২০১৫ সালে ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দিয়েছিলেন কেভিন ডি ব্রুইনা। এক দশকের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে ক্লাবের হয়ে জিতেছেন ১৬টি শিরোপা, গড়ে তুলেছেন কিংবদন্তির মর্যাদা। তবে সব গল্পেরই যেমন শেষ আছে, তেমনি শেষ হতে চলেছে এই বেলজিয়ান তারকার সিটি অধ্যায়।
আজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক আবেগঘন বার্তায় ডি ব্রুইনা নিশ্চিত করেছেন যে, চলতি মৌসুম শেষেই ম্যানসিটিকে বিদায় জানাবেন তিনি। তার ভাষায়, “প্রতিটি গল্পেরই শেষ আছে, তবে এটি আমার জীবনের সেরা অধ্যায়।”
ম্যানচেস্টার সিটিতে কাটানো দশ বছরে ডি ব্রুইনা নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন ইংল্যান্ডের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার হিসেবে। ক্লাবের হয়ে ৪১৩ ম্যাচে ১০৬ গোল করার পাশাপাশি সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন ১৭৪টি গোল।
প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসের অন্যতম সেরা প্লেমেকার হিসেবে বিবেচিত ডি ব্রুইনা ছয়বার প্রিমিয়ার লিগ, একটি চ্যাম্পিয়নস লিগ, দুটি এফএ কাপ ও পাঁচটি লিগ কাপ জিতেছেন। ২০২৩ সালে সিটির ঐতিহাসিক ট্রেবল জয়ে রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপে ৬৪ দলের পক্ষে নন উয়েফা সভাপতি
চলতি মৌসুমে ৩৩ বছর বয়সী এই তারকা সিটির হয়ে এখন পর্যন্ত ৩১ ম্যাচে ৪ গোল ও ৭টি অ্যাসিস্ট করেছেন। তবে ইনজুরি তাকে বারবার ভুগিয়েছে। সিটির সঙ্গে তার বর্তমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে ৩০ জুন। বেশ কিছুদিন ধরেই গুঞ্জন ছিল, তিনি নতুন চুক্তি করবেন না, এবার সেটাই সত্যি হলো।
ডি ব্রুইনার বিদায়ের প্রসঙ্গে ম্যানচেস্টার সিটি এক বিবৃতিতে বলেছে, “এই গ্রীষ্মে ডি ব্রুইনার চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে আমরা তাকে সম্মানজনক বিদায় জানাবো। সে আমাদের ইতিহাসের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়।”
ডি ব্রুইনার বিদায়ের প্রসঙ্গে সিটি কোচ পেপ গার্দিওলা বলেন, “সে এই ক্লাবের পরিবারের অংশ। আমাদের জন্য এটা খুব কঠিন এক মুহূর্ত। এই দেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার সে, ম্যানচেস্টার সিটির তো অবশ্যই। আমি নিশ্চিত, একদিন সিটিতে তার ভাস্কর্য দাঁড় করানো হবে।”
আরও পড়ুন: জুন উইন্ডোতে শামিত শোমকে খেলাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা বাফুফের
ডি ব্রুইনার পরবর্তী গন্তব্য এখনো নিশ্চিত নয়। তবে বিভিন্ন সময় তার নাম সৌদি আরব ও মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) ক্লাবগুলোর সঙ্গে জড়ানো হয়েছে। ইউরোপের শীর্ষ পর্যায়ে ক্যারিয়ার চালিয়ে যাবেন, নাকি নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করবেন—এখন সেটাই দেখার বিষয়।
ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে ডি ব্রুইনার হাতে এখনো এক শিরোপা জয়ের সুযোগ রয়েছে—এফএ কাপ। বিদায়ের আগে আরেকটি ট্রফি জিতেই হয়তো তিনি এই ক্লাবকে চিরবিদায় জানাবেন। তবে ডি ব্রুইনার বিদায়ের পরও তার অবদান চিরকাল ম্যানচেস্টার সিটির ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবে।