সব জল্পনা-কল্পনা ছাপিয়ে অবশেষে হামজা আসছেন। সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী ১৭ই মার্চ (সোমবার) দেশের মাটিতে পা রাখবেন নিয়মিত ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা এই ফুটবলার। তবে আসার আগে ক্লাবের হয়ে নিজের শেষ ম্যাচেও যেনো হামজা জানালেন, কেনো তাকে নিয়ে এই বাড়তি উত্তেজনার পারদ চড়ছে বাংলাদেশের ফুটবল ভক্তদের মধ্যে।
রবিবার (১৬ মার্চ) ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপের ডার্বি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল শেফিল্ড ওয়েডনেসডে ও শেফিল্ড ইউনাইটেড। আর প্রতিপক্ষের মাঠে গিয়েই জয় তুলে নিয়েছে হামজা চৌধুরীর শেফিল্ড ইউনাইটেড। ফলে আপাতত ৩৮ ম্যাচ শেষে শীর্ষ থাকা লিডসের সমান ৮০ পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে আছে হামজা চৌধুরীর দল। অর্থাৎ, সব ঠিকঠাক থাকলে পরের মৌসুমে আবারও ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ফিরবে শেফিল্ড ইউনাইটেড, যেখানে বড় একটা ভূমিকা রাখছেন স্বয়ং হামজা চৌধুরী।
শেফিল্ড ডার্বিতে ম্যাচের শুরু থেকেই একাদশে ছিলেন বাংলাদেশের হামজা চৌধুরী। যদিও প্রথমার্ধ গোলশূন্য ব্যবধানেই শেষ হয়। এরপর দ্বিতীয়ার্ধের ৬৪ মিনিটে ম্যাচের একমাত্র গোল করেন শেফিল্ড ইউনাইটেডের রিয়ান ব্রুস্টার। শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে তারা। অন্যদিকে, এই ম্যাচ শেষেই বিমান ধরছেন হামজা চৌধুরী। প্রথমবারের মতো লাল-সবুজের জার্সিতে মাঠে নামতে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমাচ্ছেন এই ফুটবলার।
এদিকে আন্তর্জাতিক বিরতির আগে নিজের শেষ ম্যাচেও ডিফেন্সিভলি সলিড ছিলেন হামজা। ম্যাচের পুরোটা সময় খেলে প্রায় ৪৫ বার বল টাচ করেছেন তিনি। যেখানে প্রতিপক্ষের থেকে বল রিকভারি করেছেন ৩ বার। সমান গ্রাউন্ড ডুয়েলও জিতেছেন ৩ বারই। অপরদিকে, এরিয়াল ডুয়েলসেও উইন করা হামজা বল ক্লিয়ারও করেছেন মোট ৩ বার। আর পুরো ম্যাচে প্রায় ৮৫% অ্যাকুরেট পাস দিয়ে হামজা যেনো জানান দিলেন, তার বাড়ানো বল সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে দেশের ফুটবলে শুরু হবে নতুন দিনের গল্প। যেখানে হামজা চৌধুরীই হতে যাচ্ছেন আগামীর ভরসা।
এবার দেখার পালা, ক্লাব লেভেলের এই পারফরম্যান্স দেশের জার্সিতেও দেখাতে পারেন কিনা তিনি। যদি পারেন, তবে বাংলাদেশের ফুটবলেও শুরু হবে নতুন জাগরণ। একজন হামজা চৌধুরী পারবেন কি দলের বাকিদের নিয়ে বাংলার ফুটবলের সোনালী অতীত ফেরাতে? সময়ই বলে দেবে তা। আপাতত, গোটা বাংলাদেশ অপেক্ষায় একজন হামজা চৌধুরীকে বরণ করে নেওয়ার জন্য।