একদিন আগেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনা শেষ মুহূর্তের কামব্যাকে সেল্টা ভিগোর বিপক্ষে জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছিল। ফলে এক ম্যাচ কম খেলা রিয়াল মাদ্রিদের সামনে অ্যাথলেটিকো বিলবাওকে হারানোর কোনো বিকল্প ছিল না। কেনো না শিরোপা রেসে যে ৭ পয়েন্টে এগিয়ে ছিল এক ম্যাচ বেশি খেলা কাতালানরা। বিলবাওর বিপক্ষে মাদ্রিদকে শেষ মুহূর্তে সেই জয়টাই এনে দিয়েছে ফেদে ভালভার্দে।
ম্যাচটি যেন হয়ে উঠেছিল কৌশলের লড়াই— একদিকে ছিলেন অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের হেড কোচ এর্নেস্তো ভালভার্দে, অন্যদিকে রিয়ালের মাঝমাঠ সামলানো ফেদেরিকো ভালভার্দে। বিলবাও শক্ত রক্ষণ গড়ে একপ্রকার আটকে রেখেছিল স্বাগতিকদের, পুরো ম্যাচে বল দখলে আধিপত্য থাকলেও ফলাফলশূন্য ছিল রিয়াল। গোলপোস্টের নিচে উনাই সিমন যেন একাই বাঁচিয়ে দিচ্ছিলেন বিলবাওকে, বারবার ঠেকিয়ে দেন কামাভিঙ্গা, বেলিংহাম ও ভিনিসিয়াস জুনিয়রের প্রচেষ্টা।
আরও পড়ুন: শিরোপার আরও কাছে লিভারপুল

একবার ভিনিসিয়াসের নেওয়া শট থেকে গোলও পেয়েছিল রিয়াল, কিন্তু অফসাইডে গোল বাতিল হওয়ার পর মুহূর্তেই যেন হতাশার মেঘ নেমে এসেছিল বার্নাব্যুতে। এরপর একটি পেনাল্টির আবেদন করলেও, সেটি ফিরিয়ে দেন রেফারি।
চ্যাম্পিয়নস লিগে আর্সেনালের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হারার পর লিগে আরেকটি ড্র হয়তো রিয়ালের মৌসুমটাই অন্ধকারে ডুবিয়ে দিত। তবে ঠিক তখনই নাটকীয় মোড় নেয় ম্যাচ। ইনজুরি সময়ের শেষ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের বাইরের দিক দিয়ে নেওয়া হাফ ভলিতে বল জালে পাঠান ফেদে ভালভার্দে। এই অসাধারণ গোলে স্টেডিয়ামে শুরু হয় উল্লাস। মৌসুমের ষষ্ঠ গোল হলেও গুরুত্বের দিক থেকে এটি নিঃসন্দেহে সবচেয়ে বড়।

আরও পড়ুন: শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় টানা দ্বিতীয় জয় বাংলাদেশের
উল্লেখ্য, এই ম্যাচে ছিলেন না কিলিয়ান এমবাপ্পে। আগের ম্যাচে লাল কার্ড পাওয়ায় এই ম্যাচে নিষেধাজ্ঞা কাটাচ্ছিলেন তিনি। তার অনুপস্থিতিতেও দলের আক্রমণে কোনো ঘাটতি ছিল না, শুধু গোলটাই মিলছিল না। সেই গোল অবশেষে এল, ফেদের জাদুতে।
এই জয়ের ফলে ৩২ ম্যাচ শেষে রিয়ালের পয়েন্ট দাঁড়াল ৬৯। আর ৭৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে বার্সেলোনা।