গত ৫ মে বাংলাদেশি পাসপোর্ট হাতে পাওয়ার মাত্র একদিনের মধ্যেই ফিফার প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটি থেকে ছাড়পত্র পান সমিত সোম। এতে এখন কেবল বাংলাদেশের জার্সি গায়ে তোলার অপেক্ষা তার। সব ঠিক থাকলে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে আগামী ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে অভিষেক হবে সমিতের। তবে এখনই নিজেকে বাংলাদেশ দলের অংশ হিসেবে মনে করছেন কানাডা প্রবাসী এই ফুটবলার।
সমিতের বেড়ে ওঠা কানাডায়, সেখানেই ফুটবলের হাতেখড়ি। ২০২৩ সাল থেকে মাঠ কাঁপিয়ে যাচ্ছেন কাভালরি এফসির হয়ে। কানাডা জাতীয় দলের হয়ে দুটো ম্যাচও (বারমুডা ও আইসল্যান্ডের বিপক্ষে) খেলেছেন তিনি। তবুও বেছে নিয়েছেন বাংলাদেশকে। কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ওয়েবসাইটে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সমিত বলেন, ‘যে ভালোবাসা ও সমর্থন পাচ্ছি, সেটা খুবই ভালো লাগছে। তারা (বাংলাদেশ) ফুটবলের জন্য সত্যিই পাগল। তাই আমি খুব আপন মনে করছি। নিজেকে এখনই দল ও দেশের অংশ মনে হচ্ছে।’

সমিত কানাডায় জন্ম নিলেও তার বাবা-মা দুজনে বাংলাদেশি। তিনি বলেন, ‘এটি এমন কিছু যার জন্য আমি গর্বিত। আমার বাবার দিকের আত্মীয়রা এখনো সেখানে থাকেন। আমার বাবা-মা সেখান থেকেই এসেছেন। ছোটবেলা থেকে আমি এই সংস্কৃতিতেই বড় হয়েছি। তাই এটি আমার জন্য রোমাঞ্চকর এক অভিজ্ঞতা, যার জন্য আমি মুখিয়ে আছি।’
আরও পড়ুন: রোমাঞ্চিত অনুভব করছি’ — বাংলাদেশের হয়ে খেলার সুযোগে শমিতের উচ্ছ্বাস
বাংলাদেশের হয়ে খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করার পর শুভেচ্ছায় ভাসছেন সমিত। এমনকি কানাডায় থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিরাও তার খেলা দেখতে মাঠে গিয়ে তাকে সমর্থন জানিয়েছেন। এ নিয়ে সমিত বলেন,‘এটি আমাকে ভীষণ গর্বিত করে তোলে। মজার বিষয় হলো, এখন টরন্টো বা ক্যালগারির মতো জায়গা থেকেও মানুষ খেলা দেখতে আসে। এটি আমার জন্য একেবারেই নতুন এক অভিজ্ঞতা এবং কিছুটা ভিন্ন অনুভূতি দিচ্ছে। তবে খুবই দারুণ, যা সবসময় মনে রাখব আমি।’

এদিকে সমিতের বাংলাদেশ অধ্যায়ের জন্য শুভকামনা জানিয়েছে তার ক্লাব কাভালরি এফসিও৷ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তারা লিখেছে, ‘আন্তর্জাতিক ফুটবলে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে যাচ্ছেন সামিত সোম। অভিনন্দন সামিত।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের হয়ে সমিতের খেলা নিয়ে যা বলছে তার ক্লাব কাভালরি
বছর দুয়েক ধরেই সামিতকে নিয়ে গুঞ্জন থাকলেও তা এতদিন আলোর মুখ দেখেনি। সম্প্রতি হামজা চৌধুরীর আগমনের পর ফুটবল ফেডারেশনকে সামিত সবুজ সংকেত দেওয়ার পর সমিতকে নিয়ে দ্রুতই সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। সামিত মনে করছেন, বাংলাদেশের হয়ে খেলার জন্য এটাই অনুপ্রেরণা ছিল৷ ২৭ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার বলেন, ‘হামজার মতো খেলোয়াড় যে মানদণ্ড তৈরি করে দিয়েছে, এতেই বোঝা যায় তারা (বাফুফে) কেমন খেলোয়াড় চাচ্ছে। আর এটা আমার জন্য কিছুটা বাড়তি অনুপ্রেরণার ছিল। তাই নিজেকে প্রশ্ন করি, আমি কেন নয়? কেন আমি খেলব না?’