লা-লিগার শেষ টা দারুণভাবে জমে উঠেছে, এবার আরও একটা নাটকীয় ম্যাচই উপহার দিলো বার্সেলোনা। নিজেদের মাঠে সেল্টা ভিগোর বিপক্ষে প্রায় নিশ্চিত হার থেকে বের হয়ে এসে শেষ মুহূর্তের এক পেনাল্টি গোলে জয় তুলে নেওয়া— এই ম্যাচে যেন ছিল প্রত্যাবর্তনের এক অনবদ্য কাহিনি।
ঘরের মাঠে তরুণ লামিনে ইয়ামালকে বিশ্রাম দিয়ে শুরু করেছিল হ্যান্সি ফ্লিকের দল। তাঁর বদলি হয়ে খেলতে নামা ফেরান তোরেস শুরুটা করেছিলেন দারুণভাবে, ইনিয়েগো মার্তিনেজের ক্রস থেকে নিখুঁত ফিনিশিংয়ে এগিয়ে দেন দলকে। কিন্তু এরপর বার্সার ডিফেন্সে দুর্বলতা আর গোলরক্ষক সেজনির ভুলে দ্রুতই ম্যাচের রাশ হাতছাড়া হয়ে যায়।

আরও পড়ুন: বাটলার ঝড়ে দিল্লির বিপক্ষে গুজরাটের ইতিহাস
সেল্টার অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার বোর্জা ইগনাসিয়াস প্রথমার্ধেই সমতা ফেরান, এরপর দ্বিতীয়ার্ধে আরও দুই গোল করে পূর্ণ করেন হ্যাটট্রিক। ম্যাচ তখন ৩-১ গোলে সেল্টার পক্ষে, বার্সা সমর্থকেরা হয়তো ভেবে নিয়েছিলেন— এবার বুঝি গেল ম্যাচটা।
কিন্তু ফুটবলে ‘শেষ’ বলে কিছু নেই। ৬৪ মিনিটে দানি অলমোর গোলে ব্যবধান কমে এলে নতুন করে আশা জাগে। তার পরপরই মাঠে নামেন ইয়ামাল। এই তরুণ উইঙ্গার নামতেই যেন ম্যাচের গতি পাল্টে যায়। তাঁর জাদুকরী ক্রসে হেড করে ৩-৩ এ সমতা ফিরিয়ে আনেন রাফিনহা।
ম্যাচ যখন ড্র’র দিকেই এগোচ্ছিল, ঠিক তখনই যুক্ত হলো নাটকের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর মুহূর্ত। অতিরিক্ত সময়ের অষ্টম মিনিটে বক্সে অলমোকে ফাউল করে বসে সেল্টার ডিফেন্স, রেফারির বাঁশি বাজে পেনাল্টির সিদ্ধান্তে। দায়িত্ব নিয়ে শট নেন রাফিনহা, ঠান্ডা মাথায় গোল করে জয় নিশ্চিত করেন বার্সেলোনার।

আরও পড়ুন: শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় বিশ্বকাপের মূলপর্বে বাংলাদেশ
৪-৩ গোলের এই জয় শুধু তিন পয়েন্টই এনে দেয়নি, এনে দিয়েছে লিগ শিরোপার পথে মূল্যবান আত্মবিশ্বাস।
এই জয় শেষে বার্সার পয়েন্ট ৭৩, যেখানে এক ম্যাচ কম খেলে রিয়ালের পয়েন্ট ৬৬। ১১ এপ্রিলের এল ক্লাসিকোর আগেই বার্সা নিশ্চিত করে দিল, তারা এখনো শিরোপার দৌড়ে প্রধান দাবিদার।