টানা তিন ম্যাচ হারের পর অবশেষে জয়ে ফিরলো শেফিল্ড ইউনাইটেড। যেখানে বড় ভূমিকা রেখেছেন বাংলাদেশের গর্ব হামজা দেওয়ান চৌধুরী।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ঘরের মাঠে শেফিল্ডের হয়ে আবারও প্রথম একাদশে সুযোগ পান হামজা। যদিও তার সহজাত পজিশন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ড, তবে এই ম্যাচে রাইটব্যাকে খেলে পুরো প্রান্তটাই নিজের করে নেন তিনি। রক্ষণ সামলে একাধিকবার আক্রমণেও উঠে গেছেন, সেখানেও রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব। অর্থাৎ, একজন ফুলব্যাক হিসেবে দলের আস্থার প্রতিদানই দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: কাজাখস্তানকে উড়িয়ে এএইচএফ কাপ শুরু বাংলাদেশের

ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে শেফিল্ড। যদিও গোল পেতে তাদের অপেক্ষা করতে হয় ৩৩ মিনিট অব্দি। বক্সের ভেতর বল পেয়ে নিখুঁত ফিনিশিংয়ে দলকে এগিয়ে দেন গুস্তাভ হামার। তবে এর রেশ কাটতে না কাটতেই বড় বিপদের সম্মুখীন হয় শেফিল্ড ইউনাইটেড।
মাঝমাঠ থেকে বল পেয়ে দারুণ গতিতে এগিয়ে যান কার্ডিফের উইল আলভেস। একে একে শেফিল্ডের ডিফেন্ডারদের ফাঁকি দিয়ে ঢুকে পড়েন পেনাল্টি বক্সে। তবে তার গোলমুখে শট নেওয়ার ঠিক আগেই দৃশ্যপটে হাজির হন হামজা চৌধুরী— পেছন থেকে ছুটে এসে নিখুঁত এক ট্যাকলে বল কেড়ে নেন। কমেন্ট্রি বক্সে ধারাভাষ্যকাররাও চিৎকার করে বলে ওঠেন, “কী দারুণ টাইমিং, কী দুর্দান্ত ট্যাকল! অসাধারণ ডিফেন্সিভ কাজ চৌধুরির!”

যদিও শুধু ওই মুহূর্তই নয়, পুরো ম্যাচজুড়েই চোখে পড়ার মতো পারফরম্যান্স দেন এই ডিফেন্ডার। এই ম্যাচে হামজা ৬৮ বার বল স্পর্শ করেছেন, সফল পাস ৮২ শতাংশ। চারটি সফল ট্যাকল, চারটি গ্রাউন্ড ডুয়েল জয়, একাধিকবার বল ব্লক, ইন্টারসেপশন— রক্ষণ থেকে শুরু করে আক্রমণ, প্রতিটি জায়গাতেই তাঁর খেলা ছিল চোখে পড়ার মতো।
আরও পড়ুন: ব্রাজিল না রিয়াল? গুঞ্জন উড়িয়ে ক্লপের স্পষ্ট জবাব
ম্যাচের বাকিটা সময়ও ভালোভাবে সামলে নেয় শেফিল্ড ইউনাইটেড। দ্বিতীয়ার্ধে আরও একটি গোল করে ২-০ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করে তারা।

যদিও ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপে ৪৩ ম্যাচ শেষে শেফিল্ডের পয়েন্ট এখন ৮৬। লিগ টেবিলের তিন নম্বরে থাকা দলটির প্রিমিয়ার লিগে সরাসরি খেলার সুযোগ এখনো রয়েছে। তবে সেক্ষেত্রে বাকি ম্যাচগুলো জিততেই হবে, অপেক্ষায় থাকতে হবে শীর্ষ দুই দলের হারেরও। তবে সামনের পথটাও বাংলাদেশি হামজার কাঁধেই অনেকটা নির্ভর করছে।