ইউরোপ কাঁপিয়ে ক্যারিয়ারের পড়ন্ত বেলায় যুক্তরাষ্ট্রের মেজর সকার লিগে মাঠ মাতাচ্ছেন তর্ক সাপেক্ষে সর্বকালের সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি। খেলছেন ডেভিড বেকহ্যামের মালিকানাধীন ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে। যুক্তরাষ্ট্রের এই ক্লাবটিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই মেসি ও তার পরিবারের সার্বির নিরাপত্তা প্রদানের কাজ করে থাকেন ইয়াসিন চুকো ও তার প্রায় ৫০ সদস্যের দল। তবে এবার এমএলএসে মেসির খেলার মাঠে নি’ষিদ্ধ করা হয়েছে দেহরক্ষী ইয়াসিন চুকোকে।
আরও পড়ুন: দলকে ২০২৭ বিশ্বকাপ জেতাতে চান কোহলি
ফুটবল মাঠে তর্কসাপেক্ষে সেরা ফুটবলার বলা হয় লিওনেল মেসিকে। তাকে খুব কাছ থেকে দেখার জন্য অনেক ভক্ত-সমর্থকই নিরাপত্তাবেষ্টনী টপকে মাঠে ঢুকে পড়েন। এমএলএসের ফুটবলে এ যেন একেবারে নিত্য দিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই ইয়াসিনের দায়িত্ব ছিলো এসব ভক্ত-সমর্থকদের যতটা সম্ভব মেসির কাছ থেকে দূরে রাখা। প্রায় দুই বছরের দায়িত্বে যেই কাজটা দুর্দান্তভাবে সম্পন্ন করেছেন ইয়াসিন। তবে স্প্যানিশ ক্রীড়া দৈনিক মার্কা ও ফুটবল বিষয়ক ওয়েবসাইট গোল ডট কমের তথ্য মতে ইয়াসিনের সাইডলাইনে থাকার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
এমএলএস কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে এমন নিষেধাজ্ঞার অর্থ হলো ইন্টার মায়ামির ম্যাচ চলাকালীন সময়ে লিওনেল মেসির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কাজ করতে পারবেন না ইয়াসিন। এমনকি এই নিষেধাজ্ঞা মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) পাশাপাশি কনকাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপেও বহাল থাকবে। যদিও সাইডলাইনে না থাকতে পারলেও ইন্টার মায়ামির ড্রেসিং রুম কিংবা মিক্সড জোনে মেসির পাশে ইয়াসিনের থাকাতে কোনো আপত্তি নেই লিগ কর্তৃপক্ষের।
আরও পড়ুন: নেটে ম্যাশকে সামলানো কঠিন ছিল, প্রিয় প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা: আশরাফুল
এমএলএস কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তে অবশ্য অসন্তোষ উঠে এসেছে ইয়াসিনের কন্ঠে। ইউরোপের লিগগুলোর পাশাপাশি মেসির সাথে যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করার অভিজ্ঞতার তুলনা করে ইয়াসিন বলেন, “আমি ইউরোপে সাত বছর কাজ করেছি। সেখানে লিগ এ ও চ্যাম্পিয়নস লিগে দায়িত্ব পালন করেছি। এই সময়ে মাত্র ৬ জন ব্যক্তি খেলা চলাকালীন মাঠে ঢুকে পড়েছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে আমি ২০ মাস ধরে কাজ করছি। এরই মধ্যে ১৬ জন মাঠে ঢুকে পড়েছে। এর অর্থ এখানে বিরাট সমস্যা আছে। অথচ আপনারা আমাকে সমস্যা মনে করেন। আমাকে মেসিকে সাহায্য করতে দিন।”
২০২৩ সালের জুলাইয়ে পিএসজি ছেড়ে ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেন মেসি। এরপরই ৩৫ বছর বয়সী ইয়াসিন ও তার দলকে মেসির নিরাপত্তার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়। মার্কিন নৌবাহিনীতে কাজ করা ইয়াসিনের মূল দায়িত্ব ছিলো মেসির সাথে ছায়ার মতো লেগে থাকা। তায়কোয়ান্দো ও বক্সিংয়ে দক্ষ ইয়াসিন মিক্সড মার্শাল আর্টিস্ট হিসেবেও কাজ করেছেন। তবে মেসির দেহরক্ষী হিসেবে দায়িত্ব পাবার পর থেকেই এতো জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন ইয়াসিন। তবে সুঠাম দেহের এই দেহরক্ষীকে আপাতত মাঠে নিরাপত্তা দিতে দেখা যাবে না। যদিও শেষ পর্যন্ত এমএলএস কর্তৃপক্ষ মেসির কতটুকু নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে সেটা হয়তো সময়ই বলে দেবে।
আরও পড়ুন: তিন পরিবর্তন এনে অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় চুক্তি প্রকাশ