বার্সেলোনা ও লিওনেল মেসি যেন এক অসমাপ্ত গল্প৷ ক্লাবটির হয়ে দুই দশকের পথচলায় অসংখ্য রেকর্ডের জন্ম দিয়েছেন তিনি৷ তবু গোধূলি বেলায় অনেকটা বাধ্য হয়েই কান্নাজড়িত কন্ঠে বার্সাকে বিদায় বলেছিলেন তিনি৷ প্রিয় ঠিকানা বার্সেলোনায় বারবার ফিরতে চেয়েছিলেন লিওনেল মেসি। কিন্তু পরিস্থিতির কারণে তা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা।
২০২১ সালের আগস্টে অনেকটা ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে বার্সেলোনা ছাড়তে বাধ্য হন মেসি। যোগ দেন পিএসজিতে। প্যারিসে থাকার সময়েই ২০২২ সালের ডিসেম্বরে স্বপ্নের অধরা বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পান তিনি। পরের বছরের জুনে পিএসজির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষে দ্বিতীয় মেয়াদে তার বার্সেলোনায় ফেরার জোর গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল।
পিএসজির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষের দিকে বার্সেলোনা কোচ জাভি হার্নান্দেজ বলেছিলেন, ফেরার সম্ভাবনা নিয়ে মেসির সঙ্গে তার আলোচনা চলছে নিয়মিত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই সম্ভাবনা আলোর মুখ দেখেনি। পিএসজি থেকে ইউরোপিয়ান ফুটবলকে বিদায় জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেন বিশ্বকাপ জয়ী তারকা। অবশ্য এর আগে বার্সার হয়ে সম্ভাব্য সবকিছুই জিতেছেন তিনি৷ ১০টি লা লিগা, চারটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগসহ শিরোপা জিতেছেন অসংখ্য।
আরও পড়ুন: আবারো ইনজুরিতে নেইমার, মাঠ ছাড়লেন কাঁদতে কাঁদতে
সম্প্রতি ‘সিম্পলি ফুটবল’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বার্সায় ফিরে আসার চেষ্টা করলেও শেষমেশ তা পারেননি বলে জানান৷ বিশ্বকাপ জয়ের পর মেসির একমাত্র লক্ষ্য ছিল বার্সার জার্সিতে ফেরা, কিন্তু তা হয়নি৷ মেসি বলেন,‘খুব করেই বার্সেলোনায় ফিরতে চেয়েছিলেন তিনি। বিশ্বকাপের পর, আমি বার্সা ছাড়া অন্য কোনো ইউরোপীয় দলের হয়ে খেলতে চাইনি। আমার লক্ষ্য ছিল ফিরে যাওয়া, আমার বাড়িতে ফেরা, যেখান থেকে সবকিছু শুরু হয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, তা সম্ভব হয়নি।’
বার্সার পাশাপাশি সেসময় মেসিকে ঘিরে একাধিক ইউরোপিয়ান ক্লাবে খেলার গুঞ্জন ডানা মেলেছিল৷ সৌদি প্রো লিগের ক্লাব আল হিলালের লোভনীয় প্রস্তাবও ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি৷ কারণ বার্সেলোনা ছাড়া আর কোনো ক্লাবে খেলতে আগ্রহী ছিলেন না তিনি৷ শেষপর্যন্ত ইউরোপিয়ান ফুটবলকে বিদায় জানিয়ে ক্যারিয়ারের নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের ক্লাব ইন্টার মায়ামিকে বেছে নেয় এই আর্জেন্টাইন তারকা৷
আরও পড়ুন: সেমিফাইনালে পিএসজি বনাম আর্সেনাল, বার্সার সামনে ইন্টার
এ নিয়ে মেসি বলেন,‘এখানে আসার সিদ্ধান্তটি ছিল পুরোপুরি পারিবারিক। এই নতুন অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, মায়ামিতে এসেছি।’