বুধবার, জুন ২৫, ২০২৫
সামি'স কর্নার

হামজা খেলবেন কোন পজিশনে? জানালেন রিফাত মাসুদ

বাংলাদেশের ফুটবলে সৃষ্টি হয়েছে গণজাগরণ, যার মূলে একজন হামজা চৌধুরী। ইংল্যান্ডের লিগে খেলা এই ফুটবলার প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের জার্সিতে খেলতে নামবেন। হামজা দেশে আসার পর থেকেই তাই বাড়তি উত্তেজনায় ভুগছে বাংলাদেশের আপামর ফুটবল ভক্তরা। হামজার মাধ্যমে সৃষ্ট এই গণজাগরণ কীভাবে দেখছেন, বাংলাদেশের দলে হামজার পজিশনই বা কী হতে পারে—সব কিছু নিয়েই অনফিল্ডের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে কথা বলেছেন টি স্পোর্টসের সিনিয়র ক্রীড়া সাংবাদিক রিফাত মাসুদ।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশের ফুটবল অনেক দিন ধরেই পূর্ণজাগরণ শুরু হয়েছে। যেটা হামজা আসার পর সবার দৃষ্টিগোচর হচ্ছে। যদিও এটা ফলাফল কেন্দ্রিক না। যেহেতু এটা গ্লোবাল গেইম, সেক্ষেত্রে আগ্রহীর সংখ্যা বাড়ছে আরও।”

এক্ষেত্রে তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, “মানুষজন যারা নিয়মিত ইউরোপিয়ান ফুটবল দেখে, আন্তর্জাতিক ম্যাচ বিরতিতে সবাই দেখে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা, পর্তুগাল এদের ম্যাচ হচ্ছে। অনেকের মাথাতেই হয়তো তখন চিন্তা আসে যে বাংলাদেশের ফুটবলের কী খবর। যে মাত্রাটা এবার হামজার জন্য আরও বেড়েছে।”

এছাড়া ক্লাবে বিভিন্ন পজিশনেই হামজার খেলার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে রিফাত মাসুদ জানান, “দেখেন, হামজা চৌধুরী শেফিল্ডে যে বেশ কয়েকটা ম্যাচে রাইটব্যাকের পজিশনে খেলেছেন, সেই সময়ে শেফিল্ড ইউনাইটেডের নিয়মিত রাইটব্যাকে খেলা ফুটবলার ইনজুরিতে আক্রান্ত ছিলেন।”

কিন্তু মূলত হামজাকে আনা হয়েছিল মিডফিল্ডে খেলানোর জন্য। শেফিল্ড ইউনাইটেড হামজাকে দলে ভেড়ানোর সময় তাদের কোচ ওয়াইল্ডার জানিয়েছিলেন, “তিনি হামজাকে চ্যাম্পিয়ন ফুটবলার মনে করেন। হামজা মিডফিল্ডে খেলবে, সে ঐ পজিশনের শক্তি বাড়াবে।”

তবে বাংলাদেশের হামজার পজিশন কেমন হতে পারে, সে প্রসঙ্গে তিনি শেফিল্ডে হামজার পজিশনের সাথে মিলিয়ে বলেন, “বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা এমনই হবে। সেভাবেই দেখতে পারেন। যেটা হতে পারে যে, কোচের মাধ্যমে যে ইঙ্গিতটা পেলাম আমরা, হামজাকে মাঝ বরাবর খেলানো হবে। যদিও সেটা রাইটসাইড নাকি লেফট সাইড, সেটা আমরা বলতে পারি না।”

“তবে যে ধারণাটা এরই মধ্যে জনপ্রিয় হয়েছে, বক্স টু বক্স মিডফিল্ডার হিসেবে খেলানো হবে। সেটার আসলে কোনো ফুটবলীয় ব্যাকরণ নেই। বক্স টু বক্সের রোলের হয়তো আমরা হামজাকে দেখবো।”

এছাড়া যে ৮ নম্বর জার্সি পরিহিত ফুটবলার হিসেবে হামজার খেলার ধরণ সম্পর্কে তিনি বলেন, “হামজা যেহেতু ৮ নম্বর জার্সি চেয়ে নিয়েছেন, নাম্বার ৮ এর যেসব রোল থাকে, সে হামজা হবেন লিংকআপ প্লেয়ার, ফরওয়ার্ডদের সাথে যার সবচেয়ে বেশ লিংকআপ থাকবে। সেই লিংকটা আবার কখনো ডিফেন্ডারদের সাথেও হতে পারে। ফুটবলে আসলে যেটা হয়, নাম্বার ৬ ও ৮ নম্বর জার্সি পড়ে যারা খেলে, এটাকে হাইব্রিড রোলও বলা যায়। এরকম কিছুও হতে পারে।”

যদিও রিফাত মাসুদ মানছেন চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটা আসবে ট্রেনিং সেশন শেষে। যেখানে হামজা ও বাকিদের খেলা দেখে সিদ্ধান্ত নিবেন বাংলাদেশের কোচ ক্যাবরেরা। তিনি বলেন, “এটা আসলে বলা কঠিন। কয়েকটা ট্রেনিং সেশন হলে আসলে আপনি পুরো ব্যাপারটা ভালোভাবে বুঝবেন। এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো বুঝবে কোচ। তিনি হয়তো এরই মধ্যে একপর্যায়ে ছক কষে রেখেছেন হামজাকে কীভাবে খেলাবেন। তবে ট্রেনিংয়ে সেটা দেখার পর আরও ক্লিয়ার হবেন। হয়তো কিছু চেঞ্জও আসতে পারে। এটার জন্য ট্রেনিং সেশনটা গুরুত্বপূর্ণ। পাঁচটা ট্রেনিং সেশনের পরেই কোচ বুঝতে পারবেন কাকে কীভাবে খেলাবেন।”

আরও খবর

একটি মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য লিখুন
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

সর্বশেষ খবর

জনপ্রিয় খবর