চুক্তি অনুযায়ী মৌসুম শেষেই অ্যানফিল্ড ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিলো লিভারপুলের দুই তারকা ফুটবলার মোহাম্মদ সালাহ ও ভার্জিল ভ্যান ডাইকের। তবে মৌসুমের একেবারে শেষ দিকে এসে দুজন ফুটবলারের সাথেই চুক্তি করেছে অলরেডরা। প্রথমে সালাহর সাথে চুক্তি নবায়ন করা লিভারপুল এবার আরো দুই বছরের জন্য দলে রেখে দিছে ভার্জিল ভ্যান ডাইককে।
তবে ৩৩ বছর বয়সী ভ্যান ডাইককে দলে রেখে দিতে অবশ্য রেকর্ড পরিমাণ অর্থমূল্যের চুক্তি করতে হয়েছে অলরেডদের। যেই বয়সে ফুটবলারদের পারিশ্রমিক নিয়ে দরকষাকষিতে মেতে ওঠে ক্লাবগুলো সেই বয়সেই কিনা আরো বেশি পারিশ্রমিক পাচ্ছেন নেদারল্যান্ডসের এই ফুটবলার। যেভাবেই হোক এই ডিফেন্ডারকে দলে রেখে দিতে চেয়েছিলো লিভারপুল। শেষ পর্যন্ত তাকে ২০২৭ পর্যন্ত ধরে রাখার বন্দোবস্ত ঠিকই করতে পেরেছে ক্লাবটি। তবে এর জন্য গুণতে হয়েছে মোটা অঙ্কের অর্থ।

ব্রিটিশ একাধিক গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে জানা গেছে, চুক্তি নবায়নের পর প্রতি সপ্তাহে ভ্যান ডাইকের বেতন হবে চার লাখ পাউন্ড। এই বিপুল পরিমাণ অর্থের চুক্তির পর লিভারপুলের সবচেয়ে বেশি বেতন পাওয়া ফুটবলার এখন ভ্যান ডাইকই। শুধু লিভারপুল নয়, ইউরোপের ফুটবলেও তিনি এখন সবচেয়ে বেশি বেতনের ডিফেন্ডার।
আরও পড়ুন: দলের প্রস্তুতি নিয়ে সন্তুষ্ট অধিনায়ক শান্ত
সপ্তাহে চার লাখ পাউন্ড, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা কিনা সাড়ে ছয় কোটি টাকার সামান্য কম। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ প্রতি সপ্তাহে আয় করে ইউরোপে শীর্ষস্থান দখল করলেও বিশ্ব ফুটবলে ভ্যান ডাইকের অবস্থান দ্বিতীয়। সৌদি প্রো লিগের অর্থের ঝনঝনানির কাছে সাম্প্রতিক সময়ে হার মানতে হয়েছে ইউরোপের সব নামিদামি ক্লাবগুলোকে। ডিফেন্ডারের বেতন দেওয়ার ক্ষেত্রেও এবার ইউরোপের ক্লাবগুলোকে পেছনে ফেলছে আল হিলাল-আল নাসরের মতো ক্লাবগুলো।

সৌদি লিগে আল হিলালের ডিফেন্স সামলানোর মূল দায়িত্বটা রয়েছে কুলিবালির কাঁধে। আর একারণে তার পিছনে আল-হিলাল খরচ করে প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৫ লাখ ৫৩ হাজার ২২৫ পাউন্ড। ভ্যান ডাইকের তুলনায় যা কিনা প্রায় দেড় লাখেরও বেশি। ২০২৩ সালে ইউরোপ ছেড়ে সৌদি আরবে পাড়ি জমান এই ডিফেন্ডার। এর আগে নাপোলি, চেলসির মতো দলেও খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে কুলিবালির।
আরও পড়ুন: বিটিভির প্রতি বিসিবির কৃতজ্ঞতা প্রকাশ
এই তালিকার তিন নম্বরে অবস্থান করছে স্প্যানিশ ডিফেন্ডার আইমেরিক লাপোর্তে। রোনালদোর সতীর্থ হিসেবে আল-নাসরে খেলা এই ফুটবলারের প্রতি সপ্তাহে বেতন প্রায় ৩ লাখ ৯০ হাজার পাউন্ডেরও বেশি। রিয়াল মাদ্রিদ তারকা ডেভিড আলাবাও বেতন প্রাপ্তির দিকে দিয়ে রয়েছে বেশ উপরে। তালিকার চার নম্বরে থাকা আলাবার পকেটে প্রতি সপ্তাহে ঢোকে ৩ লাখ ৫৮ হাজার পাউন্ডের বেশি। নিজেদের দুইজন ডিফেন্ডার আশরাফ হাকিমি ও লুকাস হার্নান্দেজকে প্রতি সপ্তাহে তিন লাখ পাউন্ডের বেশি অর্থ প্রদান করে পিএসজি।