বুধবার, জুন ২৫, ২০২৫
সামি'স কর্নার

হামজা-শমিতদের লড়াই, তবুও হারল বাংলাদেশ

ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ২-১ গোলের ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ।

এই ম্যাচে একাদশে ছিলেন না নিয়মিত অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। এছাড়া ভারত ম্যাচের পর আবারও গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে একাদশে সুযোগ মেলেনি স্ট্রাইকার আল-আমিনের। তার পরিবর্তে সেই উইংগার রাকিবকেই ‘ফলস নাইন’ হিসেবে খেলিয়েছেন টাইগারদের কোচ কাবরেরা। যাতে প্রথমার্ধে ব্যর্থই ছিলেন তিনি, বেশ কয়েকবার আঁটকে গিয়েছিলেন অফসাইডের ফাঁদেও।

যদিও ম্যাচের শুরু থেকেই বল দখলে রেখে দাপট দেখানোর চেষ্টা করেছিল স্বাগতিকরা। মাত্র ছয় মিনিটের মাথায় একের পর এক আক্রমণে প্রতিপক্ষের রক্ষণ চেপে ধরে তারা। কিন্তু গোলের দেখা পায়নি কেউ। বরং নবম মিনিটে বাংলাদেশকেই ভয় ধরিয়ে দেয় সিঙ্গাপুর। গোলের একেবারে সামনে সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি ৭ নম্বর জার্সিধারী ফরোয়ার্ড, ফলে রক্ষা পায় স্বাগতিকরা।

আরও পড়ুন: প্রথমার্ধের শেষমুহুর্তের গোলে পিছিয়ে বাংলাদেশ

এর মিনিটখানেক পর আবারও আক্রমণে যায় বাংলাদেশ। কিন্তু গোলকিপার পার্থক্য গড়ে দেন সিঙ্গাপুরের হয়ে। ১৫ মিনিটে শাকিলের পাস থেকে রাকিবের শট ছিল দুর্বল, তাই সহজেই আটকে দেন গোলরক্ষক। ১৮ মিনিটে শমিত সোমের দারুণ একটি প্রচেষ্টা চোখে পড়ে, কিন্তু তা থেকে গোল আসেনি। প্রথম ২০ মিনিটে দুই দলই আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে দারুণ উত্তেজনা ছড়ায়। ৩০ মিনিটে বাংলাদেশের গোলরক্ষক মিতুল মার্মা দুর্দান্ত সেভে রক্ষা করেন এক সম্ভাব্য গোল। এরপর পাল্টা আক্রমণে শমিতের নিখুঁত পাসে রাকিব সুযোগ পেলেও শেষ মুহূর্তে বাঁধা হয়ে দাঁড়ান সিঙ্গাপুরের গোলরক্ষক।

প্রথমার্ধের বাকি সময়ে হামজা, শমিত, ফাহমিদুল ও রাকিবদের নিয়ে আরও কয়েকবার গোলের জন্য চেষ্টা করে বাংলাদেশ। কখনো ফ্রি-কিক, কখনো পজিশনিং, কখনো বা পাসিং মুভমেন্টে উঠে আসে সম্ভাবনা।

প্রথমার্ধে সবচেয়ে উজ্জ্বল ছিলেন মিডফিল্ডার শমিত সোম— প্রথমবারের মতো জাতীয় দলের জার্সিতে খেলতে নেমেই প্রথমার্ধেই বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আক্রমণের রূপকার ছিলেন তিনি। কিন্তু, প্রথমার্ধের শেষদিকে এক মুহূর্তের গড়বড়েই জটলার মধ্যে থেকে গোল হজম করে বসে বাংলাদেশ। আর সেখান থেকেই ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকেই ড্রেসিংরুমে ফিরে যায় লাল-সবুজের দল।

এরপর দ্বিতীয়ার্ধে আবারও ভুল। এবার ডিফেন্সের ভূলে ম্যাচে দ্বিতীয়বারের মতো গোল খেয়ে বসে বাংলাদেশ। সিঙ্গাপুরের ফান্দি দলকে এগিয়ে দেন। আরও একবার রক্ষণের ভুলে ম্যাচে পিছিয়ে যায় বাংলাদেশ। যেখানে ভুটানের বিপক্ষে আগের ম্যাচেই দুরন্ত খেলা রক্ষণভাগের তাজউদ্দিনের সুযোগ হয়নি এই ম্যাচে। অর্থাৎ, আল-আমিন থেকে তাজ উদ্দিন, জামাল ভূঁইয়া কাউকেই তখনও সুযোগই দেয়নি কোচ কাবরেরা। এমনকি দ্বিতীয়ার্ধে তুলে নিয়েছেন মিডফিল্ডে দারুণ খেলা কাজেম শাহকেও। অন্যদিকে, মাঝমাঠে ছন্নছাড়া খেলেও মাঠে টিকে ছিলেন হৃদয়।

আরও পড়ুন: এশিয়ান কাপ স্বপ্ন ছোঁয়ার লড়াইয়ে বাংলাদেশের সমীকরণ

শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ৬৭ মিনিটে হামজার এসিস্ট থেকে বাংলাদেশের হয়ে এক গোল পরিশোধ করেন রাকিব। তবে শেষ পর্যন্ত ম্যাচে আর গোল না হলে ২-১ ব্যবধানে হেরেই মাঠ ছাড়তে হয় স্বাগতিকদের। শেষ দিকে আল-আমিন নামলেও গোলের দেখা আর পায়নি টাইগাররা।

আরও খবর

একটি মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য লিখুন
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

সর্বশেষ খবর

জনপ্রিয় খবর