কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে টানা দ্বিতীয় জয় পেলো ক্যাভালরি এফসি। হ্যালিফ্যাক্স ওয়ান্ডারার্স এফসির বিপক্ষে ৩-০ গোলের বড় জয় পেয়েছে লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। যেখানে ম্যাচের শেষ দিকে দুর্দান্ত এক এসিস্ট করে দলকে সহায়তা করেছেন বাংলাদেশের শমিত সোম।
ওয়ান্ডারার্স গ্রাউন্ডে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে কানাডা প্রিমিয়ার লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। তবে প্রথম গোলের জন্য তাদের অপেক্ষা করতে হয় প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত। জার্মান স্ট্রাইকার টবিয়াসের দুর্দান্ত পেনাল্টিতে ম্যাচে প্রথমবারের মতো এগিয়ে যায় তারা। ডি-বক্সের ভেতর ক্যাভালরির সোমালিয়ান রাইট উইঙ্গার আলী মোসিকে ফাউল করলে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। যা থেকে ঠান্ডা মাথায় ফিনিশিং দেন টবিয়াস। তবে ম্যাচের প্রথম সুযোগ পেয়েছিল ওয়ান্ডার্সই। ৭ম মিনিটেই তাদের শট ঠেকিয়ে দেন ক্যাভালরির গোলরক্ষক মার্কো।
আরও পড়ুন: ফিফটি হাঁকালেও নিজেকে বোলারই ভাবেন নাসুম
এর ২ মিনিট পরেই যদিও সুযোগ পেয়েছিল ক্যাভালরিও। তবে এবার গোলবারের সামনে দেয়াল হয়ে দাঁড়ান ওয়ান্ডার্সের গোলরক্ষক রায়ানে। এছাড়া ম্যাচের ১৫ তম মিনিটে ওয়ান্ডার্সের ফরোয়ার্ড রায়ান টেলফারের জোরালো শট ক্যাভালরির বারে লেগে ফিরে আসে, নিশ্চিত গোল খাওয়া থেকে বেঁচে যায় শমিত সোমের দল।
শেষ পর্যন্ত তাই ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় কানাডা প্রিমিয়ার লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ক্যাভালরি এফসি।
এরপর দ্বিতীয়ার্ধে আবারও আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে ম্যাচ গড়াতে থাকে। ম্যাচে দ্বিতীয় গোলের দেখা পেতে ক্যাভালরিকে অপেক্ষা করতে হয় ৮৩ মিনিট অব্দি। সেই টবিয়াসের এসিস্ট থেকেই দলকে এগিয়ে দেন আলী মোসি।
তবে এরপরের মিনিটে আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। মাঝমাঠ থেকে প্রতিপক্ষের পা থেকে বল ছিনিয়ে নিয়ে ওয়ান্ডারার্সের গোলমুখের দিকে এগিয়ে যেতে থাকেন বাংলাদেশ শমিত সোম। শেষ মুহূর্তে দারুণ ডিফেন্স চেরা এক পাসে বল বাড়িয়ে দেন আলী মোসির দিকে। যা থেকে দুর্দান্ত এক ফিনিশিংয়ে দলকে তৃতীয়বারের মতো এগিয়ে দেন এই সোমালিয়ান রাইট উইঙ্গার। আর দারুণ এক এসিস্ট করে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে উল্লাসে ফেটে পড়েন বাংলাদেশের শমিত সোম৷ শেষ পর্যন্ত ক্যাভালরি এফসি ৩-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।
আরও পড়ুন: পেছাতে পারে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজ
অন্যদিকে, এসিস্টের পাশাপাশি এই ম্যাচে সব মিলিয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছেন শমিত সোম। পুরো ৯০ মিনিট খেলে ১ এসিস্টের পাশাপাশি ৮৯% অ্যাকুরেট পাস দিয়েছেন। যেখানে ২টি কি পাসের সাথে ২টি অ্যাকুরেট লং বলও। তাছাড়া ফাইনাল থার্ডে বল পাঠিয়েছেন মোট ৫ বার। অ্যাকুরেট ক্রসেও ছিলেন শতভাগ সফল। সব মিলিয়ে পুরো ম্যাচে ৫২ বার বল টাচ করেছেন। ৫টা গ্রাউন্ড ডুয়েল জেতার পাশাপাশি ৪টি ট্যাকল, ১টি ইন্টারসেপশন এবং জিতেছেন এরিয়াল ডুয়েলও।
বাংলাদেশি এই মিডফিল্ডার এতটাই দুর্দান্ত খেলেছেন যে জনপ্রিয় ফুটবল ওয়েবসাইট সোফাস্কোর তাকে রেটিং দিয়েছেন ৭.৩। যেখানে খেলোয়াড়দের রেটিং দেওয়া আরেক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ফুটমব শমিতকে রেটিং দিয়েছেন ৮.২। ভাবা যায়?
আর চলতি মৌসুমে কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে শেষ ২ ম্যাচে টানা জয় পেয়ে পয়েন্ট টেবিলের ৪ এ উঠে এসেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ক্যাভালরি এফসি। ৫ ম্যাচ শেষে তাদের পয়েন্ট ৭। এক ম্যাচ বেশি খেলে শীর্ষে থাকা অ্যাটলেটিকো অটোয়ার পয়েন্ট ১৬।
আরও পড়ুন: প্রিমিয়ার লিগে আবারো কি ফিরবেন হামজা?