বুধবার রাতে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে মায়োর্কাকে ২-১ গোলে হারিয়ে কার্লো আনচেলত্তির দল। যোগ করা সময়ের একেবারে শেষ মিনিটে ইয়াকোবো রামনের অবিশ্বাস্য এক গোলের মিলেছে স্বস্তির জয়। আর সেই জয়ের সঙ্গে বেঁচে রইল লা লিগার শিরোপার ক্ষীণ আশা। কাগজে-কলমের সেই আশা অবশ্য ভেস্তে যেতে পারে বার্সেলোনার পরের ম্যাচেই। এসপানিওলের বিপক্ষে জয় পেলেই শিরোপা নিশ্চিত হবে কাতালানদের।
আরও পড়ুন: ভারত নয়, আপাতত আরব আমিরাতই গন্তব্য মুস্তাফিজের
ইনজুরি কিংবা নিষেধাজ্ঞার কবলে ভিনিসিউস জুনিয়রসহ মূল দলের ১২ জন ফুটবলারকে ছাড়াই এদিন মাঠে নামতে হয় রিয়াল মাদ্রিদকে। এরপরও শুরু থেকেই আক্রমণের ঝড় তোলে স্বাগতিকরা। কিন্তু মায়োর্কার গোলরক্ষক লিও রোমান যেন একাই রুখে দাঁড়ান। ৩৯টি শট নেয় রিয়াল, যার মধ্যে ১৩টিই ছিল লক্ষ্যে। কিন্তু রোমানের ১০টি সেভ গোলপোস্টের সামনে বারবার হতাশ করেছে এমবাপে-বেলিংহ্যামদের।

ম্যাচের ১১তম মিনিটেই পিছিয়ে পড়ে রিয়াল। বাঁ পায়ের নিখুঁত শটে বল পাঠান রিয়ালের জালে বল জড়ান মার্তিন ভ্যালিয়েন্ত। এরপর একের পর এক আক্রমণ করে গেলেও গোল পাচ্ছিল না রিয়াল। এমবাপে, বেলিংহ্যাম, মদ্রিচরা বারবার চেষ্টা চালালেও গোলের দেখা মিলছিলো না। উল্টো এক গোলে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যায় মাদ্রিদ। বিরতির পর শেষ পর্যন্ত ৬৮তম মিনিটে মদ্রিচের পাস ধরে দুর্দান্ত ড্রিবলিংয়ে চার ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে গোল করেন কিলিয়ান এমবাপে।
আরও পড়ুন: ফিজের আইপিএল খেলার ব্যাপারে জানে না বিসিবি
চলতি লা লিগায় এটা ছিলো এমবাপের ২৮তম গোল। আর সব মিলিয়ে রিয়ালের হয়ে অভিষেক মৌসুমে ৪০তম গোল, যা কিনা মাদ্রিদের যেকোনো ফুটবলারের জন্য সর্বোচ্চ। আগের ম্যাচেই বার্সেলোনার ইভান সামোরানোর ৩৭ গোল ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন এই ফরাসি স্ট্রাইকার।

তবে সমতা নিয়ে খেলা যখন ড্রয়ের দিকে এগোচ্ছিলো তখনই নাটকীয়তার জন্ম দেন রামন। যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে কর্নার ক্লিয়ার হওয়ার পর বাঁ দিক থেকে সতীর্থের ক্রসে বক্সের ঠিক বাইরে হেড করেন বদলি খেলোয়াড় হেসুস ভালেহো। প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারদের অগোচরে বল পেয়ে যান মাত্র ২০ বছর বয়সী ইয়াকোবো রামন। প্রথম স্পর্শেই দুর্দান্ত এক ভলিতে বল জালে জড়ান তরুণ ডিফেন্ডার। ক্যারিয়ারের প্রথম গোলেই রিয়ালকে নাটকীয় জয়ের স্বাদ এনে দেন রামন।
আরও পড়ুন: বিফলে আকবরের সেঞ্চুরি, সিরিজে সমতা প্রোটিয়া ইমার্জিংয়ের
রিয়াল যদি এই ম্যাচে জয় না পেত, তাহলে তিন ম্যাচ বাকি থাকতেই বার্সেলোনা শিরোপা নিশ্চিত করে ফেলত। হানসি ফ্লিকের দলের জন্য তাই অপেক্ষা আরও একটু দীর্ঘ হলো। তবে বৃহস্পতিবার এস্পানিওলের বিপক্ষে জিতলেই শিরোপা পুনরুদ্ধার করবে কাতালানরা। ৩৬ ম্যাচে ২৪ জয় ও ৬ ড্রয়ে রিয়ালের পয়েন্ট ৭৮। এক ম্যাচ কম খেলে শীর্ষে থাকা বার্সেলোনার পয়েন্ট ৮২। অন্যদিকে ৩৬ ম্যাচে ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের নবম স্থানে রয়েছে মায়োর্কা।