ইয়োকোহামার বিপক্ষে কী দুর্দান্ত এক ফিনিশিংই দিলেন ক্রিস্টিয়ানো। বক্সের ভেতর থেকে দুর্দান্ত ভলি। আর এরপরই সেই মূহুর্ত। ফিরিয়ে নিয়ে আসলেন নিজের আইকনিক এক সেলিব্রেশন। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে হ্যাটট্রিক করে মাঠের পাশের বিজ্ঞাপন বোর্ডে এভাবেই বসে ছিলেন। এবার আল নাসরের হয়ে গোল করে দলকে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে তুলে আরও একবার দেখা গেলো সেই পুরোনো ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকেই।
অথচ এই গোল টা রোনালদোর নাও হতে পারতো। ব্রোজোভিচের শট যে বিপক্ষের গোলকিপার অনেকটা লাফিয়েই ঠেকিয়ে দিলেন। তবে বল ধরে রাখতে না পারাই হয়ে দাঁড়ালো কাল। ভাসমান অবস্থাতেই ফিরতে শটে গোল করে এই ম্যাচে দলকে ৩-০ তে এগিয়ে দেন এই পর্তুগীজ সুপারস্টার। শেষ পর্যন্ত ম্যাচও তারা জিতে নেয় ৪-১ গোলে।
আরও পড়ুন: আবারও নিষেধাজ্ঞার কবলে তাওহীদ হৃদয়

ঘরের মাঠে ইয়োকোহামার বিপক্ষে এদিন শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে আল নাসর। যার ফলও আসে দ্রুতই। ম্যাচের ২৭ মিনিটে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডার সাদিও মানের শট ক্লিয়ার করতে গিয়ে তা নিজেদের গোলবারে লেগে আবারও মাঠেই ফিরে আসে। আর সেখান থেকে বল পেয়ে ফাকা পোস্টে গোল করেন সদ্য এই দলে যোগ দেওয়া কলম্বিয়ান জন দুরান। এর ৪ মিনিট পর আবারও গোল। এবার ওটাভিওর পাস থেকে বল কোনাকুনি শটে বিপক্ষের গোলকিপারকে পরাস্ত করে বল জালে জড়ান সাদিও মানে।
এরপরেই আসে সেই আইকনিক মুহূর্ত। ৩৮ মিনিটে রোনালদোর পাস থেকেই বল পেয়ে গোলমুখে শট মারেন ব্রোজোভিচ।
আরও পড়ুন: আবাহনী-মোহামেডান লড়াই হতে পারে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ

যা ইয়োকোহামার গোলকিপার ঠেকিয়ে দিলেও বল ধরে রাখতে পারেনি। আর তার হাতে লেগে বল শূন্যে ভেসে উঠলে সেখান থেকেই দুর্দান্ত এক ভলিতে গোল করে দলকে ৩-০ গোলের লিড এনে দেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।
শেষ পর্যন্ত এই ম্যাচে ৪-১ গোলে জিতে নেয় আল নাসর। ফলে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতেও উঠে এলো সৌদি এই ক্লাব।
চলমান এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ৯ গোল করে যৌথভাবে শীর্ষে ছিলেন ইয়োকোহামারই অ্যান্ডারসন লোপেজ।

আর ৮ গোল নিয়ে এরপরেই আছেন আল নাসরের ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। এবার সেমিতেও সৌদি এই ক্লাবের ভক্তরা চেয়ে থাকবেন দলের সবচেয়ে ভরসার এই ফুটবলারদের দিকেই।