সারা দেশে যখন ঈদের প্রস্তুতি আর উৎসবের আমেজ, তখন অন্য রকম এক প্রস্তুতিতে ব্যস্ত বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। ঈদের কদিন পর মাঠে নামতে হবে এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে— প্রতিপক্ষ সিঙ্গাপুর। এই ম্যাচ ঘিরে কোনো উৎসবের ছুটি নেই জামাল, হামজা, ফাহামিদুলদের জন্য।
জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরা চান, ঈদের পরে মাঠে নেমেই যেন দেশের মানুষকে একটা বড় উপহার দেওয়া যায়—জয়ের মাধ্যমে। অনুশীলনের ফাঁকে কোচের কণ্ঠে ছিল সেই প্রত্যাশারই প্রতিফলন, “এই ম্যাচটা আমাদের জন্য যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি দেশের মানুষের জন্যও বিশেষ কিছু হতে পারে। আমরা সিঙ্গাপুরকে হারিয়েই দেশবাসীকে ঈদের উপহার দিতে চাই।”
আরও পড়ুন: হামজার গোল আমাদের পরিকল্পনার অংশ: ক্যাবরেরা
ভুটানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে যেভাবে শুরুতেই গোল পেয়েছিল বাংলাদেশ, সেটা কাবরেরাকে দিয়েছে কিছুটা স্বস্তি। বিশেষ করে সেট পিস থেকে গোল আসা, রক্ষণভাগে উন্নতি আর ক্লিন শিট— সব মিলিয়ে দলের পারফরম্যান্সে খানিকটা ইতিবাচকতা ফিরেছে। কোচ বলছেন, “দলের মধ্যে এখন একটা ভারসাম্য দেখা যাচ্ছে। তবে উন্নতির জায়গাও আছে।”
তবে নতুন চ্যালেঞ্জ সিঙ্গাপুর। এই দলটি গত ম্যাচে মালদ্বীপকে সহজেই হারিয়েছে। ফরোয়ার্ড ইখসান ফান্দির ফর্ম কোচ কাবরেরার পরিকল্পনায় নতুন ভাবনা যোগ করেছে। তাই ম্যাচ ঘিরে প্রত্যাশা যেমন আছে, তেমনি সতর্কতাও।
আরও পড়ুন: দুর্দান্ত হামজায় ভুটানকে হারাল বাংলাদেশ
এদিকে, জামালের আক্রমণাত্মক খেলার প্রশংসা করলেও কোচ জানিয়ে দিয়েছেন, এসব তিনি আগেই দেখেছেন। “জামাল এমন খেলছে অনেক দিন ধরেই,”—এমন মন্তব্যে ফুটবলারদের প্রতি তাঁর আস্থা ফুটে ওঠে।
দলের সামনে এখন মূল লক্ষ্য সিঙ্গাপুর ম্যাচে সেরা ফুটবলটা খেলতে পারা। ঈদের ছুটির মাঝে নিজেদের সেরা প্রস্তুতি নিয়েই মাঠে নামতে চান খেলোয়াড়রা। আর কোচ কাবরেরা চান— এই লড়াইয়ের ফলাফলেই যেন দেশের মানুষ পায় একটা বিজয়ের হাসি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের হয়ে মাঠে নামতে মুখিয়ে শমিত