ক্লাব ফুটবলে সম্ভাব্য সব শিরোপা জিতে এবার জাতীয় দলের চ্যালেঞ্জ হাতে নিয়েছেন কার্লো আনচেলত্তি৷ দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষায় থাকা এই ইতালিয়ান কোচকে অবশেষে ডাগআউটের জন্য পাচ্ছে ব্রাজিল। আনচেলত্তির নিয়োগের মধ্য দিয়ে প্রচলিত ধারা ভেঙেছে সিবিএফ (কনফেডারেশন অব ব্রাজিল ফুটবল)৷ কারণ ব্রাজিলের ডাগআউটে সচরাচর কোনো বিদেশি কোচ দেখা যায় না৷ শুধু তাই নয়, আনচেলত্তিকে মোটা অঙ্কের বেতন দেওয়ারও ঘোষণা দিয়েছে সিবিএফ৷
ব্রাজিলের গ্লোবোস্পোর্ত জানিয়েছে, আনচেলত্তিকে বছরে ১ কোটি ১১ লাখ মার্কিন ডলারের মতো বেতন দেবে সিবিএফ। অর্থ্যাৎ, প্রতি মাসে সোয়া নয় লাখ ডলারের মতো, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় মাসে ১১ কোটি টাকার বেশি। বেতনের বাইরেও থাকছে অনেক সুবিধা৷ রিও ডি জেনিরোতে বসবাসের জন্য অ্যাপার্টমেন্ট আর যাতায়াতের জন্য জেট বিমানও পাবেন। একই সঙ্গে ২০২৬ সালে ব্রাজিলের জন্য বিশ্বকাপ এনে দিতে পারলে বোনাসও হিসেবে দেওয়া হবে ৫৬ লাখ মার্কিন ডলার।
আরও পড়ুন: মেসির কাছাকাছি ফুটবলার হতে পারবেন ইয়ামাল: বেকহ্যাম
ব্রাজিলের মতো আন্তর্জাতিক ফুটবলে সাফল্যের জন্য কোচের পেছনে টাকা ঢালছে আরও অনেক দেশ। এই তালিকায় আছে ইংল্যান্ড, জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশ৷ ব্রাজিলের চেয়ে বেশি সময় ধরে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ট্রফি নেই ইংল্যান্ডের।
ইয়াহু স্পোর্টসের বলছে, ইংল্যান্ড ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ) কোচ টমাস টুখেলকে বছরে ৬৭ লাখ মার্কিন ডলার বেতন দিচ্ছে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮১ কোটি টাকা। ১৯৬৬ সালের পর বিশ্বকাপ না জেতা ইংল্যান্ড টুখেলের সঙ্গে চুক্তি করেছে ২০২৬ পর্যন্ত।

ইংল্যান্ডের মতো যুক্তরাষ্ট্রও কোচের জন্য খরচ করছে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা৷ ইএসপিএনের খবর অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রের কোচ মরিসিও পচেত্তিনো ৬০ লাখ মার্কিন ডলারের ঘরে বেতন পেয়ে থাকেন। কখনো বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল না খেললেও ২০২৬ বিশ্বকাপের আয়োজক হিসেবে পচেত্তিনোর কাছে বড় কিছুই চাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের।
আরও পড়ুন: ইতিহাসের সেরা বিশ্বকাপ হবে ২০২৬”— বিশ্বাস ট্রাম্পের
চার বারের বিশ্বকাপজয়ী জার্মানিও পিছিয়ে নেই৷ দলটি ইউলিয়ান ন্যাগলসমানের জন্য বছরে খরচ করে প্রায় ৫৪ লাখ মার্কিন ডলার। তবে গত কয়েক বছরে জাতীয় দলে সাফল্যের চূড়ায় থাকা আর্জেন্টিনা অবশ্য এক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে৷
শিরোপা নামক দীর্ঘদিনের আরাধ্য জয় করা কাতার বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন কোচ লিওনেল স্কালোনি বেতন ৩০ লাখের কম। লাতিন আমেরিকাভিত্তিক বহুজাতিক ক্রীড়া সংবাদমাধ্যম বোলাভিআইপিএর প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২২ বিশ্বকাপ এবং ২০২১ ও ২০২৪ কোপা আমেরিকাজয়ী আর্জেন্টাইন কোচ বছরে পান মাত্র ২৬ লাখ মার্কিন ডলার।