বার্সার ফুটবলার তৈরির কারখানা ‘লা মাসিয়া’ থেকে উঠে এসেছেন দুজনেই৷ লিওনেল মেসি বার্সেলোনার জার্সিতে জিতেছেন সম্ভাব্য সবকিছুই৷ অন্যদিকে বল পায়ে রীতিমতো উড়ছেন লামিন ইয়ামাল। তরুণ ইয়ামালের সক্ষমতায় বরাবরই মুগ্ধ পৌঢ় লিওনেল মেসি৷ জানিয়েছেন ইয়ামালের মাঝেই নিজের প্রতিচ্ছবি খুঁজে পান তিনি৷ অনেকের চোখে মেসির মতোই সর্বকালের অন্যতম সেরা হওয়ার সব গুন রয়েছে এই বিস্ময় বালকের৷ তবে মেসির সঙ্গে তুলনা দেওয়া একেবারেই অপছন্দ ইয়ামালের।
অভিষেকের পর থেকেই দারুণ সময় পার করছেন লামিন ইয়ামাল। ১৭ বছর বয়সী এই বিস্ময় বালক ইউরোতে স্পেনের হয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়া, সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা ও খেলোয়াড় হিসেবে রেকর্ড, টুর্নামেন্টজুড়ে অসাধারণ ধারাবাহিকতায় গোল্ডেন বয় অ্যাওয়ার্ড—এগুলো সবই করেছেন তিনি মাত্র ১৬ বছর বয়সে। তাই স্প্যানিশ এই তরুণ তারকায় মুগ্ধ গোটা ফুটবল বিশ্ব।

বয়স এখনো মাত্র ১৭ হলেও তিনি শুধু বার্সেলোনার ভবিষ্যৎ নন, বর্তমানও। বার্সার আক্রমণভাগের ডান প্রান্তে খেলেন লামিন ইয়ামাল৷ একসময় একই পজিশনে খেলতেন লিওনেল মেসিও৷ খেলার দিক থেকে নান্দনিকতার মিল তো আছেই। দুজনকেই বার্সেলোনার অতীত ও ভবিষ্যত বলা হয়৷ নিজেদের মধ্যে এই মিল নিয়ে ইয়ামাল সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমি তার (মেসি) সঙ্গে নিজের তুলনা করি না। কারণ, আমি কারও সঙ্গেই নিজেকে তুলনা করি না। মেসির সঙ্গে তো অনেক দূরের ব্যাপার। আমি ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে তাকে পছন্দ করি। কিন্তু তার সঙ্গে নিজের তুলনা করি না।’
আরও পড়ুন: ইয়ামালের মাঝে নিজের প্রতিচ্ছবি দেখেন মেসি
কারো সঙ্গে তুলনা নয়, খেলায় উন্নতি নিয়েই প্রতিনিয়ত ভাবেন ইয়ামাল। তিনি বলেন, ‘আমি প্রতিনিয়ত নিজেদের উন্নতির কথা ভাবি। পরের দিন আরও ভালো হওয়ার কথা ভাবি। তাই আমার মনে হয় না এই তুলনার কোনো অর্থ আছে। আমি নিজের খেলা উপভোগ করি এবং নিজের মতো থাকি।’

সদ্যই বার্সালোনার জার্সিতে জিতেছেন কোপা দেল রে৷ লা লিগায়ও শিরোপা ঘরে তোলার দ্বারপ্রান্তে তারা৷ চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ইন্টার পরীক্ষা উতরালে শিরোপা উঁচিয়ে ধরার আরও কাছে পৌঁছাবে লামিন ইয়ামালরা৷
আরও পড়ুন: বার্সেলোনায় ফিরতে চেয়েও যে কারণে পারেননি মেসি
ইন্টার মিলানের বিপক্ষে সেমিফাইনালের প্রথম লেগে মাঠে নামার আগে নতুন মাইফলকের সামনে তিনি৷ এই ম্যাচটি হবে বার্সার হয়ে ইয়ামালের শততম ম্যাচ। এমন ম্যাচে নিশ্চয়ই দারুণ কিছু উপহার দিতে চাইবেন এই উইঙ্গার। ইয়ামাল বলেছেন, ‘আমি সত্যিই রোমাঞ্চিত। এটা আমার এবং আরও অনেকের জন্য প্রথম (ইউরোপিয়ান) সেমিফাইনাল। আমার মধ্যে কোনো ভয় নেই, তবে প্রেরণা আছে। আমার মনে হয় কিছুটা উদ্বেগ থাকে, যেটা সব খেলোয়াড়ের মধ্যেই থাকে।’