বুধবার, জুন ২৫, ২০২৫
সামি'স কর্নার

ম্যাচ হারার দায় নিয়ে ক্ষমা চাইলেন নেইমার

সান্তোসের জার্সিতে দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে ছিলেন নেইমার। চোটের কারণে প্রায় দেড় মাস পর শুরুর একাদশে ফিরেছেন। তবে শুরুটা তেমন ভালো না হলেও সবাই অপেক্ষা করছিলেন, যদি পুরনো নেইমারকে আবার দেখা যায়। কিন্তু হলো উল্টো। দ্বিতীয়ার্ধে এক বিতর্কিত গোলের চেষ্টায় তিনি লাল কার্ড দেখেন। তার সেই ভুলেই ম্যাচ হাতছাড়া হয় সান্তোসের। শেষ পর্যন্ত তার ভুলের মাশুল গুনয়ে হয় তার ক্লাবকে। একজন কম নিয়ে শেষমুহূর্তে গোল খেয়ে হারতে হয় ম্যাচ। আর এই হারের দায় পুরোটাই নিজের কাধে নিয়েছেন নেইমার। 

আরও পড়ুন: কার্ডিফে রুটের মহাকাব্য, ভিভকে ছাড়িয়ে কেসির কীর্তি

ম্যাচটা ছিল বোতাফোগোর বিপক্ষে। প্রথমার্ধেই একটি ফাউল করে হলুদ কার্ড পান নেইমার। এরপর ৭৫তম মিনিটে দেখেন দ্বিতীয় কার্ড। সান্তোস তখন আক্রমণে, বোতাফোগোর গোলকিপার শট ঠেকাতে পারলেও পুরোপুরি বিপদমুক্ত করতে পারেননি। ফিরতি বল গিয়ে পড়ে নেইমারের সামনে। তিনি হয়তো হেড করতে যাচ্ছিলেন, এমন সময় এক ডিফেন্ডার পা বাড়িয়ে বল ক্লিয়ার করতে চান। কিন্তু তার আগেই নেইমার হাত দিয়ে বল জালে পাঠিয়ে দেন।

গোল হয়েছে ভেবে সান্তোসের সমর্থকেরা চিৎকার করে ওঠেন। কিন্তু বোতাফোগোর খেলোয়াড়েরা সঙ্গে সঙ্গে রেফারির কাছে ছুটে যান প্রতিবাদ জানাতে। এদিকে নেইমার পড়ে যান মাটিতে, যেন আঘাত পেয়েছেন এমন ভঙ্গিতে। রেফারি শুরুতে বুঝতে পারেননি বলটি হাতে লেগেছে কি না। পরে নেইমারকে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখিয়ে মাঠ থেকে বের করে দেন।

আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়াকে সামলাতে একদিনের জন্য ব্রডকে কোচ করলো দক্ষিণ আফ্রিকা 

মাঠ ছাড়ার সময় নেইমার রেফারির সঙ্গে অনেক কথা বলেন, বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। তখনও ম্যাচের স্কোর ছিল ০-০। কিন্তু ১০ জনের সান্তোস পরে আর চাপ সামলাতে পারেনি। নেইমার মাঠ ছাড়ার ১০ মিনিট পরই বোতাফোগো গোল করে। সেটাই হয়ে যায় জয়সূচক গোল।

ম্যাচের পরে নেইমার নিজের দোষ স্বীকার করেন। সামাজিক মাধ্যমে লেখেন, “আমি একটা ভুল করেছি। আমাকে ক্ষমা করবেন। যদি আমি মাঠে থাকতাম, আমাদের তিন পয়েন্ট পাওয়া নিশ্চিত ছিল। ওই তিন পয়েন্ট না পাওয়ার দায় আমারই।” এই ম্যাচেই হয়তো শেষ হয়ে গেল সান্তোসে নেইমারের দ্বিতীয় অধ্যায়। ক্লাব বিশ্বকাপের আগে সান্তোসের আর মাত্র একটি ম্যাচ বাকি। সেই ম্যাচে নেইমার খেলতে পারবেন না কারণ তার ওপর ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা পড়েছে। আর বিশ্বকাপ শেষে যখন আবার লিগ শুরু হবে, তখন নেইমারের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। নতুন করে চুক্তি না করলে আর সান্তোসের হয়ে তাকে দেখা যাবে না।

আরও পড়ুন: শেফিল্ডকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিদায়ী বার্তা হামজার

নেইমার এবছরের জানুয়ারিতে সৌদি আরবের আল হিলাল ছেড়ে শৈশবের ক্লাব সান্তোসে ফেরেন। সেই ফেরাকে ঘিরে সান্তোসে ছিল অনেক আবেগ, উচ্ছ্বাস। কিন্তু বারবার চোটে পড়ে তিনি খুব বেশি ম্যাচ খেলতেই পারেননি। পারফরম্যান্সও বলার মতো কিছু ছিলো না। লিগে দলটিও খুব খারাপ অবস্থায় আছে, ১১ ম্যাচে মাত্র ৮ পয়েন্ট। অবনমনের ঝুঁকিতে থাকা দলটিত অবস্থান লিগ টেবিলের ১৮ নম্বরে।

আরও খবর

একটি মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য লিখুন
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

সর্বশেষ খবর

জনপ্রিয় খবর