সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচটা হয়তো মনে রাখার মতো ছিল না ফলাফলের দিক থেকে। তবে এই ম্যাচই হয়ে থাকল শমিত সোমের জীবনের একটা বড় শুরু। বাংলাদেশের জার্সি গায়ে দিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে তাঁর অভিষেকটা হয়েছে ঠিক এই দিনেই। মধ্যমাঠে নিজের উপস্থিতি জানান দিতে সময়ও নেননি এই কানাডায় বড় হওয়া বাংলাদেশি বংশদ্ভূত এই ফুটবলার। পুরো ম্যাচজুড়ে গড়ে তোলেন বেশ কয়েকটি সম্ভাবনাময় আক্রমণ— যদিও তাতে শেষ পর্যন্ত গোলের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। তবু এই শুরুতেই গর্বে বুক ভরে উঠেছে তাঁর।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন শমিত। ইনস্টাগ্রামে বাংলাদেশ দলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে লিখেছেন, ‘প্রথমবারের মতো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা এবং দেশের হয়ে মাঠে নামাটা ছিল এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা। আমরা অবশ্যই জিততে চেয়েছিলাম, কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। তবু এই দলের অংশ হতে পেরে আমি খুবই গর্বিত।’
আরও পড়ুন: সবাইকে মিস করবেন, অক্টোবরে জেতার প্রত্যাশা ফাহমিদুলের

শুধু অনুভূতিই নয়, তাঁর কণ্ঠে ছিল ভবিষ্যতের প্রত্যাশাও। লিখেছেন, ‘এই পথচলার শুরুতেই যেভাবে সতীর্থ, কোচিং স্টাফ, ফেডারেশন এবং সমর্থকরা আমাকে আপন করে নিয়েছেন, তাতে আমি অভিভূত। এই যাত্রা তো সবে শুরু হয়েছে মাত্র।’
বাংলাদেশি বাবা-মায়ের ঘরে জন্ম শমিতের হলেও বেড়ে ওঠা কানাডাতেই। ২৭ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার ইতোমধ্যে কানাডার জাতীয় দলের হয়েও মাঠে নেমেছিলেন— যদিও তা বছরখানেক আগের কথা। এরপর দীর্ঘ সময় জাতীয় দলের বাইরে ছিলেন। বর্তমানে খেলছেন কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন দল ক্যাভালরি এফসিতে।
বাংলাদেশ দলে ডাক পাওয়ার পর থেকেই অপেক্ষা করছিলেন অভিষেকের জন্য। ভুটানের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে তাকে মাঠে নামাননি কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। সিঙ্গাপুরের বিপক্ষেই অবশেষে দেখা গেল তাঁর আন্তর্জাতিক অভিষেক। যদিও জয়টা ধরা দেয়নি, তবু শমিতের পারফরম্যান্স নজর কেড়েছে অনেকেরই।
আরও পড়ুন: ভক্তদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে হামজার বার্তা, ‘আবার ফিরবো, ইনশাআল্লাহ’

অক্টোবরে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে হংকংয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের দুটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ আছে। একটিতে ঢাকায়, আরেকটি হংকংয়ের মাঠে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আবারও জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়াবেন শমিত। নতুন এক যাত্রার শুরুতে তিনি এখন শুধু তাকিয়ে ভবিষ্যতের দিকে— আশায়, আত্মবিশ্বাসে, আর দেশের প্রতি গর্ব নিয়ে।