দেশের ফুটবলপ্রেমীদের আগ্রহ ও উন্মাদনার কেন্দ্রে এখন বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ম্যাচ৷ আগামীকাল(১০ জুন) এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে ঘরের মাঠে সিঙ্গাপুরের মুখোমুখি হবে হামজা-জামালরা৷ যদিও দুই দলের এটিই প্রথম সাক্ষাৎ নয়, এর আগেও তিনবার মুখোমুখি হয়েছে দুই দল।
ঘরের মাঠে প্রীতি ম্যাচে ভূটানের বিপক্ষে ২-০ গোলের জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে সিঙ্গাপুরের মুখোমুখি বাংলাদেশ। হামজা চৌধুরী ও ফাহমিদুল ইসলামের অভিষেক হলেও এখনো লাল-সবুজের জার্সিতে অভিষেকের অপেক্ষায় আছেন শমিত সোম৷ সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে অভিষেক হবে তারও৷
দুই দলের প্রথম দেখা হয়েছিল ১৯৭৩ সালে মারদেকা কাপে। মালয়েশিয়ার অনুষ্ঠিত সেই টুর্নামেন্টে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক হয়েছিল বাংলাদেশের। গ্রুপ পর্বে চার ম্যাচের কোনোটিতেই না জিতলেও সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ড্র করেছিল ১-১ ব্যবধানে।
আরও পড়ুন: দেশের যেসব স্থানে জায়ান্ট স্ক্রিনে দেখা যাবে বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ম্যাচ
ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটে বাংলাদেশকে এগিয়ে দেন কাজী সালাউদ্দিন। তবে ২০ মিনিটে সমতা ফেরান সিঙ্গাপুরের শামসুদ্দিন রহমত। এরপর একই বছর সিঙ্গাপুরের সঙ্গে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ। প্রথমটিতে জয়, দ্বিতীয়টিতে হেরেছে বাংলাদেশ।
২০০৭ সালে মারদেকা কাপে ফের দেখা হলেও সেটি ছিল বাংলাদেশ ‘বি’ দল বনাম সিঙ্গাপুর অনূর্ধ্ব–২৩ দলের ম্যাচ। সবশেষ ২০১৫ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত ফিফা প্রীতি ম্যাচে বাংলাদেশ ১-০ এগিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে হারে। সেই ম্যাচে খেলা জামাল ভূঁইয়া, তপু বর্মণ ও সোহেল রানা আছেন এবারের দলেও। তবে তাদের সঙ্গে এবার অবশ্য হামজা, শমিত ও ফাহমিদুল থাকায় শক্তি বেড়েছে দলেরও৷ সেই ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে সিঙ্গাপুরের বর্তমান অধিনায়ক হারিস হারুন ও সাফুয়ান বাহারুদিনেরও।
আরও পড়ুন: সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে জয় হবে দেশের ফুটবলের টার্নিং পয়েন্ট: জামাল
১০ বছর পর একই ভেন্যুতে আবারও দেখা হচ্ছে দুই দলের। তবে এবার মঞ্চটা ভিন্ন। লক্ষ্য থাকবে তিন পয়েন্ট অর্জন করার। এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ‘ডি’ গ্রুপে বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুরের পাশাপাশি রয়েছে ভারত ও হংকং। প্রথম ম্যাচে দু’দলই গোলশূন্য ড্র করায় এই ম্যাচটি হতে যাচ্ছে অতি গুরুত্বপূর্ণ।