চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার বিপক্ষে মৌসুমে টানা চার বার ধবলধোলাই, পিএসজি থেকে এমবাপেকে উড়িয়ে এনেও ট্রফি ছাড়া সিজন শেষ করা, এবারের মৌসুম নিঃসন্দেহে ভুলে যেতে চাইবে রিয়াল সমর্থকেরা। তবে মাঠের ভেতরে পারফরম্যান্স যেমন তেমন, মাঠের বাইরে ঠিকই রাজত্ব চালাচ্ছে স্প্যানিশ জায়ান্টরা।
আরও পড়ুন: বিসিবির পরিকল্পনায় শতভাগ একমত ক্রীড়া উপদেষ্টা: আমিনুল ইসলাম
গত বছর ইতিহাসের প্রথম ক্লাব হিসেবে রিয়াল মাদ্রিদের দাম ছুঁয়েছিল ৫০০ কোটি ইউরো। এবার সেই রেকর্ডও পেছনে ফেলেছে ক্লাবটি। ফুটবল ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো ক্লাবের দাম ৬০০ কোটি ইউরো পেরিয়ে গেছে। রিয়ালের বর্তমান দাম এখন ৬২৭ কোটি ইউরো।

এই হিসাব দিয়েছে হাঙ্গেরির বুদাপেস্ট থেকে পরিচালিত ফুটবল বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘ফুটবল বেঞ্চমার্ক’। ক্লাবের ব্যবসায়িক দিক, আয়, বাজারমূল্য, ঋণসহ সব হিসেবনিকেশ করে তারা প্রতি বছর ক্লাবগুলোর দাম নির্ধারণ করে। এবার নিয়ে দশমবারের মতো ইউরোপের সবচেয়ে দামী ৩২টি ক্লাবের তালিকা প্রকাশ করেছে তারা।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানি রাষ্ট্রপতির সাথে গালা ডিনারে লিটনরা
এই তালিকায় সবচেয়ে দামী ক্লাব হিসেবে শীর্ষে আছে রিয়াল মাদ্রিদ। তাদের পরে আছে ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টার সিটি, যাদের মূল্য ৫১০ কোটি ৪০ লাখ ইউরো ও ৫০৫ কোটি ইউরো নিয়ে তিনে আছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। রিয়ালের দাম গত এক বছরে বেড়েছে প্রায় ২৩ শতাংশ। এর পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ তাদের নতুন সংস্কার করা স্টেডিয়াম সান্তিয়াগো বার্নাব্যু। এখন স্টেডিয়ামে ম্যাচ ডে থেকে আয় হচ্ছে দ্বিগুণ।

গত দশ বছরে রিয়াল ও ম্যানচেস্টার সিটির দাম বেড়েছে ২৮৮ কোটি ইউরোর মতো। তবে রিয়াল মাদ্রিদ এবার শুধু ফুটবল ক্লাবগুলোর মাঝেই নয়, অন্য খেলাগুলোর সঙ্গেও তুলনায় এগিয়ে। যুক্তরাষ্ট্রের এনএফএল ফ্র্যাঞ্চাইজির গড় দাম যেখানে ৫৭০ কোটি ইউরো, আর এনবিএর গড় দাম ৪৪২ কোটি ইউরো, সেই তুলনায় রিয়াল সবার চেয়ে এগিয়ে।
আরও পড়ুন: জানাকে সাথে নিয়ে এনড্রিকের ট্রেবল জয়
এদিকে এই গবেষণায় দেখা গেছে, শীর্ষ ২০ ক্লাবের মধ্যে ৯টিই ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের। তবে ৪৪৫ কোটি ৯০ লাখ ইউরো মূল্য নিয়ে চারে আছে বার্সেলোনা এবং বায়ার্ন মিউনিখের মূল্য ৪২৮ কোটি ১০ লাখ ইউরো। ছয় নম্বরে আছে লিভারপুল, তারপর আর্সেনাল, পিএসজি, টটেনহাম ও দশ নম্বরে চেলসি। এই দশ ক্লাবের মধ্যে একমাত্র ক্লাব যার দাম কমেছে, সেটা হলো চেলসি,৮ শতাংশ কমে এখন তাদের বর্তমান দাম ৩০১ কোটি ৬০ লাখ ইউরো।

মাঠের খেলায় যেমন উন্নতি এসেছে তেমনি নিজের মার্কেট ভ্যালুতে উন্নতি করেছে ইতালির ক্লাব এসি মিলান ও ইন্টার মিলান। এসি মিলানের দাম ২৬ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১৭৩ কোটি ৬০ লাখ ইউরো, আর ইন্টারের দাম ২০ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১৬৪ কোটি ৭৯ লাখ। অন্যদিকে জুভেন্টাসের দাম কমেছে ৩ শতাংশ, এখন তা ১৫৮ কোটি ৬২ লাখ ইউরো।
আরও পড়ুন: মেসির হাতেই ইন্টার মিয়ামির সর্বোচ্চ গোলের গৌরব
সিরি আ চ্যাম্পিয়ন নাপোলিও দারুণ করেছে। তাদের দাম এক বছরে ২১ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১০৫ কোটি ৭৪ লাখ ইউরো। দাম বৃদ্ধির ভীড়ে কেউ কেউ আবার পিছিয়ে গেছে। যেমন ডাচ ক্লাব আয়াক্স, যাদের দাম এক বছরে কমেছে ২২ শতাংশ। ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেড আর এভারটনের আয় বেড়েছে ৪২ শতাংশ, যেটা এবারকার তালিকায় সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধির হার।