ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের অভিজ্ঞতা নিয়ে বাংলাদেশের জার্সিতে নতুন যাত্রা শুরু করেছেন হামজা চৌধুরী। তার অন্তর্ভুক্তি শুধু দলের শক্তি বাড়ায়নি, সতীর্থদের মনোবলও কয়েক ধাপ উঁচুতে নিয়ে গেছে। বিশেষ করে জাতীয় দলের নিয়মিত সদস্য মোহাম্মদ হৃদয়ের জন্য এটি বিশেষ কিছু।
হৃদয়ের মতে, দলের জন্য একজন বিশ্বমানের খেলোয়াড়ের উপস্থিতি বিশাল সুবিধা নিয়ে আসে। তিনি বলেন, “হামজা ভাইয়ের সঙ্গে খেলতে পারা আমার জন্য দারুণ সুযোগ। তিনি শুধু নিজে ভালো খেলেন না, বরং আমাদেরও উন্নতি করতে সাহায্য করছেন। মাঝমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে তিনি আমাদের মূল্যবান পরামর্শ দিচ্ছেন, কীভাবে পজিশন নেওয়া উচিত, কিভাবে রক্ষণ ও আক্রমণের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে হয়—এসব বিষয় তিনি দারুণভাবে বোঝান।”

হামজার খেলোয়াড়ী দক্ষতা সম্পর্কে হৃদয় কোনো সন্দেহ রাখেন না, “যদি আমাকে তার দক্ষতা মূল্যায়ন করতে বলা হয়, আমি নিঃসন্দেহে ১০০-এর মধ্যে ১০০ দেব। তার অভিজ্ঞতা এবং খেলার মান আমাদের চেয়ে অনেক উঁচু স্তরের, যা আমাদের জন্য বড় শিক্ষা।”
তবে শুধু মাঠের খেলায় নয়, ব্যক্তি হিসেবেও হামজা হৃদয়কে মুগ্ধ করেছেন। “তিনি অত্যন্ত নম্র স্বভাবের। এত বড় মাপের ফুটবলার হওয়া সত্ত্বেও তার আচরণ একেবারেই সাধারণ। তিনি আমাদের সঙ্গে সহজেই মিশে গেছেন এবং আমরা তার সঙ্গ দারুণ উপভোগ করছি,” বলেন হৃদয়।
যদিও দলের আবহ ইতিবাচক, কিন্তু অনুশীলনের অব্যবস্থাপনা খেলোয়াড়দের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে সাদ উদ্দিন স্পষ্টতই হতাশ।
সাদ বলেন, “আমাদের জন্য অনুশীলন মাঠ মোটেও সুবিধাজনক ছিল না। সময়সূচি বারবার বদলানো হয়েছে, যা আমাদের প্রস্তুতিতে প্রভাব ফেলেছে। একজন খেলোয়াড়ের জন্য এটি খুবই হতাশাজনক।”

আরেকটি বড় সমস্যা ছিল অনুশীলনের জন্য উপযুক্ত মাঠ না পাওয়া। ভারতের দল যখন ঘাসের মাঠে অনুশীলন করতে পেরেছে, বাংলাদেশ দলকে সেই সুযোগ দেওয়া হয়নি। সাদ এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমরা যদি ভালো মানের মাঠে অনুশীলনের সুযোগ পেতাম, তাহলে প্রস্তুতিটা আরও ভালো হতো। তবে আমরা জানতাম এমন কিছু হতে পারে, তাই মানসিকভাবে তৈরি ছিলাম।”
সব আলোচনা ও সমস্যা পেছনে ফেলে ২৫ মার্চ শিলংয়ে এশিয়ান কাপের বাছাই ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। কোচ হাভিয়ের কাবরেরা কীভাবে দল সাজাবেন, বিশেষ করে হামজা ও হৃদয়ের জুটি কেমন খেলবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়। তবে একটি বিষয় স্পষ্ট—হামজার উপস্থিতি শুধু মাঠে নয়, গোটা দলের আত্মবিশ্বাসে বড় পরিবর্তন এনে দিয়েছে। এখন সেটা কাজে লাগানোর পালা!