বৃহস্পতিবার, জুন ২৬, ২০২৫
সামি'স কর্নার

ইতিহাস গড়া জয়ে প্লে-অফের ফাইনালে হামজার শেফিল্ড

দুর্দান্ত এক জয়ে চ্যাম্পিয়নশিপের প্লে-অফের ফাইনালে উঠে গেলো হামজা চৌধুরীর শেফিল্ড ইউনাইটেড। প্রথম লেগে ব্রিস্টল সিটিকে তাদেরই মাঠে ৩-০ গোলে হারানো শেফিল্ড দ্বিতীয় লেগেও ব্রিস্টল হারিয়েছে সেই একই ব্যবধানে। দুই লেগ মিলিয়ে ৬-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে ফাইনালে উঠেছে হামজার দল, যা কিনা দ্বিতীয় স্তরের ফুটবলে সবচেয়ে একপেশে সেমিফাইনাল। 

আরও পড়ুন: বিদেশি ক্রিকেটারের জন্য পিএসএলে হতে পারে বিকল্প ড্রাফট

প্রথমার্ধে কিফার মুরের হেডারেই এগিয়ে যায় শেফিল্ড। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে গাস হ্যামার এবং বদলি হিসেবে নামা ক্যালাম ও’হেয়ার গোল করলে সব আশা শেষ হয়ে যায় ব্রিস্টল সিটির। ২০০৮ সালের পর এই প্রথম প্লে-অফে খেলার সুযোগ পেয়েছিলো ব্রিস্টল। তবে টানা দুই ম্যাচে কোনো গোল না করেই এক প্রকার লজ্জায় প্রিমিয়ার লিগে ওঠার স্বপ্ন ভেস্তে যায় ব্রিস্টলের।

ম্যাচের শুরু থেকেই কিছুটা আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে থাকে ব্রিস্টল। তবে কাজের কাজ কিছু হয়নি। স্কট টুইনের একটি শট চলে যায় পোস্টের বাইরে দিয়ে। জেসন নাইটের দূরপাল্লার এক শটও গোলমুখে সেভাবে কোনো চাপ তৈরি করতে পারেনি। অন্যদিকে, শেফিল্ড ইউনাইটেড শুরুতে কিছুটা চাপে থাকলেও ধীরে ধীরে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসয়ে শুরু করে। গাস হ্যামারের একটি ক্রসে অ্যান্ড্রে ব্রুকস প্রায় গোল করেই ফেলেছিলেন। জ্যাক রবিনসনের লং থ্রো থেকে হ্যারিসন বারোসের শটও চলে যায় সামান্য বাইরে দিয়ে।

আরও পড়ুন: ১৭ মে থেকে ফের শুরু আইপিএল, ফাইনাল ৩ জুন

তবে বিরতির ঠিক ৫ মিনিট আগে কর্নার থেকে কিফার মুরের হেডে এগিয়ে যায় শেফিল্ড। হ্যারিসন বারোসের নেয়া কর্ণার কিক থেকে গোলকিপার ম্যাক্স ও’লিয়ারির মাথার ওপর দিয়ে বল জালে জড়ান শেফিল্ডের এই স্ট্রাইকার। এতে দুই লেগে ব্যবধান দাঁড়ায় ৪-০।

বিরতির পর ব্রিস্টল কিছুটা উদ্যম নিয়ে মাঠে নামলেও গোল দেওয়ার কাজটা আর করতে পারেনি। উল্টো স্রোতের বিপরীতে গিয়ে এগিয়ে যায় শেফিল্ড। ম্যাচের ৫১তম মিনিটে তারা দ্বিতীয় গোল পায়। কর্নার থেকে হ্যামারের পায়ে বল এলে ডি-বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত শটে গোল করেন এই ডাচ মিডফিল্ডার। 

ব্রিস্টল এরপর চেষ্টা করেও আর কোনো গোল করতে পারেনি। জর্জ ট্যানারের একটি জোরালো শট অবশ্য সম্ভাবনা জাগিয়েছিলো হোলের তবে শেফিল্ড গোলকিপার মাইকেল কুপার অসাধারণ সেভে দলকে রক্ষা করেন। শেষ দিকে বদলি খেলোয়াড় টাইরিস ক্যাম্পবেলের পাস থেকে ক্যালাম ও’হেয়ার গোল করলে ৩-০ ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে শেফিল্ড।

এদিকে শেফিল্ডের হয়ে এদিনও দুর্দান্ত ছিলেন বাংলাদেশের হামজা চৌধুরী। গোটা ম্যাচে ৬০ বার বল টাচ করা হামজার দেওয়া ৯৩ শতাংশ পাসই ছিলো সফল। সেই সাথে ৫ টি গ্রাউন্ড ডুয়েলের পাশাপাশি একটি এরিয়াল ডুয়েলও জিতেছেন বাংলাদেশের এই ফুটবলার। ডিফেন্সভলি সলিড থাকা হামজার সোফাস্কোরের রেটিং ছিলো ৭.৩।

আরও খবর

একটি মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য লিখুন
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

সর্বশেষ খবর

জনপ্রিয় খবর