট নেয় তারা, যার দুটি গোলরক্ষক ঠেকান, দুটি ব্লক হয় ডিফেন্ডারদের হাতে। কিন্তু গোল কিছুতেই আসছিল না। উপরন্তু বিরতির ঠিক আগে অফসাইডের কারণে মায়োর্কার একটি গোল বাতিল হয়।
দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হতেই যেন রূপ বদলায় ম্যাচ। প্রথম মিনিটেই আসে কাঙ্ক্ষিত গোল। এরিক গার্সিয়ার পাস থেকে বল পেয়ে ডি-বক্সে দুর্দান্ত এক ফিনিশিংয়ে জাল খুঁজে নেন ওলমো। মায়োর্কার ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে গিয়েছিল বল, তবু দিক হারায়নি ওলমোর শট।
আরও পড়ুন: জিম্বাবুয়েকেই এগিয়ে রাখছেন মুজারাবানি
এরপর ব্যবধান বাড়ানোর অনেক সুযোগ পেলেও ফিনিশিং ব্যর্থতায় গোলের সংখ্যা বাড়াতে পারেনি বার্সা। ইয়ামাল একবার একদম একা হয়ে গিয়েও পারেননি গোলরক্ষককে পরাস্ত করতে। ভিক্তর এবং ফাতিও বারবার রোমানের গ্লাভসে আটকে যান।

গোটা ম্যাচে বার্সেলোনার দাপট ছিল পরিসংখ্যানে চোখে পড়ার মতো। বল দখলে ৭৮ শতাংশ সময় নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি ৪০টি শট নেয় তারা, যার মধ্যে ১৩টি ছিল লক্ষ্যে। বিপরীতে মায়োর্কার মাত্র ৪টি শটের একটিও ছিল না লক্ষ্যে।
ম্যাচ শেষে ৭৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বার্সেলোনা। অন্যদিকে ৩৩ ম্যাচে ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম স্থানে মায়োর্কা।