বুধবার, জুন ২৫, ২০২৫
সামি'স কর্নার

বাংলাদেশের হয়ে মাঠে নামতে মুখিয়ে শমিত

জাতীয় দলের জার্সিতে অভিষেকের প্রহর গুনছেন শমিত সোম। কানাডার হয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলের স্বাদ পাওয়া এই মিডফিল্ডার এখন পুরোদমে প্রস্তুতি নিচ্ছেন বাংলাদেশের হয়ে মাঠে নামার। ঈদের ছুটির সময় যখন ঢাকার রাস্তা সুনসান, তখন বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে চলেছে ঘামঝরা অনুশীলন— শমিতের চোখে-মুখে শুধুই মনোযোগ, শুধু নতুন পরিবেশে মানিয়ে নেওয়ার লড়াই।

১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে হয়তো প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের হয়ে মাঠে দেখা যেতে পারে তাঁকে। তবে শমিত নিজের অভিষেক নয়, আপাতত গুরুত্ব দিচ্ছেন দলকে বোঝার প্রক্রিয়ায়। অনুশীলনের আগে সাংবাদিকদের বললেন, “এখনই একাদশে জায়গা পাওয়ার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে দলের পরিকল্পনা বুঝে নেওয়া, এবং যেভাবে সম্ভব সেভাবেই সাহায্য করা।”

আরও পড়ুন: ফাহমিদুল দশে দশ, হতাশ করেননি তাজ-কাজেমও

মাত্র ক’দিন হলো ঢাকায় এসেছেন। তবু দলের সঙ্গী হওয়ার পর থেকেই নিজের দায়িত্বটা গভীরভাবে নিচ্ছেন। ভুটানের বিপক্ষে সদ্য শেষ হওয়া ম্যাচটি গ্যালারি থেকে বসেই দেখেছেন তিনি। জামালের কর্নার থেকে হামজার গোল কিংবা তরুণ ফাহামিদুলের দাপুটে পারফরম্যান্স— সবই তাঁর চোখে পড়েছে গভীর মনোযোগে। ম্যাচের পর ফুটবলপ্রেমী এই প্রবাসীর কণ্ঠে শোনা গেল প্রশংসার সুর— তাঁর মতে, বাংলাদেশ দল দুর্দান্ত খেলেছে, আর এ ধরনের পারফরম্যান্স দেখে তাঁরও আগ্রহ বেড়েছে কিছু ভালো করে দেখানোর।

ম্যাচ দেখে মাঝমাঠের শক্তি নিয়েও ইতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে তাঁর। সোহেল রানা, জামাল ভূঁইয়া ও হামজা চৌধুরীর পারস্পরিক বোঝাপড়া, বল কন্ট্রোল এবং গতি— সব মিলিয়ে মাঝমাঠই হয়েছে শমিতের চোখে দলের সবচেয়ে উজ্জ্বল দিক। শুধু অভিজ্ঞদের নয়, নবাগতদেরও প্রশংসা করতে ভোলেননি তিনি।

জাতীয় দলের কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা শমিতের প্রশংসা করতে কার্পণ্য করেননি। জানালেন, নতুন এই ফুটবলারের প্রথম উপস্থিতিতেই তাঁর মধ্যে সম্ভাবনার ইঙ্গিত পেয়েছেন তিনি। তবে ম্যাচের পারফরম্যান্সই চূড়ান্ত মূল্যায়নের জায়গা হবে বলে ইঙ্গিত দেন কোচ।

আরও পড়ুন: ইতিহাস গড়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে উজবেকিস্তান

তবে শুধু প্রশংসা নয়, একটা বাস্তবতাও সামনে এসেছে—মাঝমাঠে এত প্রতিযোগিতা থাকায় কাকে জায়গা দেওয়া হবে, কাকে নয়, এ সিদ্ধান্ত নিতে কোচকে পড়তে হচ্ছে মধুর সমস্যায়। অভিজ্ঞদের ভিড়ে নতুন মুখের জায়গা করে দেওয়া সহজ হবে না, তবে কোচ এটিকে দেখছেন ইতিবাচক প্রতিদ্বন্দ্বিতা হিসেবে, যা দলকে আরো মজবুত করবে।

অন্যদিকে শমিতও জানেন, প্রতিপক্ষ সিঙ্গাপুর সহজ প্রতিপক্ষ নয়। বিশেষ করে তাদের তারকা ফরোয়ার্ড ইখসান ফান্দি চোট কাটিয়ে ফিরে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন। এই ফরোয়ার্ডকে ঘিরে সতর্ক পরিকল্পনা নিয়েই এগোচ্ছেন তিনি। জানালেন, মিডফিল্ড থেকে প্রতিপক্ষের আক্রমণ ভাঙা এবং রক্ষণের ভারসাম্য রক্ষা করাটা এখন বড় দায়িত্ব হয়ে উঠেছে।

জাতীয় দলে একের পর এক প্রবাসী ফুটবলারের আগমনে যেমন প্রতিযোগিতা বাড়ছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে একটি বৈচিত্র্যপূর্ণ স্কোয়াড। তবে দলের সিনিয়ররা এটিকে হুমকি নয়, বরং সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত হিসেবে দেখছেন। যেমন ফরোয়ার্ড রাকিব হোসেন মনে করেন, নতুনরা এলে প্রতিযোগিতা বাড়ে, আর সেই প্রতিযোগিতা দলকে আরও ভালো খেলতে শেখায়।

আরও পড়ুন: দুর্দান্ত হামজায় ভুটানকে হারাল বাংলাদেশ

আরও খবর

একটি মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য লিখুন
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

সর্বশেষ খবর

জনপ্রিয় খবর