অবশেষে সব জল্পনার অবসান। এবার আর কোনো কাগজপত্রের অপেক্ষা নয়, কোনো নিয়মের বাঁধা নেই। বাংলাদেশ জাতীয় দলের জার্সি গায়ে তোলার পথ একেবারেই পরিষ্কার সান্ডারল্যান্ডের অনূর্ধ্ব-২১ দলের মিডফিল্ডার কিউবা মিচেলের জন্য।
ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সবুজ সংকেতের পর ফিফার প্লেয়ার্স কমিটিও জানিয়ে দিয়েছে চূড়ান্ত সম্মতি। কাগজে-কলমে যা ছিল সময়ের ব্যাপার, সেটাই এখন বাস্তব। সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে আসন্ন ম্যাচে যদি কোচ হাভিয়ের কাবরেরা ডাক দেন, তবে কিউবাকে দেখা যেতে পারে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের জার্সিতে। দৈনিক কালের কন্ঠের সূত্রমতে, কিউবা মিচেলের ব্যাপারে ফিফা থেকে ছাড়পত্র আসে, যা নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।
আরও পড়ুন: ‘বাংলাদেশি’ হয়ে প্রথমবার বাংলাদেশে এসে যা বললেন শমিত
সবকিছু যেন ঘটেছে ধাপে ধাপে, নিখুঁত এক পরিকল্পনার মতো। গত ২৭ মে, মাকে সঙ্গে নিয়ে বার্মিংহামের বাংলাদেশ কনসুলেটে নাগরিকত্বের আবেদন করেন কিউবা। এরপর একের পর এক আনুষ্ঠানিকতা পার করে অবশেষে ১ জুন পান সেই কাঙ্ক্ষিত খবর—পাসপোর্ট প্রস্তুত! পরদিন হাতে আসে সেই লাল-সবুজ পরিচয়পত্র।
আর সেটা পেয়েই গর্বে উদ্ভাসিত কণ্ঠে বলেছিলেন টি-স্পোর্টসকে, “এখন আমিও একজন গর্বিত বাংলাদেশি, ঠিক আপনাদের সবার মতো।”
এখন শুধু ইংল্যান্ডের সান্ডারল্যান্ডের ফুটবলার নন, বরং বাংলাদেশ জাতীয় দলের সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ। যদিও এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের স্কোয়াড ঘোষণার সময় তিনি ছিলেন না, কারণ তখনো নাগরিকত্ব চূড়ান্ত হয়নি। তবে এখন আর কোনো বাধা নেই। দেশের মাটিতে, দেশের দর্শকের সামনে কিউবার অভিষেক এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা।
আরও পড়ুন: সাংবাদিকরা মাটিতে বসায় জামাল বললেন ‘দেখে কষ্ট লাগছে’
তরুণ এই মিডফিল্ডার নিয়মিত খেলছেন সান্ডারল্যান্ডের অনূর্ধ্ব-২১ দলে। পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে তিনি নজর কেড়েছেন ক্লাব কোচদেরও। ফুটবল বোদ্ধারা বলছেন, সঠিক পরিচর্যায় কিউবাকে আগামী মৌসুমেই হয়তো দেখা যেতে পারে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের মঞ্চেও। আর এই কিউবারই মন পড়ে আছে দেশের ফুটবলে, জাতীয় দলের জার্সিতে।
আর এবার ফিফার ছাড়পত্র এসে যাওয়ায় খুব দ্রুতই জামাল, হামজা, শমিতদের সঙ্গে দেখা যেতে পারে তাকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে খেলতে। তার এই যাত্রা যেন শুধু একজন খেলোয়াড়ের সংযুক্তি নয়, বরং লাল-সবুজ ফুটবলে এক নতুন স্বপ্নের গল্পের সূচনা।
তিনি নিজেই জানিয়ে দিয়েছেন সেই বার্তা— “আমি খুব শিগগিরই বাংলাদেশে আসার জন্য ফ্লাইট ধরব। মাঠে দেখা হবে আপনাদের সঙ্গে, বাংলাদেশের জন্য বড় কিছু করতে চাই।”
আরও পড়ুন: ভুটানের অধিনায়কের চোখে বাংলাদেশই দক্ষিণ এশিয়ার সেরা দল