২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বের ম্যাচে শিলংয়ের মাটিতে মাঠে নামবে জামাল ভূঁইয়া-হামজা চৌধুরীরা। সেই লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) ভারতের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছে বাংলাদেশ দল। তবে শিলংয়ে পৌছানোর পর থেকেই বাংলাদেশের সাথে শুরু হয়েছে টালবাহানা। শিলংয়ে দিয়ে রীতিমতো অব্যবস্থাপনার শিকার হতে হয়েছে বাংলাদেশকে। স্যুটকেস হারানো থেকে শুরু করে পর্যাপ্ত রুম না পাওয়া এমনকি রুমে চেক-ইন করতেও অহেতুক সময় ক্ষেপণ করা সব কিছুই ঘটেছে বাংলাদেশে সাথে। এমনকি শিলংয়ে পৌছানোর পর প্রায় একদিন পেরিয়ে গেলেও নিজেদের প্রাক্টিস ভেন্যু এখনো বুঝে পায়নি বাংলাদেশ দল।
শিলংয়ে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচকে সামনে রেখে পাঁচ তারকা হোটেলে থাকার কথা বাংলাদেশ দলের। শিলংয়ের ছোট শহরে যেকয়টি পাঁচ তারকা হোটেল রয়েছে তার মধ্যে হোটেল ভিভান্তা মেঘালয় অন্যতম। আর এখানেই অবস্থান করছে বাংলাদেশ দল। তবে পাঁচ তারকা হোটেল থাকার ব্যবস্থা হলেও সুযোগ-সুবিধার দিক দিয়ে অবশ্য অনেকটাই পিছিয়ে রাখা হয়েছে জামাল-হামজাদের। একাত্তর টিভির এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ভারতের এমন অব্যবস্থাপনার চিত্র।
(বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সকাল ৯টায় ঢাকা থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে বিকেল ৪টায় শিলং বিমানবন্দরে পৌঁছায় জামাল ভূঁইয়ার দল। তবে বিমানবন্দরে গিয়ে বাংলাদেশ দল টের পেয়েছে তাদের মোট ১৬ টি স্যুটকেস তখনো পৌঁছায়নি শিলংয়ে। শেষপর্যন্ত সেই স্যুটকেসের কোনো হদিস না পেয়েই বিমানবন্দর ছাড়তে হয় বাংলাদেশকে।

তবে সেখানেও বাধে বিপত্তি। বিমানবন্দর থেকে ২৯ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হোটেলে যেতে বাংলাদেশের সময় লাগে প্রায় দেড় ঘন্টা। প্রায় সাত ঘন্টার বিমান ভ্রমণ শেষে স্যুটকেস হারানোর খবর শুনে দলকে যেতে হয়েছে তীব্র যানজটের মধ্যে দিয়ে। যদিও এমন অব্যবস্থাপনার শেষ অবশ্য তখনো হয়নি। টিম হোটেলে আসার পর রুম ঠিক করতে যেয়ে আরো এক ঘন্টা খরচ করে ফেলে হোটেল কর্তৃপক্ষ।
একাত্তর টিভির সেই প্রতিবেদনে জানা যায়, বাংলাদেশ দলের এই সফরে হোটেলে থাকার জন্য কয়টি রুম প্রয়োজন তা আগে থেকেই ভারতের ফুটবল ফেডারেশনকে জানিয়ে রেখেছিলো বাফুফে। তবে হোটেলে গিয়ে বাংলাদেশ দল দেখতে পায় তাদের জন্য বরাদ্দকৃত রুমের সংখ্যা চাহিদার তুলনায় অনেক কম। সেটা নিয়ে হোটেল কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ সারতে গিয়ে প্রায় ঘন্টা খানেক সময় হোটেল লবিতেই শেষ হয়ে যায় পুরো দলের।
অব্যবস্থাপনার চিত্র এখানেই শেষ না, বাংলাদেশ দল শিলংয়ের মাটিতে কোথায় অনুশীলন করবেন সেটা শুক্রবার (২১ মার্চ) জুম্মার নামাজের পর পর্যন্ত বুঝে পায়নি টিম ম্যানেজমেন্ট। বাংলাদেশ দল কোথায় তাদের প্রস্তুতি সাড়বে সেটাই এখনো অজানা। সেখানে ভারত মূল ম্যাচ ভেন্যুতে চারদিন অনুশীলন করার সুযোগ পেয়েছে। এমনকি সেখানে একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচও খেলেছে সুনীল ছেত্রিরা। অথচ বাংলাদেশ দলকে তাদের প্রস্তুতির ব্যাপারে কিছুই জানানো হয়নি।
হামজা চৌধুরী বাংলাদেশ দলে যোগ দেবার পর থেকেই কাগজে কলমের শক্তিমত্তায় ভারত থেকে বেশ অনেকটাই এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। খেলোয়াড়দের মার্কেট ভ্যালুতেও ভারতের থেকে অনেকটাই উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের। স্বভাবতই তাই বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে এখন বেশ চাপে থাকবে টিম ইন্ডিয়া। আর সেকারণেই মনস্ত্বাত্তিকভাবে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের দূর্বল করে দেওয়ার পায়তারা শুরু করেছে ভারত। তবে সব বাধা পেরিয়ে শিলংয়ের মাটিতে বিজয়ের হাসি হাসবে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা এমনটাই আশা লাখো-কোটি ফুটবল সমর্থকদের।