বুধবার, জুন ২৫, ২০২৫
সামি'স কর্নার

সৌদিকে হারিয়ে বিশ্বকাপ নিশ্চিত অস্ট্রেলিয়ার

বিশ্বকাপে টানা ষষ্ঠবারের মতো জায়গা করে নিল অস্ট্রেলিয়া। জেদ্দায় সৌদি আরবের বিপক্ষে পিছিয়ে পড়েও ঘুরে দাঁড়াল তারা, তুলে নিল ২-১ গোলের দাপুটে জয়। এই জয়ে শুধু জায়গা নয়, বিশ্বমঞ্চে নিজেদের ধারাবাহিকতাও আরও একবার প্রমাণ করল ‘সকারুজ’রা।

গত সপ্তাহে পার্থে ‘সি’ গ্রুপের শীর্ষ দল জাপানকে হারিয়ে নিজেদের কাজ অনেকটাই এগিয়ে রেখেছিল অস্ট্রেলিয়া। মঙ্গলবার তাদের দরকার ছিল শুধু বড় ব্যবধানে হার এড়ানো। কিন্তু কেবল হিসাবের গন্ডিতে আটকে না থেকে মাঠে পূর্ণ শক্তি নিয়েই নামে তারা। ফলাফল—সৌদি আরবের মাটিতে জয়, আর সঙ্গে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করার আনন্দ।

আরও পড়ুন: ভক্তদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে হামজার বার্তা, ‘আবার ফিরবো, ইনশাআল্লাহ’

খেলার ১৯তম মিনিটে আব্দুলরহমান আল-ওবুদের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল স্বাগতিক সৌদি আরব। তবে প্রথমার্ধের ৪২তম মিনিটে কনর মেটকাফের গোলে সমতা ফেরায় অস্ট্রেলিয়া। বিরতির পর মাত্র তিন মিনিটের মাথায় মিচেল ডিউকের গোল এনে দেয় এগিয়ে যাওয়ার আনন্দ।

শেষ দিকে সমতায় ফেরার সুযোগ পেয়েছিল সৌদি আরব। তবে শততম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামা গোলরক্ষক ম্যাটি রায়ানের অসাধারণ সেভ বঞ্চিত করে তাদের। সালেম আল-দাওসারির নেওয়া পেনাল্টি ঠেকিয়ে দলকে রক্ষা করেন এই অভিজ্ঞ গোলরক্ষক।

১০ ম্যাচ শেষে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে আগেই গ্রুপ সেরা হয় জাপান। ১৯ পয়েন্ট নিয়ে রানার্সআপ হয় অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় স্থানে থাকা সৌদি আরব (১৩) ও চতুর্থ ইন্দোনেশিয়া (১২) এবার খেলবে পরবর্তী রাউন্ডে, যেখানে আরও চার সঙ্গী—ইরাক, কাতার, ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।

এশিয়া অঞ্চল থেকে এর মধ্যেই ২০২৬ বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা নিশ্চিত করেছে ছয়টি দেশ: ইরান, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, জর্ডান (প্রথমবার), এবং উজবেকিস্তান (প্রথমবার)। সরাসরি অংশগ্রহণ করবে মোট আটটি দেশ, আর প্লে-অফ থেকে পেতে পারে আরেকটি টিকিট।

আরও পড়ুন: হামজা-শমিতদের লড়াই, তবুও হারল বাংলাদেশ

অন্যদিকে, ইউরোপের মাটিতে আরেকটি প্রীতি ম্যাচে দেখা গেল আফ্রিকার সাহসিকতার প্রতিচ্ছবি। নটিংহ্যামে ইংল্যান্ডকে ৩-১ গোলে হারিয়ে নতুন ইতিহাস গড়েছে সেনেগাল। এটাই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আফ্রিকার কোনো দলের প্রথম জয়, তাও আবার পিছিয়ে থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে।

শুরুটা অবশ্য ইংলিশদেরই। সপ্তম মিনিটে হ্যারি কেইনের গোলে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড, টমাস টুখেলের অধীনে যেটা ছিল স্বস্তির সূচনা। কিন্তু এরপরই রঙ বদলে দেয় সেনেগাল। ৪০তম মিনিটে ইসমাইলা সার গোল করে ম্যাচে ফেরান সমতা। এটা ছিল টুখেল যুগে ইংল্যান্ডের গোল খাওয়ার প্রথম ঘটনা।

দ্বিতীয়ার্ধে সেনেগাল আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। ৬২ মিনিটে হাবিব দিয়ারা এগিয়ে দেন দলকে, আর অতিরিক্ত সময়ে ব্যবধান বাড়ান শেখ সাবালি। হতাশ ইংলিশ সমর্থকরা ম্যাচ শেষ হওয়ার আগেই দুয়ো দিতে শুরু করেন।

এই জয়ে টানা ২৪ ম্যাচে অপরাজিত থাকল সেনেগাল। বিপরীতে, টুখেলের কোচিংয়ে প্রথম পরাজয়ের তেতো স্বাদ পেল ইংল্যান্ড। একইসাথে থ্রি লায়ন্সদের ২২ ম্যাচের আফ্রিকান দাপটও থেমে গেল এদিন।

আরও পড়ুন: ভবিষ্যতে আরও ভালো খেলবে বাংলাদেশ, প্রত্যাশা ক্রীড়া উপদেষ্টার

আরও খবর

একটি মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য লিখুন
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

সর্বশেষ খবর

জনপ্রিয় খবর