মাত্র আট ঘন্টার ব্যবধানে দুটি ভিন্ন মহাদেশে পতন ঘটলো দুই কিংবদন্তির। এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে বিদায় নিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, আর কনকাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের সেমিতে থেমে গেল লিওনেল মেসির মায়ামি। ইউরোপের ফুটবল যখন গোলবন্যায় মত্ত তখন ক্যারিয়ারের শেষ বেলায় এশিয়া ও আমেরিকায় বিদায়ের ঘন্টা বাজলো মেসি-রোনালদোর।
আরও পড়ুন: ছয় গোলের সেমিফাইনালে জেতেনি বার্সা-ইন্টারের কেউই
বুধবার (৩০ এপ্রিল) জেদ্দায় জাপানিজ ক্লাব কাওয়াসাকির বিপক্ষে ৩-২ গোলে ম্যাচ হেরে ফাইনালে ওঠার স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর আল নাসরের। গোটা ম্যাচে আধিপত্যটা ছিলো আল নাসরের, তবে শেষ পর্যন্ত জয়ের হাসি হেসেছে জাপানিজ ক্লাবটিই। ম্যাচের দশম মিনিটে কাওয়াসাকিকে এগিয়ে দেন তাতসুয়া ইতো। ২৮ মিনিটে অবশ্য প্রতিপক্ষের দুই ডিফেন্ডারকে পাশ কাটিয়ে দলকে সমতায় ফেরান সাদিও মানে।
তবে ৪১ মিনিটে ওজেকির গোলে ২-১ ব্যবধানে লিড নিয়েই বিরতিতে যায় কাওয়াসাকি। বিরতি থেকে ফিরে একের পর এক চাপ সৃষ্টি করে আল নাসর। রোনালদোর এক হেড প্রতিপক্ষের বারে লেগেও ফেরত আসে। কোনো কিছুতেই যখন লাভ হচ্ছিলো না তখন ইয়েনাগার গোলে বিপদ আরো বাড়ে আল নাসরের। তবে ৮৭ মিনিটে ইয়াহিয়ার দূরপাল্লার শট জালে জড়ালেও তা জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিলো না। ৩-২ গোলের হার নিয়েই মাঠ ছাড়ে রোনালদোর দল।
আরও পড়ুন: অবিস্মরণীয় কীর্তি গড়ে মিরাজের কীর্তি প্রকাশ
অন্যদিকে কনকাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের সেমিফাইনালে দ্বিতীয় লেগেও হারতে হয়েছে মেসি বাহিনীকে। ৩-১ গোলে দ্বিতীয় লেগে পরাজয়ের পাশাপাশি এগ্রিগেটে ৫-১ গোলে পিছিয়ে থেকে সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেয় মায়ামি। প্রথম লেগে ২-০ গোলে হারার পর দ্বিতীয় লেগের শুরুটা বেশ ভালোই করেছিলো মায়ামি। ৯ মিনিটেই লুইস সুয়ারেজের এসিস্টে বল জায়ালে জড়ান জর্দি আলবা।
তবে বিরতির পর বিশ মিনিটের এক ঝড়ে পুরো লন্ডভন্ড হয়ে যায় ইন্টার মায়ামি। তিনবার তাদের জালে বল জড়ায় ভ্যাঙ্কুভার। আর তাতেই নিশ্চিত হয় ইন্টার মায়ামির পরাজয়। এই হারে কনকাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের ফাইনালের স্বপ্নভঙ্গ হলো লিওনেল মেসি, লুইস সুয়ারেজদের। আর প্রথমবারের মতো প্রতিযোগিতাটির ফাইনালে উঠলো ভ্যাঙ্কুভার এফসি।