বৃহস্পতিবার, জুন ২৬, ২০২৫
সামি'স কর্নার

কাতার জাতীয় দলে ডাক পেলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নাবিল

নাবিল ইরফান নামটা হয়তো দেশের ফুটবলে এখনো সবার কাছে খুব পরিচিত না। তবে খুব দ্রুতই পরিচিত হয়ে উঠছেন এই তরুণ ফুটবলার। জন্ম কাতারে, কিন্তু রক্তে বইছে বাংলাদেশেরই ধারা। বাবা-মা দুজনই বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষ। চাকরির সূত্রে বহু বছর ধরে কাতারে থাকেন তারা। আর সেখানেই ২০০৪ সালে জন্ম নেয়া ছেলেটি এবার ডাক পেলেন কাতার জাতীয় ফুটবল দলে।

কাতারের প্রথম সারির ক্লাব আল-ওয়াকরাহ এসসি-তে খেলেন নাবিল ইরফান। মাত্র ১৭ বছর বয়সে ক্লাবের মূল দলে জায়গা করে নিয়েছিলেন। পজিশন মূলত ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার, তবে প্রয়োজনে খেলতে পারেন রাইট ব্যাক হিসেবেও। খেলার ধরণ আর পজিশনে অনেকটা মিল রয়েছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা হামজা চৌধুরীর সঙ্গে, যিনি ইতোমধ্যে বাংলাদেশের ফুটবল সমর্থকদের ভালোবাসা কুড়িয়েছেন।

নাবিলের ফুটবল শুরু অ্যাসপায়ার একাডেমি থেকে। ছোটবেলা থেকেই ফুটবল নিয়ে স্বপ্ন দেখা শুরু। সেখান থেকেই ক্লাব ফুটবলে উঠে আসা। এরপর ধাপে ধাপে নিজের জাত চিনিয়েছেন। খেলেছেন কাতারের অনূর্ধ্ব-১৬, অনূর্ধ্ব-২০ ও অনূর্ধ্ব-২৩ দলের হয়ে। এমনকি একবার তো নিজের বংশোদ্ভূত দেশের বিপক্ষেও মাঠে নেমেছেন নাবিল। অনূর্ধ্ব-১৬ পর্যায়ে খেলেছেন বাংলাদেশের বিপক্ষে।

আরও পড়ুন: সিঙ্গাপুর ম্যাচে কার জায়গায় খেলবেন শমিত?

এবার সেই নাবিল ডাক পেয়েছেন কাতার জাতীয় দলের ক্যাম্পে। বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব সামনে রেখে কোচ হুলেন লোপেতেগুই যে দল ঘোষণা করেছেন, তাতে জায়গা পেয়েছেন নাবিল ইরফান। কাতার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের অফিসিয়াল পেজেও গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করা হয়েছে এই খবর। অর্থাৎ, তাকে ঘিরে কাতার ফুটবলে উচ্চ প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে।

বাংলাদেশে বর্তমানে প্রবাসী ফুটবলারদের নিয়ে নতুন এক আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে। জামাল ভূঁইয়া দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় দলে রয়েছেন। এরপর এসেছে হামজা চৌধুরী, কাজেম শাহ, ফাহমিদুল ইসলাম আর সমিত শোমের মতো নাম। তাদের মতোই আলোচনায় এখন নাবিল ইরফান। যদিও তিনি এখনো বাংলাদেশের জাতীয় দলে খেলেননি, তবু তার শিকড় বাংলাদেশের হওয়ায় আগ্রহটা স্বাভাবিকভাবেই বেশি।

আরও পড়ুন: সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে জয় হবে দেশের ফুটবলের টার্নিং পয়েন্ট: জামাল

তবে এখনো পর্যন্ত কাতারের জাতীয় দলের হয়ে কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেননি নাবিল। তাই ফিফার নিয়ম অনুযায়ী, তিনি চাইলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের হয়ে খেলতেও পারেন। তবে আপাতত দৃষ্টিতে সেই সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। শেষ পর্যন্ত নাবিল যেই দেশের হয়েই খেলুক, নাবিলের এই অর্জন নিঃসন্দেহে গর্বের। বিদেশের মাটিতে বেড়ে উঠেও দেশের নামকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন একজন তরুণ। তার এই পথচলা অনেকের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে উঠবে।

আরও খবর

একটি মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য লিখুন
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

সর্বশেষ খবর

জনপ্রিয় খবর