লাল-সবুজ জার্সিতে অভিষেকের অপেক্ষায় আছেন কিউবা মিচেল৷ হামজা চৌধরীর পর দেশের ফুটবল অঙ্গনে এবার আসছে কিউবা মিচলের মতো তরুণ তুর্কী৷ বাংলাদেশের হয়ে খেলার জন্য ইতোমধ্যে বাফুফের ডাকা সাড়াও দিয়েছেন তিনি৷ আসন্ন এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে লাল-সবুজ জার্সিতে দেখা যেতে পারে তাকে৷
১৯ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার ইংল্যান্ডের অন্যতম শীর্ষ পর্যায়ের ক্লাব সান্ডারল্যান্ডের অনূর্ধ্ব-২১ দলের হয়ে খেলছেন৷ যদিও এখনো মূল দলে জায়গা হয়নি তার৷ তবে বল পায়ে দুর্দান্ত ছন্দে থাকা কিউবা মিচেলের ডাক পড়ে যেতে পারে যেকোনো সময়৷
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের হয়ে খেলতে রাজি কিউবা মিচেল
চলতি মৌসুমে কিউবা এখন পর্যন্ত স্কোয়াডে ছিলেন ৯ ম্যাচে। শুরুর একাদশে ছিলেন ৩ ম্যাচে আর বদলি হিসেবে নেমেছেন ৪ ম্যাচ। নরউইচের অনূর্ধ্ব-২১ দলের বিপক্ষে পেয়েছেন চলতি মৌসুমের একমাত্র অ্যাসিস্ট। এর আগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বয়সভিত্তিক দলের বিপক্ষে তার একটি গোলও রয়েছে৷

অফেন্সিভ ট্রাঞ্জিশনে কিউবা মিচেলের দক্ষতা বেশ দারুণ। ড্রিবলিংয়ের সঙ্গে পাসিং সেন্স ভালো থাকার সুবাদে প্রতি আক্রমণে বেশ পটু এই তারকা। ট্যাকলিং করার ক্ষমতাটাও সহজাত। তবে শক্তির সবচেয়ে বড় জায়গা পুরো মাঠ জুড়ে খেলার সক্ষমতা। নাম্বার এইট হিসেবে মাঠের অনেকটা জায়গা নিজের দখলে রেখে খেলতে ভালোবাসেন কিউবা মিচেল। সেক্ষেত্রে মিডফিল্ডে হামজা, সামিতদের সঙ্গে বোঝাপড়াটা ঠিক হলে অধিকাংশ সময় ম্যাচের নিয়ন্ত্রন থাকবে বাংলাদেশের পায়ে৷

কিউবা অবশ্য স্বভাবজাত সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার। সবমিলিয়ে ক্যারিয়ারে ৮২ শতাংশ ম্যাচ কিউবা মিচেল খেলেছেন সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার হিসেবে। আর ১৮ শতাংশ ম্যাচ খেলেছেন অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হিসেবে। বল পায়ে ড্রিবলিংয়ে পটু, পাসিংও বেশ ভালো। অ্যাজিলিটির দিক থেকেও উপমহাদেশীয় ঘরানার যেকোনো মিডফিল্ডারের চেয়ে বেশ ভালো বলা চলে তাকে।
আরও পড়ুন: হামজা-সামিতের পর কিউবা মিচেলকে দলে ভেড়ানোর চেষ্টায় বাফুফে
এদিকে, কানাডা জাতীয় দল ও দেশটির প্রিমিয়ার লিগে খেলা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সামিত সোমকে নিয়েও ভীষণ আশাবাদী দেশের ফুটবল ভক্তরা। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ১০ জুন এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে বাংলাদেশের হয়ে দেখা যাবে এই ফুটবলারকে। ইতোমধ্যে হাতে পেয়েছেন জন্মনিবন্ধন সনদ। শীঘ্রই পাসপোর্ট পাওয়ার জন্যও কাজ শুরু করে দিবেন তিনি।
সব ঠিক থাকলে জুনেই সামিত, কিউবা ও হামজা- এই ত্রয়ীকে একসঙ্গে দেখা যেতে পারে লাল-সবুজ জার্সিতে। যা বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়া তো বটেই এশিয়ার অন্যতম সেরা মিডফিল্ডে পরিণত করবে৷