অতীতে আন্তঃমহাদেশীয় চ্যাম্পিয়নদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও ফিফার ক্লাব ফুটবল বিশ্বকাপ এবার মাঠে গড়াবে বৃহৎ পরিসরে। ৬ মহাদেশের শীর্ষস্থানীয় ৩২ দল নিয়ে প্রথমবারের মতো আয়োজিত হতে যাচ্ছে ক্লাব ফুটবলের এই শ্রেষ্ঠত্বের আসর। আগামী জুনে প্রায় এক মাসব্যাপী অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া টুর্নামেন্টের প্রাইজমানি এবার ঘোষণা করলো ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা।
যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে হতে যাওয়া ক্লাব ফুটবল বিশ্বকাপ সর্বমোট ১ বিলিয়ন বা ১০০ কোটি মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা কিনা ১২ হাজার ১৮০ কোটি টাকারও বেশি। বিপুল পরিমাণ এই অর্থ মূলত দেওয়া হবে আলাদা দুটি ক্যাটাগরিতে। আসরে দলগুলোর পারফরম্যান্সের উপর ভিত্তি করে দেয়া হবে মোট ৪৭ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার। অংশগ্রহণকারী ৩২ দলের মধ্যে বাকি থাকা ৫২ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার ভাগ করে দেয়া হবে।
এবারের ক্লাব ফুটবল বিশ্বকাপের স্তরেই থাকছে অর্থ জেতার সুযোগ। গ্রুপ পর্বে প্রতিটি ম্যাচ জেতার জন্য দলগুলো পাবে দুই লাখ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা কিনা ২৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকারও বেশি। এছাড়া ড্র করলে প্রতিটি দল পাবে এক লাখ মার্কিন ডলার করে। রাউন্ড অফ সিক্সটিনের আট বিজয়ী দলকে দেয়া হবে সাড়ে সাত মিলিয়ন বা ৭৫ লাখ মার্কিন ডলার। কোয়ার্টার ফাইনালের বিজয়ী চার দলের জন্য রয়েছে ১ কোটি ৩১ লাখ ২৫ হাজার মার্কিন ডলার। সেমিফাইনালের জয়ী দলগুলোর ক্ষেত্রে সেটি দাঁড়াবে ২ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলারে।
আরও পড়ুন: ডি ককের ব্যাটিং ঝড়ে কলকাতার প্রথম জয়
এছাড়া আসরের রানার্সআপ দলের জন্য থাকছে ৩ কোটি মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা কিনা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৬৫ কোটি ৪২ লাখেরও বেশি। চ্যাম্পিয়নদের জন্য এই প্রাইজমানি নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ কোটি মার্কিন ডলার। অর্থাৎ বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪৮৭ কোটি ২৩ লাখ টাকার সমান।
গ্রুপ পর্ব থেকে শুরু করে ইউরোপের শীর্ষস্থানীয় কোনো দল (যেমন, রিয়াল মাদ্রিদ) যদি এই টুর্নামেন্টে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হতে পারে তাহলে তাদের জন্য সর্বোচ্চ ১২ কোটি পঞ্চাশ লাখ ডলারের প্রাইজমানি রাখা হয়েছে। যা কিনা গত কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার জেতা অর্থমূল্যেরও প্রায় তিন গুণ বেশি। ২০২২ সালের বিশ্বকাপে মেসির দলের পকেটে ঢুকেছিলো ৪ কোটি ২০ লাখ ডলার।
এদিকে অংশগ্রহণকারী ৩২ দলকেই আর্থিক পুরষ্কার দিবে ফিফা। ইউরোপ মহাদেশ থেকে সর্বনিম্ন ১২.১৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে সর্বোচ্চ ৩৮.১৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদান করা হবে। মূলত পারফরম্যান্স ও বানিজ্যিক মানদন্ডের উপর ভিত্তি করে ফিফা ইউরোপের ক্লাবগুলোকে এই অর্থ প্রদান করবে। এছাড়া লাতিন আমেরিকা অঞ্চল থেকে ক্লাবগুলো পাবে ১৫.২১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। উত্তর, মধ্য আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চল, এশিয়া এবং আফ্রিকা অঞ্চলের দলগুলোকে দেয়া হবে ৯.৫৫ মিলিয়ন এবং ওশেনিয়া অঞ্চলের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে অকল্যান্ড সিটি পাবে ৩.৫৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
আরও পড়ুন: এলিট প্যানেলে জায়গা ধরে রাখলেন সৈকত